logo

সম্পাদকীয়

সংযোগ  বিসিসিপি কর্তৃক সম্পাদিত শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সমাজ উন্নয়নের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কিত সংবাদ ও তথ্য প্রচার করে চলেছে। ফলে উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠী জনস্বাস্থ্যসহ উন্নয়ন কার্যক্রম বিষয়ক সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তথ্যাবলী সম্পর্কে সম্যক ধারণা পেয়ে থাকে। তারা তাদের পরিবেশ, সামাজিক রীতি-নীতি, মূল্যবোধ, অনুভূতি, দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনা সাপেক্ষে সমাজ উন্নয়ন ও নতুন স্বাস্থ্য আচরণ গ্রহণে ও চর্চায় আগ্রহী হয়ে ওঠে। কিন্তু একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিসিসিপি তার এই কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি)-এর উপর জোর দিয়েছে। ফলে বর্তমানে বিসিসিপি’র জনস্বাস্থ্য ও সমাজ উন্নয়ন বিষয়ক কার্যক্রমে আইসিটি গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হচ্ছে এবং কার্যক্রম পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে এর ব্যবহার ধীরে ধীরে বিস্তৃতি লাভ করেছে।

এক্ষেত্রে বিসিসিপি পরিচালিত বিকেএমআই-২, পিপিআরপি-২ (২য় সংশোধিত), সিআরপিএআরপি ও এসএলডি ওয়ার্কশপ প্রকল্পের অধীনে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সমাজ উন্নয়ন প্রভৃতি ক্ষেত্রে আচরণ পরিবর্তন যোগাযোগ বিষয়ক ই-টুলকিট ও অনলাইন ই-লার্নিং কোর্স প্রবর্তন, ডিজিটাল আর্কাইভ প্রণয়ন, বিসিসি ওয়ার্কিং গ্রুপের ওয়েবসাইট তৈরি, অফলাইন ই-লার্নিং কোর্স প্রণয়ন, অনলাইন ফটো এলব্যাম তৈরি, মোবাইল অ্যাপস প্রস্তুতকরণ, ডেস্কটপ এপ্লিকেশন প্রণয়ন, অনলাইন শেয়ারিং মিডিয়া ব্যবহার, সিআরপিএআরপি প্রকল্পের ওয়েবসাইট তৈরি, অনলাইন ডাটাবেজ ও ওয়েব এপ্লিকেশন তৈরি  ইত্যাদি কার্যক্রম আইসিটি ব্যবহারের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তদুপরি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক-এ বিসিসিপি’র নিজস্ব পেজ রয়েছে যা নিয়মিত হালনাগাদ করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে।

আমরা চাই সংযোগ-এর মাধ্যমে কৌশলগত যোগাযোগ প্রক্রিয়ার সাথে একুশ শতকের সকল মানুষের সংযোগ স্থাপিত হোক। আর তাই তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষতার যুগে আইসিটি নির্ভর সংযোগ-এর ই-ভার্সানও হয়ে উঠুক আচরণ পরিবর্তন যোগাযোগ বিষয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যভাণ্ডার, এই আশা রাখি।

শুভেচ্ছা।

ই-জিপি আসার পরে আবার আমি এ পেশায় ফেরত এসেছি

“২০১৩-১৪ সাল থেকে আমি নিয়মিত কাজ পাচ্ছি। এখন ঘরে বসেই সব ধরনের ঝুঁকি মুক্ত হয়ে আমি কাজ করতে পারছি। ই-জিপির ফলে আগের তুলনায় ক্রয়কারী সংস্থা ও ঠিকাদারদের মধ্যে বিশ্বাস দৃঢ় হয়েছে। দুর্নীতির ছিদ্রগুলো বন্ধ হয়েছে। পেশীশক্তি, দলবাজি, নানারকম টেন্ডারবাজি কোনো কিছুই এখন আর সম্ভব হয় না। বর্তমানে আমার পরিচয় একজন সফল ঠিকাদার হিসেবে যা সম্ভব হয়েছে ই-জিপি’র কারণে।”

কথাগুলো বলছিলেন শেরপুর জেলা শহরের একজন স্বনামধন্য ঠিকাদারী ব্যবসায়ী জনাব আশরাফুল আলম । ৩০ বছর ধরে তিনি এই পেশায় নিয়োজিত। বর্তমানে এলজিইডি’র একজন ঠিকাদার হিসেবে ওতপ্রোতভাবে কাজ করছেন। কিন্তু একটা সময়ে তিনি এ পেশা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। যখন টেন্ডারবাজি ঠিকাদারী ব্যবসাকে নষ্ট করে দিল তখন এ পেশা থেকে সরে এসে তিনি চাউলের ব্যবসা শুরু করলেন। ধীরে ধীরে চাউল ব্যবসায়ীদের এক সংগঠনও গড়ে তুললেন। এসব চাউল ব্যবসায়ীদের ভিতরেও ঠিকাদারী ব্যবসার সাথে জড়িত কেউ কেউ ছিলেন। এরপর যখন ই-জিপি’র মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হলো তখন তাঁরাই তাঁকে জানালেন ই-জিপিতে কোনো টেন্ডারবাজির সুযোগ নেই। তখন আবার ই-জিপি’র মাধ্যমে দরপত্র জমা দেয়া শুরু করলেন তিনি।

আশরাফুল আলম বলেন, “বর্তমানে প্রায় ৪০ কোটি টাকার কাজ আমার হাতে রয়েছে। আমি মনে করি ই-জিপি গতিশীল পৃথিবীর সাথে বাংলাদেশের একাত্মতা ঘোষণা করবে।”

উল্লেখ্য বিসিসিপি বাস্তব ঘটনাকেন্দ্রিক ই-জিপি বিষয়ক সফলতার গল্প জনমানুষের সামনে তুলে ধরতে পিপিআরপি-২ (২য় সংশোধিত) প্রকল্পের অধীনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সাফল্যগাথা সংগ্রহ করছে। আর তাই শেরপুর জেলার ঠিকাদার জনাব আশরাফুল আলমের গল্পটি সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত ৩য় সাউথ এশীয় রিজিওনাল পাবলিক প্রকিউরমেন্ট কনফারেন্স ২০১৫-তে প্রদর্শিত ও প্রশংসিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব এ এইচ এম মুস্তাফা কামাল এবং সমাপনী বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ইমপ্লিমেন্টেশন, মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশন বিভাগ (আইএমইডি)-এর সচিব জনাব মোঃ শহীদ উল্লাহ খন্দকার।

সিএসিপিভি-এর অধীনে শিশুদের সঙ্গীত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

গত ১৮ নভেম্বর, ২০১৫ তারিখে শিশু সুরক্ষায় কমিউনিটির করণীয় শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় খুলনায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে সঙ্গীত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সঙ্গীত প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সরকারের যুগ্ম সচিব ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব গোকুল কৃষ্ণ ঘোষ। জনাব স্বপন কুমার গুহ, প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক, রূপান্তর; নার্গিস ফাতিমা জামিন, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা; জনাব আবুল আলম, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা; রোজিনা আক্তার, সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর, খুলনা জজ কোর্ট; এবং নাসরিন আক্তার, ডেপুটি প্রোগ্রাম আফিসার, ইউসেপ বাংলাদেশ-সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। শিশুদের সঙ্গীত প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য ছিল বহুমূখী যোগাযোগ পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে শিশু সুরক্ষার জন্য কমিউনিটির জনগণের দ্বারা কমিউনিটি কার্যক্রমকে শক্তিশালী করা।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “বিসিসিপি’র এ ধরনের উদ্যোগ শিশুদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং সহিংসতা থেকে শিশুকে রক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে।” অন্যান্য অতিথিরা বাংলাদেশে শিশু সুরক্ষার অবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করেন। সঙ্গীত প্রতিযোগিতা শেষে শিশুরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে বলে, “আমরা আগে এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ পাইনি। আজ এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আমরা আনন্দিত।”

দেশাত্মবোধক, আধুনিক, লোক এবং আঞ্চলিক সঙ্গীতের ক্ষেত্রে শিশুদের সঙ্গীত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এই সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, সমাজসেবা অধিদপ্তর, ইউসেপ বাংলাদেশ, জেজেএস, এফপিএবি, অপরাজেয় বাংলাদেশের মোট ৫৯জন সুবিধাবঞ্চিত শিশু অংশগ্রহণ করে। খুলনা বেতারের স্বনামখ্যাত ও বিশেষজ্ঞ সুরকার এবং প্রযোজক এই সঙ্গীত প্রতিযোগিতার বিচারক পর্ষদের সদস্য ছিলেন।

এসবিসিসি (SBCC) ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

সামাজিক ও আচরণ পরিবর্তন যোগাযোগ (SBCC) ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়ক একটি কর্মশালা বিগত ২৮ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে বিসিসিপি’তে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালাটি সঞ্চালন করেন জনস্ হপকিন্স সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস-এর ডাইরেক্টর, আইসিটি এন্ড ইনোভেশন, মিঃ জেমস বনটেমপো।  

এই কর্মশালাটির মাধ্যমে মিঃ বনটেমপোর সাথে বিসিসি ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্যদের অভিজ্ঞতা ও মতের আদান-প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। উল্লেখ্য, মিঃ বনটেমপো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে ২০ বছর ধরে কাজ করছেন। তিনি আফ্রিকা ও এশিয়াব্যাপী বিভিন্ন দেশে বৈশ্বিক ও দেশীয় পর্যায়ে প্রকল্পসমূহের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহে কারিগরি নেতৃত্ব প্রদান করছেন। এর ভেতরে রয়েছে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, জ্ঞান ব্যবস্থাপনা (knowledge management), আচরণ পরিবর্তন যোগাযোগ, স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন।

কর্মশালায় স্বতঃস্ফূর্ত সেশনের মাধ্যমে আইসিটি এবং এসবিসিসি-এর বিভিন্ন বিষয় এবং এদের  যোগসূত্র  নিয়ে আলোচনা করা হয় যা অংশগ্রহণকারীদের  মাঝে অনেক আগ্রহের সৃষ্টি করে। কর্মশালায় আইসিটি’র যথাযথ ব্যবহার  নির্ধারণ, সম্পদের  পরিকল্পনা এবং কার্যক্রমের স্থায়িত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়।  মিঃ বনটেমপো  আলোচনা করেন বিভিন্ন সমস্যাকে কীভাবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে ভাগ করে সহজে বোঝা যায়।

বিকেএমআই প্রজেক্টের সহায়তায় তৈরি কিছু ডিজিটাল সমাধান উক্ত কর্মশালায় উদাহরণ হিসেবে দেখানো হয় যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- মাঠকর্মীদের জন্য এইচপিএন বিসিসি ইটুলকিট, প্রোগ্রাম ম্যানেজার ও প্ল্যানারদের জন্য ইলার্নিং কোর্স,  প্রোগ্রাম ম্যানেজার ও প্ল্যানারদের  জন্য ইটুলকিট এবং তিনটি সরকারী ইউনিটের ডিজিটাল আর্কাইভ (বিএইচই, আইপিএইচএন এবং আইইএম)।

সরকারী, বেসরকারী, মিডিয়া এবং একাডেমিক সেক্টর থেকে  প্রায় ৫৫জন এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন যারা সবাই বিসিসি ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য। ডাঃ মোঃ কামরুল ইসলাম, লাইন ডাইরেক্টর, আইপিএইচএন উক্ত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিকেএমআই প্রজেক্টের সহায়তায় কর্মশালাটির আয়োজন করে বিসিসি ওয়ার্কিং গ্রুপ।

যোগাযোগ বিষয়ক তথ্যাবলী

বর্তমান যোগাযোগ প্রক্রিয়ায় পরিবীক্ষণ (Monitoring) ও মূল্যায়ন (Evaluation) একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যোগাযোগ কৌশলে জনস্বাস্থ্য ও সমাজ উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিবীক্ষণ হচ্ছে একটি চলমান প্রক্রিয়া। অন্যদিকে মূল্যায়ন হচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে ফলাফল ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি।

পরিবীক্ষণের ৫টি মৌলিক ধাপ

একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে পরিবীক্ষণের ৫টি মৌলিক ধাপ অনুসরণ করা হয়ে থাকে- এক, প্রকল্পের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে এর উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠী, স্থান, সময় ও সম্পদ বিবেচনায় নিয়ে পরিবীক্ষণ পদ্ধতি নির্ধারণ করা; দুই, যথাযথভাবে পরিবীক্ষণ সম্পাদনে সঠিক সম্পদের ব্যবহারের মাধ্যমে কর্মসূচি নির্ধারণ করা; তিন, সময় ও সম্পদকে কাজে লাগিয়ে প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়নে পরীক্ষামূলকভাবে একটি/দুটি উপযোগী স্থান নির্বাচন ও পরিবীক্ষণ করা; চার, প্রকল্পের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে পরিবীক্ষণের মাধ্যমে উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠী কি চায় তা জানতে তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত হওয়া; এবং পাঁচ, পরিবীক্ষণের মাধ্যমে প্রাপ্ত প্রতিবেদনে উল্লিখিত সুপারিশমালাকে বিবেচনায় নেয়া এবং প্রকল্পের সার্থক বাস্তবায়নে তা প্রয়োগ করা।

মূল্যায়ন পরিকল্পনার ৫টি স্তর

পাঁচ স্তরের মূল্যায়ন পরিকল্পনা কৌশলগত যোগাযোগ প্রক্রিয়ায় কার্যক্রম সম্পাদনে সাহায্য করে থাকে। এক, মূল্যায়নের লক্ষ্য, উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠী, আস্থা ও নির্ভরতা, যোগাযোগ প্রক্রিয়ার প্রকৃতি এবং মূল্যায়নের জন্য সম্পদের পর্যাপ্ততা বিবেচনা করা; দুই, মূল্যায়নের ক্ষেত্রে এর লক্ষ্যে পৌঁছতে সম্ভাব্যতা যাচাই ও সম্ভাব্য বাধাসমূহ নিরূপণ, অবস্থার প্রেক্ষিতে উপযুক্ত মূল্যায়ন পদ্ধতি গ্রহণ এবং অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষাকে গুরুত্ব সহকারে নেয়া; তিন, বিভিন্ন পর্যায়ে বিশ্লেষণাত্মক তথ্য/ডাটা ব্যবহারে যথাযথ মূল্যায়ন পদ্ধতি ও ব্যবহৃত উপকরণের উন্নয়ন আবশ্যক; চার, মূল্যায়ন প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নির্ভর করে এখানে পরিবেশিত তথ্য বা ডাটার উপস্থাপন পদ্ধতির উপর। এক্ষেত্রে মূল্যায়নের লক্ষ্য সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা, ব্যবহৃত মূল্যায়ন পরিমাপক স্তরগুলোর ব্যাখ্যা, সঠিক পরিসংখ্যানগত তথ্য প্রদান এবং অভিজ্ঞতালব্ধজ্ঞান কাজে লাগাতে হবে; এবং পাঁচ, মূল্যায়নের ক্ষেত্রে উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠী সম্পর্কে ধারণা, গুরুত্ব অনুসারে ফলাফল সাজানো, প্রতিবেদন সহজবোধ্য করা এবং অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষার অনুসরণ গুরুত্বপূর্ণ।    

সুতরাং যে কোনো প্রকল্পের সুষ্ঠু বাস্তবায়নে পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন পরিকল্পনা গ্রহণ অতি গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে প্রকল্প পরিকল্পনাবিদদের প্রকল্প প্রণয়ন কালেই প্রকল্পের অংশ হিসেবে শুরু থেকে পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন পরিকল্পনা গ্রহণ জরুরি। আর তাই একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জনস্বাস্থ্য ও সমাজ উন্নয়নে কৌশগত যোগাযোগ প্রক্রিয়ায় পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন অত্যাবশ্যক হয়ে উঠেছে।

তামাক নিয়ন্ত্রণের উপর একটি জরিপ ফলাফল জানানোর উদ্দেশ্যে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

গত ৮ ডিসেম্বর, ২০১৫ তারিখে ঢাকায় তামাক নিয়ন্ত্রণের উপর জরিপ হতে প্রাপ্ত ফলাফল জানানোর উদ্দেশ্যে Understanding and Enhancing Bangladesh’s Tobacco Control Policy Implementation Processes and Strategies শীর্ষক একটি কার্যকর কর্মশালার আয়োজন করা হয়। সরকারি ও বেসরকারি উভয় পর্যায়ের মুখ্য স্টেকহোল্ডারসহ বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিগণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালার উদ্দেশ্য ছিল জরিপে অংশগ্রহণকারী এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের জরিপের প্রাথমিক ফলাফল জানানো যাতে ফলাফলের গভীরতা ও দৃষ্টিভঙ্গি অনুধাবন করা যায়। এছাড়া সম্ভাব্য অনুল্লিখিত তথ্যসমূহ সংগ্রহ যা তামাক নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়া ও কৌশল সম্পর্কে নতুন অন্তর্দৃষ্টি তৈরি করবে, যেটি নীতি বাস্তবায়নে ভবিষ্যতে ব্যবহারযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার (তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম) জনাব আজম-ই-সাদাত। তিনি তাঁর সমাপনী বক্তব্যে জরিপ কাজ পরিচালনা এবং কর্মশালা আয়োজনের মাধ্যমে ফলাফল জানানোর উদ্দেশ্যে বিসিসিপি ও ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল টোবাকো কন্ট্রোল (আইজিটিসি)-এর প্রশংসা করেন। তিনি মন্তব্য করেন যে, এই জরিপের ফলাফল মূল্যবান, কেননা এগুলো বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতিমালার অনুকূল বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কার্যকর কৌশল গ্রহণে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সাহায্য করবে।

আমেরিকার জনস্ হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথ্-এর সহায়তায় আইজিটিসি’র সাথে বিসিসিপি জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করে। জরিপের মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ও কৌশলের উন্নয়ন ও জানার মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা বাস্তবায়ন বৃদ্ধি করা। জরিপের আওতায় ধূমপান ও তামাক পণ্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) এক্ট ২০১৩-এর অধীনে নীতিমালা ও আইনের বিধিসমূহ জানতে দেশের সর্বত্র গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডারদের সাথে ৭০টি একান্ত সাক্ষাতকার পরিচালিত হয়। আইনটি বলবৎ ও সংশোধনের আগে ও পরে সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহ যেভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রেখেছিল তার উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। সাক্ষাতকারদাতাদের এবং কর্মশালায় উপস্থিত অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের মতামতের ভিত্তিতে তামাক নিয়ন্ত্রণ বাস্তবায়নে কার্যকর ও অকার্যকর প্রক্রিয়াসমূহকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

গবেষণার ফলাফল বেশ চমকপ্রদ যা সহজেই বিসিসিপির কাছ থেকে সংগ্রহ করা যেতে পারে। বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে গবেষণালব্ধ জ্ঞানকে মূল্যবান বলে মনে করা হচ্ছে।

ইলার্নিং কোর্স- এসবিসিসি (SBCC) পেশাজীবীদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য একটি নতুন সম্ভাবনা

বিকেএমআই প্রজেক্টের উদ্যোগে সামাজিক ও আচরণ পরিবর্তন যোগাযোগ (SBCC) বিষয়ে   বার্তা ও উপকরণ তৈরি  (Message and Material Development - MMD)  এবং পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন (Monitoring  and Evaluation) ইলার্নিং কোর্সগুলো বর্তমানে অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। এসবিসিসি কার্যক্রম পরিকল্পনা, ডিজাইন ও বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের জন্য এই কোর্সগুলো তৈরি করা হয়েছে । http://bdsbcc.org – এই ওয়েব সাইটে লগইন করে পৃথিবীর  যে-কোন প্রান্ত থেকে যে-কেউ এই কোর্সগুলো বিনামূল্যে করতে পারবেন।

ভিডিও, ছবি এবং আকর্ষণীয় উদাহরণের মাধ্যমে ছয় মডিউল বিশিষ্ট এমএমডি কোর্সটি ইতিবাচক আচরণ পরিবর্তনের জন্য ফলাফল ভিত্তিক বার্তা ও উপকরণ ডিজাইন করার জন্য হাতে কলমে ধারণা দেয়।

এমএন্ডই কোর্সে চারটি মডিউল রয়েছে যা বিনোদনমূলক পদ্ধতিতে এসবিসিসি ক্ষেত্রে এমএন্ডই সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণার পাশাপাশি তাদের প্রয়োগ সম্পর্কে ধারণা দেয়। এই কোর্সগুলো শুধু বাংলাদেশ নয় এমনকি এই অঞ্চলে এই প্রথমবারের মতো তৈরি করা হয়েছে। এই কোর্সগুলো সমাপ্ত করার পর শিক্ষার্থীরা সার্টিফিকেট পাবেন। কোর্সগুলোর বাংলা সংস্করণ শীঘ্রই পাওয়া যাবে ।

বিকেএমআই ইউএসএআইডি-এর অর্থায়নে গ্লোবাল হেলথ কমিউনিকেশন ক্যাপাসিটি কোলাবরেটিভ-এর অধীনে তিন বছর মেয়াদী একটি প্রকল্প যা যৌথভাবে বিসিসিপি’র মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

পিপিআরপি-২-এর অধীনে ‘সোশ্যাল অ্যাওয়ারনেস এন্ড মেসেজিং ওয়ার্কশপ’ অনুষ্ঠিত

সরকারী ক্রয়সংক্রান্ত পদ্ধতির শর্তাবলীর অধীনে সরকার ও জনগণের সেবা প্রদান উন্নয়নে সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত সংস্কার গুরুত্বপূর্ণ। যোগাযোগের ক্ষেত্রে সংস্কার বিশেষ করে ই-জিপির সুবিধাবিষয়ক সোশ্যাল অ্যাওয়ারনেস এন্ড মেসেজিং ওয়ার্কশপ গত ২০ ও ২১ নভেম্বর, ২০১৫ তারিখে সিলেটের শ্রীমঙ্গলে অনুষ্ঠিত হয়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইমপ্লিমেন্টেশন, মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশন বিভাগ (আইএমইডি)-এর সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) বিশ্ব ব্যাংকের কারিগরি সহায়তায় কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালাটি পরিচালনা করে বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস্ (বিসিসিপি)।

এই কর্মশালায় সরকারী ক্রয়কারী সংস্থা, ঠিকাদার, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমকর্মী এবং সিপিটিইউ হতে মোট ৩০জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ব ব্যাংক ও বিসিসিপির প্রতিনিধিগণও উপস্থিত ছিলেন। সিপিটিইউ-এর মহাপরিচালক জনাব ফারুক হোসেন কর্মশালার উদ্বোধন করেন এবং বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান প্রকিউরমেন্ট বিশেষজ্ঞ জনাব জাফরুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উদ্বোধনী পর্বে বক্তব্য রাখেন। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রিফর্ম প্রজেক্ট-২-এর সামাজিক সচেতনতা প্রচারণা ও যোগাযোগবিষয়ক টিম লিডার মিজ ইয়াসমীন খান এবং ডেপুটি টিম লিডার মিজ খাদিজা বিলকিস কর্মশালার বিভিন্ন সেশন পরিচালনা করেন।

কর্মশালার সামগ্রিক উদ্দেশ্য ছিল কার্যক্রমের কাঙ্ক্ষিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে বিভিন্ন পন্থা খুঁজে বের করা এবং সরকারী ক্রয় পদ্ধতিতে ই-জিপির ব্যবহারে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করা। অংশগ্রহণকারীগণ যোগাযোগের ক্ষেত্রে ই-জিপির সুবিধাবিষয়ক কার্যকর বার্তাসমূহ প্রণয়নে এবং ঐ বার্তাগুলো সরবরাহের লক্ষ্যে অধিক কার্যকর পন্থাসমূহ নির্ধারণে বিভিন্ন অধিবেশনে সম্পৃক্ত ছিলেন।

অংশগ্রহণকারীগণ আলোচনা করেন যে, এটি স্টেকহোল্ডারদের বিশেষ করে ঠিকাদারদের বোঝানো অতীব জরুরি যে, ই-জিপি স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সম-আচরণ, অবাধ প্রতিযোগিতা, যথাসময়ে এবং সরকারী অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে। তারা আরো আলোচনা করেন যে, কৌশলগত যোগাযোগ ও সামাজিক সম্পৃক্ততার ভিতর দিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের মাধ্যমে ইলেক্ট্রনিক গভার্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট তথা পিপিআর-এর কার্যকর বাস্তবায়ন সম্ভব। নতুন প্রজন্ম ও সরকারের নীতিমালা বিবেচনায় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও আইসিটি নির্ভর প্রযুক্তির ব্যবহার কর্মশালার আলোচনায় সমান গুরুত্ব পায়।

কর্মশালার বক্তাগণ মতামত ব্যক্ত করেন যে, ই-জিপি সামগ্রিক জিডিপির উন্নয়ন বৃদ্ধির অন্যতম চালিকাশক্তি হতে পারে। ই-জিপি সরকারী ক্রয় কার্যক্রমে উন্নতি নিশ্চিত করে এবং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে। কর্মশালাটি এই আশাবাদ নিয়ে শেষ হয় যে, সংস্কার বিশেষ করে ই-জিপি জনপ্রিয় হবে এবং জনগণ যে কোন ধরনের সরকারী ক্রয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি ব্যবহার করবে।

ইউপিএইচসিএসডিপি-এর বিসিসিএম বিষয়ক এডভান্সেস ইন স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত

আরবান প্রাইমারী হেলথ কেয়ার সার্ভিস ডেলিভারী প্রজেক্ট (ইউপিএইচসিএসডিপি)-এর আচরণ পরিবর্তন যোগাযোগ ও বিপণন (বিসিসিএম) বিষয়ের অধীনে Advances in Strategic Communication শীর্ষক কর্মশালা গত ২৫-২৭ অক্টোবর ২০১৫ পর্যন্ত গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় সারা দেশ থেকে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিট (পিএমইউ), প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন ইউনিট (পিআইইউ) এবং পিএ এনজিওর ২৯ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের যারা অংশ নিয়েছিলেন তাদের মধ্যে পিএ ইউনিট থেকে প্রকল্প ব্যবস্থাপক ও ক্লিনিক ব্যবস্থাপক, পিএমইউ থেকে সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ও প্রোগ্রাম অফিসার এবং পিআইইউ থেকে প্রোগ্রাম ম্যানেজার ও প্রোগ্রাম অফিসার অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

Advances in Strategic Communication শীর্ষক কর্মশালাটি ছিল ৩ দিনের আবাসিক কর্মশালা, যেখানে অংশগ্রহণকারীগণের কৌশলগত যোগাযোগের গুরুত্ব, নেতৃত্ব, এডভোকেসি, ম্যানেজমেন্ট অব চেঞ্জ, প্রচারণা, ব্রান্ড পজিশনিং প্রভৃতি বিষয়ের উপর তাদের চিন্তাচেতনা ও দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরতে ও প্রদান করতে একে অপরের কাছে আসার সুযোগ ঘটেছিল। ইউপিএইচসিএসডিপি’র প্রকল্প পরিচালক Sustainable Development Goals এবং Increasing Capacity of the Organization শীর্ষক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। উদ্বোধনী ও সমাপনী অধিবেশনের অভ্যাগতরা কৌশলগত যোগাযোগর ধারণা ও উপলব্ধি শাণিত করার ক্ষেত্রে এবং প্রকল্পের বিসিসিএম কার্যক্রম বাস্তবায়নে এর প্রয়োগের উপর জোর দেন। উপস্থাপিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কর্মশালায় বেশকিছু সুপারিশমালা প্রণয়ন করা হয়। অংশগ্রহণকারীগণ তাদের বর্তমান অবস্থা বিশ্লেষণ এবং প্রকল্পের সেবার দক্ষতা বৃদ্ধিতে ভবিষ্যতে তাদের করণীয় সম্পর্কে দলগত কাজে অংশ নেন যা তারা কর্মশালায় উপস্থাপন করেন।

ইউপিএইচসিএসডিপি’র প্রকল্প পরিচালক জনাব আবু বকর ছিদ্দীক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এশীয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের স্টাফ কনসালটেন্টস (আরবান হেলথ) জনাব ধীরাজ কুমার নাথ। কোর্স সমন্বয়কারী হিসেবে কর্মশালাটি প্রধানত পরিচালনা করেন বিসিসিএম বিষয়ক টীম লিডার মিজ ইয়াসমিন খান।