logo

জীবনে নেতৃত্বের গুরুত্ব

আমাদের জীবনে নেতৃত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষত শিক্ষা জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে সফলতা অর্জনের জন্য নেতৃত্বের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের জীবনের ক্রমবিকাশে অনেক পর্যায় অতিক্রম করতে হয়, যেখানে নেতৃত্বগুণের প্রয়োজন অপরিহার্য। দৈনন্দিন জীবনে শিক্ষার্থীদের অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়, যেমন: সমসাময়িক সামাজিক ইস্যু, ধর্মীয় ইস্যু, আদর্শবাদ ও সুবিধাবাদ-এর মধ্যকার দ্বন্দ্ব ইত্যাদি। এই চ্যালেঞ্জসমূহ গ্রহণ, সমাধান ও বিশ্লেষণ করতে তাদের নেতৃত্বের দক্ষতারও প্রয়োজন। 
 
একটি সমাজ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিসিসিপি শিক্ষার্থীদের সমন্বিতভাবে নেতৃত্ব উন্নয়নে বিশ্বাসী; তাই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার লক্ষ্যে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে বিসিসিপি বেশ কিছু ট্রেনিং এবং ওয়ার্কশপ পরিচালনা করে।
 
মানুষ সামাজিক জীব। সমাজের মঙ্গলে নিজের শক্তি ও সামর্থ নিয়ে ইতিবাচক কাজ করার জন্য তরুণদের পথ দেখানো বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য একটি সময়ের দাবি।
 
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গঠনে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব বিকাশের লক্ষ্যে বিসিসিপি ‘স্টুডেন্ট লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কশপ’পরিচালনা করছে।
 
সমাজের মঙ্গল কার্যক্রমে সাফল্য অর্জনের লক্ষ্যে তরুণদের বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের যেসব বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে, তা হলো- সমাজের প্রতি নিজের দায়িত্ব, সমসায়িক সামাজিক ইস্যু, সঠিক ও দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার, ধর্মীয় সংলাপ, পুলিশিং ও অপরাধ রিপোর্টিং এবং অহিংস পথে সমাজের  ইতিবাচক পরিবর্তন।
 
এ কথা অনস্বীকার্য যে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনায়নে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের বিশেষ করে ছাত্রদের ভুল ধারণা দূর করে উভয়ের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপন এবং শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে একে অপরকে সাহায্য করে তাদের নেতৃত্বের দক্ষতা দৃঢ় করার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামের দুটি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি কলেজে শিক্ষার্থী এবং পুলিশের যৌথ অংশগ্রহণে ‘স্টুডেন্ট লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কশপ’ কার্যক্রমটি পরিচালনা করা হয়।
 
চট্টগ্রামে এই কার্যক্রম করার আগে বিসিসিপি রাজশাহীতে সফলভাবে কার্যক্রমটি পরিচালনা করেছে। বিসিসিপি আরো অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজে কার্যক্রমটি সম্প্রসারণের প্রত্যাশা রাখে।

সুস্থ সমাজ গঠন ও সম্পর্ক উন্নয়নে একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

‘এটাই আমার জীবনের শেষ দিন হতে পারতো’- কথাগুলো বলছিলো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া ২৩ বছরের শিক্ষার্থী মিথিলা। শহরের রাস্তায় অস্বস্তিকর দৃশ্য দেখা একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে; ফলে সব বয়সের মহিলাই কোনো না কোনোভাবে অপদস্থ হচ্ছেন; আর এই ভয়েই তারা সব সময় তটস্থ থাকেন। 
 
এই গল্পটি সে বলছিলো বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস্ (বিসিসিপি) কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত স্টুডেন্ট লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কশপ (এসএলডব্লিউ) শেষে আয়োজিত সেমিনারের। 
 
এসএলডিডব্লিউ কার্যক্রম বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য হলো- কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং তাদের সংগঠনের ইতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করা- যা সমাজের নিন্দনীয় বা খারাপ আচরণ দূর করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই উদ্দেশ্য সহজে অর্জন করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থী এবং পুলিশকে একত্রিত করা হয়েছিল; তারা যেনো সমাজের স্থিতিশীলতা বিনষ্টকারী বা অশান্তি সৃষ্টিকারী বিষয় নিয়ে একে অপরের সাথে আলোচনা করতে পারে।
 
একদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় কিছু বখাটে মিথিলাকে অনুসরণ করছিলো, মিথিলা তখন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সঙ্গে যোগাযোগ করে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই দুই জন পুলিশ কনস্টেবল তাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন এবং বখাটেদের গ্রেপ্তার করেন।
 
মিথিলা বলেন, পুলিশের সাথে সহজেই যোগাযোগের জন্য ভেতরের যে সাহস সঞ্চিত হয়েছে, সেই সাহস যুগিয়েছে বিসিসিপি। এ ধরনের উদ্যোগ হাজারো মিথিলাকে সাহায্য করতে পারে। 
 
পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা কি সে সম্পর্কে কথা বলছিলেন এসএলডিুিব্লউ-এ অংশগ্রহণকারী একজন পুলিশ সদস্য। তিনি বলেন, এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা অসৎ এবং খারাপ মানসিকতার; কিন্তু বেশিরভাগ পুলিশ সদস্যই তাদের (পুলিশের) মূল নীতি মেনেই চলেন এবং তারা বিশ্বাস করে যে কমিউনিটিকে সাহায্য-সহযোগিতা করাই তাদের দায়িত্ব। যখন পুরো দেশের মানুষ কোনো উৎসব উদ্যাপনে জন্যে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগ দেয় তখন পুলিশ সদস্য সমগ্র জাতিকে নিরাপদ এবং উৎসবকে নিরবচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে তাদের উৎসব উপভোগ বা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর মতো আনন্দকেও উৎসর্গ করেন বা বিসর্জন দেন। সাধারণ মানুষের মনে প্রথিত ভ্রান্ত ধারণা দূর করে পুলিশ সম্পর্কে তার মতামত এবং পরিষ্কার ধারণা প্রদানের সুযোগ দানের জন্যে তিনি বিসিসিপিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
 
এই ফোরাম বিসিসিপি কর্তৃক বাস্তবায়িত এসএলডিডব্লিউ-এর একটি সফল উদ্যোগ বা ফসল। পুলিশের সাহায্য পাওয়ার বা পুলিশকে সাহায্য করার জন্যে এই ফোরাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
কর্মশালাটির পরিকল্পনা ছিলো- ছাত্র এবং পুলিশের মধ্যে সম্পর্ক হবে সর্বোচ্চ পর্যায়ের। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে মূল যোগাযোগকারী হিসেবে ছাত্ররা ক্ষমতায়িত হতে শিখবে এবং তাদের মধ্যে নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা তৈরি হবে, মতামত আদান-প্রদানের জন্যে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করবে এবং সমাজ গঠনে বহু সংস্কৃতি ও বহুজনে বিশ্বাসী হবে, আর তারা ছাত্র সংগঠনের সক্ষমতা অর্জনে অবদান রাখবে। এভাবেই আমরা চরমপন্থা ও র‌্যাডিক্যালাইজেশন নির্মূলের লক্ষ্যে পুলিশের সাথে বিশেষভাবে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে সব ধরনের দ্বিধা দূর করতে সক্ষম হবো।
 
ভিন্ন ভিন্ন ৬টি বিষয় নিয়ে মোট ৬টি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। ৬টি বিষয় ছিলো- যুব নেতৃত্ব এবং দক্ষতা বৃদ্ধি; আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং ইন্টারফেইথ ডায়ালগ; রেডিক্যালাইজেশন এবং রেডিক্যালাইজেশন প্রতিরোধ; পুলিশিং এবং রিপোর্টিং ক্রাইম; দেশপ্রেম ও পরিবর্তন আনায়ন; এবং চলমান সামাজিক সমস্যা এবং সমাজে স্থিতিশীলতা।
 
নেতৃত্ব প্রদান একটি দক্ষতা; এবং এটা সত্যি যে, এসএলডিডব্লউর এই ৬টি ওয়ার্কশপ শেষ করলেই এই দক্ষতা অর্জন সম্পূর্ণ হবে না। যদিও আমরা যে সমাজে বসবাস করি সেই সমাজকে যৌথভাবে সাহায্য - সহযোগিতার করার লক্ষ্যে ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণকারীদের (পুলিশ ও ছাত্র) একত্রিত হওয়ার জন্যে বিশেষ ক্ষেত্র বা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এই প্রোগ্রামের কার্যকারীতা সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীগণ যে কৃতজ্ঞতাবোধ প্রকাশ করেন বিসিসিপি তা বিনীতভাবেই গ্রহণ করে। বিসিসিপির এই উদ্যোগ ছিলো- অনন্য; তাই এই অভিভূতকারীর প্রতিক্রিয়ায় আমরা উল্লসিত বা আনন্দিত। 

সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট-এ ডিম্যাপ-এর সাথে বিসিসিপি’র কার্যক্রম শুরু

বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)’র অধীন সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) এবং বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস্ (বিসিসিপি)-এর মধ্যে ১৯ জুন ২০১৮ তারিখে সিপিটিইউ-এর সভাকক্ষে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং এন্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রজেক্ট (ডিম্যাপ)-এর আওতায় স্ট্রাটিজিক বিহেভিয়ার চেঞ্জ কমিউনিকেশন বিষয়ক চার বছর মেয়াদি কন্সালটেন্সি সার্ভিসের জন্য এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সিপিটিইউ’র মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জনাব মোঃ ফারুক হোসেন, সিপিটিইউ’র উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং বিসিসিপি’র কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। চুক্তিপত্রে সিপিটিইউ’র পক্ষে জনাব মোঃ ফারুক হোসেন, মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এবং বিসিসিপি’র পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষে জনাব মোঃ মোতাহারুল হক, যুগ্ম পরিচালক স্বাক্ষর করেন।  
 

উল্লেখ্য যে, সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে “ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং এন্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রজেক্ট” (ডিম্যাপ) প্রকল্পটি বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাস্তবায়ন করছে। পাবলিক প্রকিউরমেন্টের কার্যক্রমের উন্নয়ন এবং উন্নয়ন প্রকল্প ও কর্মসূচির বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা ডিম্যাপ-এর সার্বিক উদ্দেশ্য। সিপিটিইউ’র পুনর্গঠন ও ই-জিপি’র প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ, সরকারি ক্রয়ের অধিকতর ডিজিটাইজেশন, পেশাদারিত্ব ও নাগরিক অংশগ্রহণ সৃষ্টি এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণের ডিজিটাইজেশন এই চারটি কম্পোনেন্টকে সামনে রেখে সিপিটিইউ জুলাই ২০১৭ থেকে জুন ২০২২ পর্যন্ত পাঁচ বছর মেয়াদী প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
 
বিসিসিপি এই প্রকল্পে জুন ২০২২ পর্যন্ত ৪ বছর মেয়াদী স্ট্রাটিজিক কমিউনিকেশন ও নাগরিক অংশগ্রহণ সৃষ্টি কম্পোনেন্টে কাজ করবে। বিসিসিপি এই কম্পোনেন্টের আওতায়  একটি যোগাযোগ কৌশল ও কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করবে এবং যোগাযোগ কৌশল ও কর্ম পকিল্পনা বাস্তবায়ন করবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমগুলো: গভর্নমেন্ট এন্ড কন্ট্রাক্টর ফোরাম গঠন ও জোরদারকরণ, ক্যাম্পেইন, মিডিয়া মবিলাইজেশন, স্টেকহোল্ডার মবিলাইজেশন ইত্যাদি।

কমিউনিকেশন ফর ডেভ্লপমেন্ট বিষয়ে পাঠ্যক্রম প্রণয়নে কর্মশালা

কমিউনিকেশন ফর ডেভ্লপমেন্ট (সিফরডি) বিষয়ে পাঠ্যক্রম প্রণয়নে গত জুন ২৪-২৮, ২০১৮ সাভারের বিসিডিএম-এ এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মুঞ্জুরী কমিশন, ইউনিসেফ, ওহাইও বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস (বিসিসিপি) যৌথভাবে কর্মশালাটি আয়োজন করে। ওহাইও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একটি চুক্তির অধীনে বিসিসিপি এই কর্মশালা বাস্তবায়নে কারিগরি সহায়তা প্রদান করে এবং কর্মশালার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করে। সিফরডি ই-লার্নিং প্রাথমিক কোর্সটি সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন এমন ৩০ জন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেকাল্টি এই কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করেন।
 
কর্মশালার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল, সিফরডি বিষয়ে পাঠ্যক্রম প্রণয়ন যা স্নাতক/ স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অন্য কোর্সের সাথে যৌথ বা এককভাবে গ্রহণ করার সুযোগ থাকবে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, সরকারি বা বেসরকারি কর্মীদের পেশাগত উন্নয়নে বিভিন্ন প্রোগ্রামে ব্যবহারের সুযোগ থাকবে।  
 
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফ সিফরডি এর প্রধান নেহা কাপিল। তিনি তাঁর বক্তব্যে স্থানীয় পার্টনার হিসাবে বিসিসিপির ভূমিকা উল্লেখ করেন। একাডেমিয়ার সাথে কাজ করার আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন - ওয়াইদারা গিকোনেও, পিএইচডি, লার্নিং এ্যাডভাইজার, ইউনিসেফ প্রধান কার্যালয় নিউইয়র্ক। প্রধান আতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মুঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যন, প্রফেসর আব্দুল মান্নান। 
 
কর্মশালাটি পরিচালনা করেন, প্রফেসর ইমেরিটাস ডেভিড এউচ মল্ড, পিএইচডি, মিডিয়া আর্টস এবং স্টাডিজ এর নেতৃত্বে ওহিও বিশ্ববিদ্যালয়ের একাটি দল। 

প্রশিক্ষণ মডিউল, প্রশিক্ষণ ও গাইড লাইন

বাংলাদেশ ট্রেনিং এন্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশন (বিটিআরএফ), প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ -এর Strengthening Health Outcomes for Women and Children (SHOW) প্রকল্পের এর জন্য বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় জেন্ডার সমতা এবং যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার বিষয়ক সামাজিক ও আচরণিক পরিবর্তনে অডিও-ভিজুয়াল উপকরণ ব্যবহারের উপর একটি সহয়িকা তৈরি  করছে। মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে, সম্পদ ব্যবহারে ও নিয়ন্ত্রণে নারীর অধিকার ও অংশগ্রহণের পাশাপাশি প্রসুতি ও নবজাতকের  যতেœ, সন্তান লালন-পালনে ও অন্যান্য সাংসারিক  কাজে পুরুষের ভূমিকা ও অংশগ্রহণ; অস্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি, প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ, যৌনবাহিত রোগ ও এইচআইভি ও এইডস, নিরাপদ গর্ভপাত ও গর্ভপাত পরবর্তী সেবা গ্রহণ; এবং বল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও সার্বিক পরিবর্তনে চেঞ্জমেকার/পরিবর্তনকারীদের ভূমিকাসহ মোট ১০টি বিষয়ে মাঠপর্যায়ের কর্মীদের উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর আচরণ পরিবর্তনে সহায়তা করার জন্য এই সহায়িকা তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া এখানে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও প্রকল্পের সহযোগী উন্নয়ন সংস্থার প্রশিক্ষণ পুলের কর্মীদের নিয়ে একটি ০৫ দিনের প্রশিক্ষক-প্রশিক্ষণ (TOT) প্রদান করা হবে।
 
এছাড়া Terre des hommes (Tdh) এর কর্মীদের জন্য ‘স্থানীয় পর্যায়ে এডভোকেসি’ -এর  উপর একটি প্রশিক্ষণ মডিউল ও একটি গাইড লাইন প্রস্তুত করা হয়েছে এবং কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারিতে ঞফয-এর কর্মকর্তাদের ০৪ দিনের একটি প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।