কোভিড-১৯: ভয় নয় সতর্কতা, আতঙ্ক নয় প্রতিরোধ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯)-কে ইতোমধ্যে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা দিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বৈশ্বিক আবেদন হচ্ছে “ঘরে থাকুন”। এখন ঘরে থেকেই আমরা এই মহামারী প্রতিরোধ করতে পারি। একটি ‘কৌশলগত যোগাযোগ’ কার্যক্রমের উপর কর্মরত সংস্থা হিসেবে বিসিসিপি কোভিড-১৯ সম্পর্কে ২টি¬ বার্তা দিতে চায়: ‘ভয় নয় সতর্কতা’ ও ‘আতঙ্ক নয় প্রতিরোধ’। আসুন আমরা ঘরে থাকি, সতর্ক থেকে করোনা প্রতিরোধ করি।
সতর্কতা ও প্রতিরোধমূলক মূল করণীয়গুলো সম্পর্কে আমাদের জানা বিষয়গুলো আরেকবার মিলিয়ে দেখি।
১। কীভাবে ছড়ায়
- আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে
- আক্রান্ত ব্যক্তিকে স্পর্শ করলে
- পশু/পাখির মাধ্যমে
২। কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি রোধে করণীয়
- ঘরে থাকা এবং বাইরে না যাওয়া।
- জরুরি প্রয়োজনে বাইরে যেতে হলে মাস্ক ব্যবহার করা।
- ঘন ঘন দুই হাত সাবান দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড যাবৎ পরিষ্কার করুন। প্রয়োজনে হ্যান্ড স্যানিটাইজারও ব্যবহার করতে পারেন।
- যেখানে সেখানে কফ ও থুতু ফেলবেন না।
- হাত দিয়ে নাক, মুখ ও চোখ স্পর্শ করার আগে হাত সাবান দিয়ে ভালোমতো ধুয়ে নিতে হবে।
- হাঁচি-কাশির সময়ে টিস্যু অথবা কাপড় দিয়ে বা বাহুর ভাঁজে নাক-মুখ ঢেকে ফেলুন।
- ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনাযুক্ত ময়লার পাত্রে ফেলুন/কাপড় সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ও হাত পরিষ্কার করুন।
- “সামাজিক দূরত্ব” মেনে পারস্পরিক অন্তত ৬ ফুট দূরত্ব রাখা জরুরি।
- দরজার হাতল, ব্যক্তিগত ব্যবহার্য ইলেকট্রনিক গ্যাজেট- এগুলোকে সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে।
- মাছ, মাংস ভালভাবে রান্না করে খাওয়া।
- অসুস্থ পশু/পাখির সংস্পর্শে না আসা।
সংরক্ষন করতে ক্লিক করুন PDF version