logo

মানসিকতা পরিবর্তন

মানসিকতার বিষয়টি একান্তই ব্যক্তিগত এবং নিজের বোধশক্তি থেকে এটি গড়ে ওঠে । তাই একজন ব্যক্তি স্বেচ্ছায় না চাইলে মানসিকতায় কোন পরিবর্তন ঘটবে না । একটি শিশু জন্মের পর বাবা-মা তাকে যথাসাধ্য ভালোভাবে শিক্ষা দিয়ে ভাল মনের ও ভাল স্বভাবের ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করেন । বয়স বাড়ার সাথে সাথে শিশুটি নতুন নতুন জিনিস শেখে এবং নিজের বোধ থেকে একটি ধারণা লাভ করে । নিজের মেধা ও ইচ্ছাশক্তি কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে একসময় সে পরিণত বয়সে পৌঁছায় । 
 
তবে সবসময় ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করা এবং নতুন কিছু শেখার প্রতি আগ্রহী থাকাটাই কাম্য । শেখার কোন শেষ নেই এই সর্বজনীন সত্যটি উপলব্ধি করতে পারলে সে নিজের সহজ-সরল ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ বুঝে নিতে উদ্যোগী হবে ।
পেশাগতভাবে তৎপর থাকতে হলে যেকোনো প্রতিষ্ঠানকে উন্নয়নশীল বিশ্ব এবং এর নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে । প্রত্যাশিত লক্ষ্যে পৌঁছুতে হলে নেতৃত্ব দানকারী প্রত্যেককে ভিন্œমত যেমন উপলব্ধি করতে হবে, তেমনই আবার বিবেচনা করতে হবে সহকর্মীদের মতামত । নিঃসন্দেহে মতৈক্যে গড়ে ওঠা লক্ষমাত্রা অর্জনই হতে হবে সকল কাজের কেন্দ্র বিন্দু এবং এজন্য নেতৃত্ব দানকারী ব্যক্তির সাধারণ কল্পনার উর্ধে উঠতে পারার মানসিকতা থাকতে হবে । এক্ষেত্রে গতানুগতিক ধারণা থেকে বেরিয়ে সৃষ্টিশীল নতুন নতুন ধারণা কাজে লাগাতে না পারলে বিপর্যয় ঘটতে পারে ।
 
পরিবর্তনশীল পরিবেশে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারলে অসুবিধা এবং অসন্তেুাষ অতিক্রম করা সহজ হবে । এতে সফলতা স্থায়ী হবে এবং তা ধীরে ধীরে লক্ষ্যে পৌঁছানোকে নিশ্চিত করবে । তাই চুড়ান্ত সাফল্যের প্রয়োজনে মানসিকতা পরিবর্তন অপরিহার্য ।

এসবিসিসি কার্যক্রমে দ্বৈততা কমানো ও আরও বেশি লোকের কাছে পৌঁছাতে কার্যকর সমন্বয় সাধনের ওপর গুরুত্বারোপ

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চতুর্থ সেক্টর উন্নয়ন কর্মসূচির অধীনে ২০১৭-১৮ সালে বাস্তবায়িত স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি ক্ষেত্রে এসবিসিসি কার্যক্রমের খসড়া প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও এ সম্পর্কে মতবিনিময় এবং কীভাবে ওপি ভিত্তিক এসবিসিসি কার্যক্রমের কার্যকর সমন্বয় জোরদার করা যায় সে বিষয়ে ১৭ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে ঢাকায় সিআইসিসি মিলনায়তনে (সিরডাপ) একদিনের একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশ্বস্বাস্থ্য ও জনস্বাস্থ্য অনুবিভাগের উদ্যোগে ইউএসএআইডি উজ্জীবন এসবিসিসি প্রজেক্টের কারিগরি সহায়তায় কর্মশালাটি আয়োজন করা হয়েছে। 
 
ইউএসএআইডি’র উজ্জীবন প্রকল্প মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন এবং মূল্যায়ন দক্ষতা বৃদ্ধির সাথে সাথে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বিভিন্ন ইউনিটগুলোর মধ্যে কার্যকর সমন্বয় স্থাপনে সহায়তা প্রদান করছে। একদিনের এই অপারেশন্যাল প্ল্যান (ওপি)-ভিত্তিক এসবিসিসি কার্যক্রম সমন্বয় কর্মশালা ছিল সেই উদ্যোগেরই একটি অংশ।  যার সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যসমূহ ছিল:
  • জাতীয় এইচপিএন কমিউনিকেশন ক্যাম্পেইনে সমন্বয় ও সহযোগিতাঃ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি কর্মসূচির জাতীয় ক্যাম্পেনগুলোতে সমন্বয় ও সহযোগিতার মাধ্যমে আরও বেশি ফললাভে সক্ষম হওয়া
  • স্কুল স্বাস্থ্য পাঠ্যক্রমের অভিন্ন ব্যবহারঃ স্কুল ছাত্রদের জন্য একীভূত এইচপিএন তথ্য, অভিন্ন পাঠ্যক্রমের ব্যবহার, সমন্বিত প্রশিক্ষণ, কর্মক্ষেত্র বা এলাকা বিভাজনের মাধ্যমে দ্বৈততা পরিহার করা এবং একই সময়ে অধিক সংখ্যক স্কুলকে এই কার্যক্রমের আওতায় আনা
  • অভিন্ন ও একীভূত বার্তার লক্ষ্যে সমন্বিত বার্তা প্রদানঃ যেমন, পরিবার পরিকল্পনা, নবব্জাতকের স্বাস্থ্য, পুষ্টি, শিশুপুষ্টি,  মাতৃ স্বাস্থ্য, অ-সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ
  • কমিউনিটি আউটরিচ; স্থানীয় পর্যায়ের ক্যাম্পেইনঃ সমন্বিত স্বাস্থ্য-পরিবার পরিকল্পনা মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পথ নাটক, পল্লী গান ও ভ্রাম্যমান চলচ্চিত্র প্রদর্শনী
এছাড়া এই  কর্মশালায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পরিচালিত এসবিসিসি কার্যক্রমের খসড়া মনিটরিং রিপোর্ট পর্যালোচনা পর্যালোচনার জন্য উপস্থাপন করা হয়। 
 
কর্মশালায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, নিপোর্ট, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বিভিন্ন ইউনিটগুলোর মধ্যে এসবিসিসি কর্মসূচির উন্নয়ন এবং বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট ওপি সমূহ এবং উন্নয়ন সহযোগী ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করে। 
 
একটি অনানুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে  কর্মশালাটি শুরু হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য ও বিশ্বস্বাস্থ্য), স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও এইচপিএন এসবিসিসি কৌশল বাস্তবায়নের জাতীয় কমিটির সভাপতি জনাব মোঃ হাবিবুর রহমান খান স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি ক্ষেত্রে বাস্তবায়িত এসবিসিসি কার্যক্রমের উপর এই প্রথমবারের মতো একটি মনিটরিং প্রতিবেদন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ এবং এসবিসিসি কার্যক্রমে দ্বৈততা কমানো ও আরও বেশি লোকের কাছে পৌঁছাতে কার্যকর সমন্বয় সাধনের ওপর গুরুত্বারোপ করে কর্মশালার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। তিনি এই উদ্যোগে করিগরি সহায়তা প্রদানের জন্য উজ্জীবন এবং ইউএসএআইডিকে ধন্যবাদ জানান। এইচপিএন এসবিসিসি কৌশল বাস্তবায়ন ও মনিটরিং সম্পর্কীত জাতীয় কমিটির কো-চেয়ার এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জনসংখ্যা, পঃকঃ ও আইন) জনাব কাজী এ. কে. এম. মহিউল ইসলাম বার্ষিক এসবিসিসি মনিটরিং প্রতিবেদন প্রণয়ন ও কেন্দ্র হতে মাঠ পর্যায় পর্যন্ত বিষয়ভিত্তিক এসবিসিসি কার্যক্রমের সমন্বয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসম্মত আচরণ পরিবর্তনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান। ইউএসএআইডি উজ্জীবন এসবিসিসি প্রজেক্টের চীপ অব পার্টি   মি: প্যাট্রিক এল কোলম্যান কর্মশালার উপর একটি ওভারভিউ উপস্থাপন  করেন। 
 
ইউএসএআইডি উজ্জীবন এসবিসিসি প্রজেক্টের ডেপুটি চীপ অব পার্টি ডাঃ জিনাত সুলতানা বার্ষিক এইচপিএন এসবিসিসি মনিটরিংএর খসড়া প্রতিবেদন পাওয়ার পয়েন্টে উপস্থাপন করেন। তিনি সংশ্লিষ্ট ওপি/সংস্থা থেকে প্রাপ্ত বাস্তবায়িত কার্যক্রমের প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে থিমভিত্তিক, ভৌগলিক এলাকা ও প্রতিষ্ঠান ভেদে কার্যক্রম বাস্তবায়নের চিত্র তুলে ধরেন। উপস্থাপন কালে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যায়। কোন কোন অংশগ্রহণকারী প্রদত্ত তথ্যে সংযোজনের ও বিয়োজনপক্ষে মত প্রকাশ করেন। এইচপিএন এসবিসিসি কৌশল বাস্তবায়নের জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও যুগ্ম-সচিব (জনস্বাস্থ্য-২) জনাব মোঃ রুহুল আমিন তালুকদার উপস্থাপিত প্রতিবেদনে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং প্রতিবেদনটিতে কিছু কিছু পরিমার্জন ও সংশোধনের প্রস্তাব দেন। এছাড়াও তিনি বলেন যে, সমন্বয় এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য এই কর্মশালাটি আয়োজন করা হয়েছে যাতে করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ওপি-ভিত্তিক স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি (HPN) বিষয়ে পরিচালিত এসবিসিসি কর্মসূচি আরো কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা যায়। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, একটি পরিকল্পিত এবং নিয়মানুগ পদ্ধতিতে এসবিসিসি কার্যক্রম মনিটরিং সমন্বয় করার প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করা অতীব জরুরি। তিনি এই কার্যক্রমে সহযোগিতার জন্য ইউএসএআইডি উজ্জীবন এসবিসিসি প্রজেক্টকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

জিটিএফ বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে: বক্তারা

জনগণের অর্থের যথাযথ ব্যবহার এবং সরকারি কাজে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে জেলাভিত্তিক গর্ভমেন্টটেন্ডারারফোরাম (জিটিএফ) গঠন করা হয়েছে। জিটিএফ’র মাধ্যমে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।
 
১১ মার্চ, ২০১৯ সোমবার বিকেলে সিলেটে জিটিএফ কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।সিলেটের বিভিন্ন ক্রয়কারী সংস্থা ও দরপত্রদাতাদের প্রতিনিধিদের জন্য একদিনের এই জিটিএফ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
 
সিলেটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হলরুমে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) এর মহাপরিচালক এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাস্তবায়ন নিরীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)’র অতিরিক্ত সচিব মো. আলী নূর।
 
সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার (ইনচার্জ) মৃণাল কান্তিদেব, বিশ্বব্যাংকের লিড প্রকিউরমেন্ট বিশেষজ্ঞ এবং ডিজিটাইজিং বাস্তবায়ন মনিটরিং ও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রজেক্ট (ডিআইএমএপিপিপি) এর টাস্ক টিমলিডার ড. জাফরুল ইসলাম, সিপিটিইউ, আইএমইডি এর পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও সমন্বয়), শীষ হায়দার চৌধুরী এবং বাংলাদেশ সেন্টার ফরকমিউনিকেশন প্রোগ্রামের (বিসিসিপি)’র পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান।
 

কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন ডিআইএমএপিপিপি’র প্রিন্সিপাল প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্ট মোস্তা গাউসুল হক, বিসিসিপি’র সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টরখাদিজা বিলকিস, সিপিটিইউ এর উপ-পরিচালক ও সিনিয়র সহকারি সচিব মো. সালাহ উদ্দিন। 
 
কর্মশালায় পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনয় বলা হয়, সরকারী ক্রয় চুক্তির সুষ্ঠ বাস্তবায়ন এবং ক্রয় সংক্রান্ত কোন অস্পষ্টতা বা বিভ্রান্তি দূর করতে জিটিএফএরপ্রাতিষ্ঠানিকতা প্রতি জেলায় ক্রয়কারী ও দরপত্র দাতাদের পারস্পপরিক বুঝাপরার পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে জনগণের     সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরবে।
 
উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন নিরীক্ষণ ডিজিটালকরণের মাধ্যমে সরকারি কেনাকাটায় দক্ষতা ও স্বচ্ছতা বাড়ানোর জন্য সিপিটিইউ বিশ্বব্যাংক এর সহযোগিতায় ডিআইএমএপিপিপি বাস্তবায়ন করছে। কর্মশালায় জিটিএফ টেকসই করতে এবং ৬৪ জেলায় ৬৪ টি জিটিএফ এর কেন্দ্রীয় একটি শীর্ষ সংগঠন তৈরির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে  আলোচনা হয়।

সিলেট স্টুডেন্ট এন্ড পুলিশ এনগেজমেন্ট- স্টুডেন্ট লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কশপস্ (সিলেট এসএলডিডাব্লিউ)

ইউএসএইড-এর অবিরোধ: রোড টু টলারেন্স প্রোগ্রাম, ইউএস এ্যাম্বাসি ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ-এর সহায়তায় এবং স্থানীয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইন্সটিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট এ্যাফেয়ার্স (আইডিয়া)’র সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস (বিসিসিপি) ‘সিলেট স্টুডেন্ট এন্ড পুলিশ এনগেজমেন্ট- স্টুডেন্ট লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কশপস্’(সিলেট এসএলডিডাব্লিউ)- কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পটির অধীনে সিলেটে অবস্থিত নির্ধারিত তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিটিতে ৬টি বিষয়ভিত্তিক ওয়ার্কশপসহ ক্যাম্পাস ও কমিউনিটিভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। নির্ধারিত ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি ও এম. সি. কলেজের নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী এবং সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ-এর মনোনীত সদস্যগণ এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন।
 
ছাত্র ও পুলিশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং সমকালীন সামাজিক বিষয়সহ স্থিতিশীল সমাজ গঠন, নেতৃত্বের উন্নয়ন, দেশপ্রেম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, আন্তঃধর্মীয় সংলাপ, জীবন দক্ষতা বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান উন্নয়নের মাধ্যমে ছাত্রসমাজের সহনশীলতা বৃদ্ধি করা এই কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য।
 
পুলিশ ও ছাত্রদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন ঘটানোর লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র এবং তাদের সংগঠনগুলোর ইতিবাচক ধারণা তৈরির মাধ্যমে সহিংসতা, চরমপন্থা, রেডিক্যালাইজেশন এবং আন্তঃধর্মীয় কার্যক্রম বিষয়ে সংলাপ শুরু করা, শান্তিপূর্ণ উপায় দ্বন্দ্ব নিরসনে উৎসাহিত করাকে এই কার্যক্রম গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এ ছাড়াও সিলেট এসএলডিডব্লু প্রকল্পের অধীনে গৃহীত কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নেতৃত্ব তৈরি, যোগাযোগ এবং ভাব বিনিময়ের জন্যে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করা হবে- যা ছাত্র সংগঠনগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যে অবদান রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।
 
১ জানুয়ারি ২০১৯ থেকে শুরু হয়ে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত বছরব্যাপী এ প্রকল্পের প্রথম ৩ মাসে বেশ কিছু কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে।
সাধারণ মানুষ ও পুলিশের মধ্যে সম্পর্ক সম্বন্ধে ধারণা এবং এই সম্পর্ককে প্রভাবিত করে এমন বিষয় চিহ্নিত করাসহ কীভাবে এই সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটানো যায়- এ বিষয়ে একটি জরিপকার্য পরিচালিত হয়। বিসিসিপি’র তত্ত্বাবধানে ইনোভেটিভ রিসার্চ এন্ড কনসালটেন্সি লিঃ (আইআরসি) জরিপটি কার্যক্রম পরিচালনা করে।
 

‘সিলেট স্টুডেন্ট এন্ড পুলিশ এনগেজমেন্ট- স্টুডেন্ট লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কশপস্’(সিলেট এসএলডিডাব্লিউ) নামক এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নির্ধারিত ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় কমিউনিটি স্টেকহোল্ডারদের সাথে ৩টি স্টেকহোল্ডার মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।
 
সিলেট এসএলডিডাব্লিউ নামক প্রকল্পটি ফলপ্রসূভাবে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে পরামর্শ ও মতামত গ্রহণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি ‘প্রজেক্ট স্টিয়ারিং/এ্যাডভাইজরি কমিটি’গঠন করা হয়।
এই প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিতব্য কর্মশালার নির্ধারিত ৬টি বিষয় সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের ধারণা কি- সে বিষয় জানার জন্য উল্লিখিত ৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩টি ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মনোনীত সদস্যদের সাথে ১টিসহ মোট ৪টি এফজিডি পরিচালনা করা হয়।
প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিষয়ভিত্তিক ৬টি কর্মশালা আয়োজনের লক্ষ্যে অংশগ্রহণকারী নির্বাচনের জন্য তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলাদা আলাদাভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এর ফলে ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৫০ জন শিক্ষার্থীকে এই কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত করা হয়।
 
প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগামী জুন মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে কর্মশালা পরিচালনা করাসহ বাকি কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতির কাজ এগিয়ে চলছে।

টোবাকো কন্ট্রোল পলিসি রিসার্চ গ্রান্ট প্রোগ্রাম ২০১৯

দেশের স্বনামধন্য তামাক নিয়ন্ত্রণ গবেষকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রস্তাবনা মূল্যায়ন প্যানেলের সহায়তায়, বিসিসিপি টোব্যাকো কন্ট্রোল পলিসি রিসার্চ গ্রান্ট প্রোগ্রাম ২০১৯ আওতায় ৯টি প্রস্তাবনাকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করেছে। এই ৯টি প্রস্তাবনার মধ্যে ৫টি ‘স্টুডেন্ট’ক্যাটাগরি থেকে ও ৪টি ‘রিসার্চার’ক্যাটাগরি থেকে নির্বাচন করা হয়েছে। প্রস্তাবনা মূল্যায়ণ করার সময়  প্রস্তাবনা মূল্যায়ণ প্যানেল যে ৩টি ধাপ অনুসরণ করেছেন সেগুলো হলো: ১) কারিগরি মূল্যায়ণ করার জন্য গৃহীত সকল প্রস্তাবনাগুলো বাছাই করে একটি ছোট তালিকা প্রনয়ণ; ২) কারিগরি মূল্যায়ণ সম্পন্ন করা; ও ৩) আবেদনকারী কর্তৃক প্রস্তাবনা উপস্থাপন মূল্যায়ণ করা। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রস্তাবনাগুলো অধিকতর মূল্যায়ণ করার জন্য এপ্রিল মাসের প্রথমে সপ্তাহে দুইদিন ব্যাপী একটি প্রস্তাবনা মূল্যায়ন ও চুড়ান্তকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে রিসার্চ গ্রান্টিদের সাথে চুক্তিনামা স্বাক্ষরের পরিকল্পনা রয়েছে।

অসংট্রামক রোগের ঝুঁকি এবং স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপন বিষয়ক আচরণ পরিবর্তন যোগাযোগ উপকরণ

গত মার্চ ২০১৯, বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস্ (বিসিসিপি) অসংট্রামক রোগের ঝুঁকি এবং স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপন বিষয়ক আচরণ পরিবর্তন যোগাযোগ উপকরণসমূহের একটি সেট জাইকা বাংলাদেশ -স্বাস্থ্য প্রকল্পের জন্য ধারণাগত প্রক্রিয়া, ডিজাইন, প্রিটেষ্ট এবং একটি যাচাইকরণ কর্মশালার মধ্য দিয়ে তৈরি করেছে। উপকরণগুলো হচ্ছে ফ্লিপচার্ট (বাংলা) ও ব্যবহারকারী ম্যনুয়্যাল (বাংলা এবং ইংরেজী) এবং ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্ত চাপ বিষয়ক পিক্টোরিয়াল কার্ড। তৈরিকৃত এই উপকরণসমূহের উদ্দেশ্য হচ্ছে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে অসংট্রামক রোগ সম্পর্কে সচেতন করা এবং অসংট্রামক রোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপনের অভ্যাস গড়ে তোলা। 
 

এই তৈরিকৃত আচরণ পরিবর্তন যোগাযোগ উপকরণসমূহ সাধারণ মানুষ কীভাবে স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপনের মাধ্যমে অসংট্রামক রোগগুলোকে প্রতিরোধ ও প্রতিকার করবে সে বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ (খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন, শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ, নিয়মিত হাটা ও কায়িক পরিশ্রম এবং তামাক ও নেশা জাতীয় দ্রব্য পরিহার) তুলে ধরা হয়েছে। আশা করা যায়, কমিউনিটি স্বাস্থ্য কর্মী, পিক্টোরিয়াল কার্ড সরবরাহ এবং উপকরণসমূহের সঠিক ব্যবহারের মধ্য দিয়ে অসংট্রামক রোগের ঝুঁকিসমূহ বিশেষ করে হাইপার টেনশন এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

২৪ তম এডভান্সেস ইন স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশন ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস (বিসিসিপি)’র ২৩তম এডভান্সেস ইন স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশন ওয়ার্কশপ  গত  ০২ থেকে ১৪ মার্চ, ২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। দুই সপ্তাহব্যাপী কর্মশালায় বিভিন্ন  সরকারি অধিদপ্তর এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে মধ্যম ও উচ্চ স্তরের ২২ জন যোগাযোগ পেশাজীবী অংশগ্রহণ করেন।
 
কার্যকরভাবে যোগাযোগ প্রকল্প প্রণয়নে যোগাযোগ পেশাজীবীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছর বিসিসিপি কর্মশালাটি পরিচালিত করছে। সোস্যাল ও বিহেভিয়ার চেঞ্জ কমিউনিকেশন (এসবিসিসি)’র জন্য শক্তিশালী যোগাযোগ কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও কর্মকৌশল  তৈরিতে উচ্চ স্তর থেকে মধ্যম স্তরের ব্যবস্থাপকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি এই কর্মশালাটির মূল উদ্দেশ্য।
 
যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স ইউনিভার্সিটি - সেন্টার ফর কমিউনিকেশন  প্রোগ্রামস্-এর নিয়মিত আয়োজন এডভান্সেস ইন ফ্যামিলি হেলথ্ এন্ড সোশ্যাল কমিউনিকেশন ওয়ার্কশপ-এর আদলে পরিচালিত এই কর্মশালায় সামাজিক উন্নয়ন কার্যক্রম বিষয়ে সফল যোগাযোগের অত্যাবশ্যকীয় উপাদানসমূহ ব্যাখ্যা করা হয়, যা এসবিসিসি কার্যক্রমের সাথে জরিতদের জন্য এবিষয়ে দক্ষতা অর্জনের একটি অনন্য সুযোগ। 
 
কর্মশালাটি সম্পূর্ণরুপে অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সাজানো। কর্মশালায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত প্রশিক্ষকগণ যোগাযোগ প্রক্রিয়ার সাম্প্রতিক ও আধুনিক বিভিন্ন পদ্ধতি ও কৈৗশলের সাথে অংশগ্রহণকারীদের পরিচয় করিয়ে দেন। এই কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীগণ ছোট দলে ভাগ হয়ে SCOPE নামক একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে যোগাযোগ প্রকল্প প্রণয়ন ও উপস্থাপন করেন।