প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে বিশ্ব এগিয়ে চলেছে। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। আর এক্ষেত্রে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে বর্তমান ই-সংযোগ। সমাজ উন্নয়ন, শিক্ষা ও আধুনিক স্বাস্থ্যসেবাসহ প্রভৃতি বিষয়ে উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর কাছে তথ্য পরিবেশনের ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব অপরিসীম। আধুনিক যোগাযোগ কৌশলে তাই বিসিসিপি তার কার্যক্রমকে গতিশীল করতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি)-এর উপর জোর দিয়েছে। আর তাই বিসিসিপির জনস্বাস্থ্য ও সমাজ উন্নয়ন বিষয়ক কার্যক্রমে আইসিটি গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হচ্ছে এবং কার্যক্রম পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে এর ব্যবহার ধীরে ধীরে ব্যাপকতা লাভ করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে।
আমরা মনে করি বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশনের পথে সংযোগের ই-ভার্সান আমাদের তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষতাকে সমৃদ্ধ করেছে। পাঠক ই-সংযোগ সহজে দেখতে ও পড়তে পারছেন এটাই আশার কথা।
শুভকামনা।
আচরণ পরিবর্তন যোগাযোগ ও বিপণন (বিসিসিএম)বিষয়ক বেসলাইন জরিপের তথ্যসমূহ সম্পর্কিত অবহিতকরণ সভা গত ২৩ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। যা বিসিসিপি’র তত্ত্বাবধানে ‘অর্গ-কোয়েস্ট রিসার্চ লিমিটেড’ পরিচালনা করে। এই জরিপের উদ্দেশ্য ছিল স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আচরণগুলোর বিভিন্নতা বিষয়ে বিদ্যমান জ্ঞান ও চর্চা নিরূপণ করাসহ ইউপিএইচসিএসডিপি’র রংধনু ক্লিনিকের সেবাসমূহ প্রচারণার মাধ্যমে ব্রান্ডের স্বীকৃতি এবং কার্যক্রমসমূহ উৎসাহিত করা।
এই অবহিতকরণ সভায় পিএমইউ, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ৪টি পিআইইউ, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ, ২৫টি পিএ ইউনিটের সকল প্রকল্প ব্যবস্থাপক, ইউপিএইচসিএসডিপি’র সাথে কর্মরত কনসালটিং ফার্মের প্রতিনিধিগণ এবং সংশ্লিষ্ট দাতা সংস্থার প্রতিনিধিসহ মোট ৭৫ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন। বেসলাইন জরিপ সংক্রান্ত বিসিসিএম-এর তথ্যসমূহের উপর প্রতিবেদনটি অর্গ-কোয়েস্ট-এর প্রতিনিধিগণ তৈরি করেন।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (এমআইএ) মিস জুয়েনা আজিজ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। জনাব ধীরাজ কুমার নাথ, স্টাফ কনসালট্যান্ট (নগর স্বাস্থ্য), বিআরএম, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক এবং ডা. রফিকুস সুলতান, প্রজেক্ট টেকনিক্যাল অফিসার, ইউএনিএফপিএ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় ইউপিএইচএসডিপি’র প্রকল্প পরিচালক, জনাব আবু বকর ছিদ্দীক সভাপতিত্ব করেন।
মিস সোনিয়া ইসলাম, মার্কেটিং কনসালটেন্ট, বিসিসিএম কম্পোনেন্ট স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং বিসিসিএম কম্পোনেন্টের টিম লিডার মিস ইয়াসমীন খান সংক্ষিপ্ত পাওয়ার পয়েন্ট প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিসিসিএমবিষযক সামগ্রিক কার্যক্রম তুলে ধরেন। বিসিসিপির উপ-পরিচালক (গবেষণা ও মূল্যায়ন) ড. কপিল আহমেদ উপস্থিত কর্মকর্তা ও অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্নের ব্যাখ্যা দেন এবং প্রতিবেদন ও আলোচনার সংক্ষিপ্ত সারনির্যাস তুলে ধরেন। সবশেষে সভাপতির বক্তব্যের মাধ্যমে অবহিতকরণ সভাটি শেষ হয়।
স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে ইউপিএইচসিএসডিপি’র রংধনু ক্লিনিকের সেবাসমূহ প্রচারণার জন্যে গত ২১ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে খুলনা সিটি কর্পোরেশনে Engaging Local Leaders in Promoting Urban Health শীর্ষক একদিনের একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার উদ্দেশ্য ছিল ওয়ার্ড কাউন্সিলদের ভূমিকা ও দায়িত্ব নির্ধারণের মাধ্যমে সম্ভাব্য সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে রংধনু ক্লিনিকের নগর স্বাস্থ্য সেবাসমূহের প্রচারণার ক্ষেত্রে স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে সম্পৃক্ত করা। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারসহ মোট ৭৫ জন অংশগ্রহণকারী আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
ইউপিএইচসিএসডিপি’র প্রকল্প পরিচালক জনাব আবু বকর ছিদ্দীক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।এই আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব গোকুল কৃষ্ণ ঘোষ ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: আবুল খায়ের মো: আব্দুল্লাহ; জানব গুরু প্রসাদ ঘোষ, উপ-পরিচালক, পরিবার পরিকল্পনা, খুলনা; খুলনা সিটি কর্পোরেশনের হেলথ্ স্টান্ডিং কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন হেলাল; খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিনিধি; এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশনের দুজন প্যানেল মেয়র মিস রুমানা খাতুন ও জনাব শেথ হাফিজুর রহমান হাফিজ। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় ভারপ্রাপ্ত মেয়র জনাব মো: আনিসুর রহমান বিশ্বাস সভার সভাপতিত্ব করেন।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের পিআইইউ-এর প্রোগ্রাম অফিসার ডা: স্বপন কুমার হালদার স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং বিসিসিএম কম্পোনেন্টের কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট মিস কান্তা দেবী আলোচনা সভার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন ও আলোচনা পরিচালনা করেন। জনাব মোল্লা শওকত হোসেন, প্রকল্প ব্যবস্থাপক, কেএমএসএস, পিএ-১ এবং জনাব মো: আব্দুর রাজ্জাক, প্রকল্প ব্যবস্থাপক, কেএমএসএস, পিএ-২, খুলনা সিআরএইচসিসি ও পিএইচসিসি হিসেবে পরিচিত রংধনু চিহ্নিত সেবাকেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে প্রদত্ত সেবাসমূহের উপর একটি সংক্ষিপ্ত পাওয়ার পয়েন্ট প্রতিবেদন তুলে ধরেন। যেখানে নগর স্বাস্থ্যের প্রচারণায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের প্রতিনিধিদের ভূমিকা ও দায়িত্ব নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা হয়। অংশগ্রহণকারীগণ উন্মুক্ত আলোচনায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং ইউপিএইচসিএসডিপি’র সেবাসংক্রান্ত প্রশ্ন উত্থাপন করেন।
প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিগণ উন্মুক্ত আলোচনা শেষে তাঁদের বক্তব্য প্রদান করেন এবং অংশগ্রহণকারীদের উত্থাপিত প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেবার চেষ্টা করেন। আলোচনা সভাটি সভাপতির বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আওতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) ইউনিটের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ৩ দিনব্যাপী আঞ্চলিক কনফারেন্স “মেজারমেন্ট এন্ড একাউন্টেবিলিটি ফর হেলথ (এমএফরএইচ)”-এ বাংলাদেশ নলেজ ম্যানেজমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (বিকেএমআই) প্রজেক্ট অংশগ্রহণ করে। কনফারেন্সটি গত ২৬-২৮ এপ্রিল ২০১৬ রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত কনফারেন্সটিতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ এবং লিপিবদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা হয়। কনফারেন্সটিতে বিভিন্ন সংস্থাগুলো তাদের তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক ডিজিটাল রিসোর্সগুলো বুথে প্রদর্শন করে। বিকেএমআই প্রজেক্টের ডিজিটাল রিসোর্সগুলোর মধ্যে ছিল মাঠ কর্মীদের জন্য ইটুলকিট, ইলানিং কোর্স, প্রোগ্রাম ম্যানেজারদের জন্য ইটুলকিট, ইলানিং কোর্স এবং বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন ইউনিটের (স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান এবং তথ্য, শিক্ষা ও উদবুদ্ধকরণ) ডিজিটাল আর্কাইভ।
বিকেএমআই প্রজেক্টের রিসোর্সগুলোর মধ্যে মাঠকর্মীদের জন্য ইটুলকিটটি স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা এবং পুষ্টি বিষয়ক প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক উপকরণ সম্বলিত একটি ডিজিটাল লাইব্রেরি। এটি ক্লায়েন্ট কাউন্সেলিং-এর সময় মাঠকর্মীদের ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে। কাউন্সেলিং-এর জন্য স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও পুষ্টি বিষয়ে মাঠকর্মীদের জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়ানোর জন্য ইলার্নিং কোর্সটি খুবই উপযোগী। এই কোর্সটি বাংলায় তৈরি এবং এতে রয়েছে আটটি মডিউল। প্রোগ্রাম ম্যানেজারদের জন্য তৈরি ইটুলকিটটিতে আছে বিভিন্ন ধরনের গাইডলাইন, কারিকুলাম, জবএইড, কেস স্টাডিসহ অন্যান্য কার্যকরী টুল যা এসবিসিসি কার্যক্রম পরিকল্পনা, পরিচালনা এবং মূল্যায়নে সহায়ক। প্রোগ্রাম ম্যানেজারদের জন্য তৈরি ইলার্নিং কোর্সগুলো স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা এবং পুষ্টি বিষয়ে দক্ষতা বাড়ানোর জন্য কার্যকরী। প্রোগ্রাম ম্যানেজারদের জন্য দুটি কোর্স রয়েছে। একটি হলো বার্তা ও উপকরণ তৈরি এবং আরেকটি হলো পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন। এই কোর্সগুলো সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করা যাবে। সংস্থার কার্যক্রম সংরক্ষণ এবং সমন্বয় জোরদার করার জন্য বিকেএমআই, বিএইচই, আইইএম এবং আইপিএইচএন ইউনিটের ডিজিটাল আর্কাইভ তৈরিতে সহায়তা প্রদান করেছে।
৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটিতে কারিগরি সেশন, গোলটেবিল বৈঠক, প্রশ্নোত্তর পর্ব এবং প্ল্যানারী সেশন ছিল। ৩য় দিনে মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্য তথ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশে যে সকল কর্মসূচি রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে ধারণা দেয়ার জন্য অতিথিদের মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। কনফারেন্সটিতে বাংলাদেশ, ভুটান, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার, নেপাল, ফিলিপাইন এবং দক্ষিন আফ্রিকার সরকারি এবং বেসরকারি কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
কনফারেন্সটি ইউএসএআইডি, ডব্লিউএইচও, জিআইজেড এবং এশিয়া ইহেলথ ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক (এইএইচআইএন)-সহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সহায়তায় অনুষ্ঠিত হয়।
গত ৩১ মে ২০১৬ তারিখে সমগ্র বাংলাদেশে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালন করা হয়। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এক বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করে। অন্যান্য সংস্থ্যার সাথে বাংলাদেশ টোবাকো কন্ট্রোল রিসার্চ নেটওয়ার্ক (বিটিসিআরএন)র্যালিতে অংশগ্রহণ করে যা জেএইচসিপিএইচ-বিসিসিপি তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের ইতিবাচক ফলাফল হিসেবে গঠিত হয়েছে। বিটিসিআরএন-এর সদস্যগণ এবং অন্যান্য তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মীবৃন্দ র্যালিতে যোগ দিয়েছিলেন। র্যালির পরে মন্ত্রণালয় ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়েতনে একটি সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করে।
অন্যান্য সংস্থাসমূহের সাথে বিসিসিপি ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের লবিতে একটি স্টলের আয়োজন করে। এটি সেখানে তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কার্যক্রমগুলোর প্রদর্শন করে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিব এবং অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ স্টল পরিদর্শন করেন এবং তাঁরা গবেষণা অনুদান কার্যক্রম ও বিটিসিআরএনসহ বিসিসিপি’র তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হন। মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জনাব মোহাম্মদ নাসিম তামাক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বিসিসিপি’র উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে বিসিসিপি বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০১৬-এর পোস্টার প্রণয়ন ও বিতরণে কারিগরি সহায়তা প্রদান করেছিল। পোস্টারটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রণীত বিশ্বব্যাপী থিম “Get Ready for Plain Packaging”-এর বাংলা সংস্করণ “সাদামাটা মোড়ক- তামাক নিয়ন্ত্রণে আগামী দিন” অনুসরণে প্রস্তুত করা হয়। বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালনে ৬৪ জেলার সিভিল সার্জন অফিস এবং ব্লুমবার্গ ইনিশিয়েটিভস গ্রান্টিস্গণ বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে পোস্টারটি ব্যবহারে কাজ করেছিল।
বিসিসিপি কর্তৃক ই-জিপি প্রচারণার অংশ হিসেবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ইমপ্লিমেন্টেশন, মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশন বিভাগ (আইএমইডি)-এর সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) জাতীয় প্রেসক্লাবের কাছে ইলেক্ট্রনিক গর্ভনমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) ডিজিটাল বিলবোর্ডটি প্রদর্শনের জন্য স্থাপন করে। পরিকল্পনা মন্ত্রী জনাব এএইচএম মুস্তাফা কামাল গত ২৭ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে ডিজিটাল বিলবোর্ডটি উদ্বোধন করেন।
মাননীয় মন্ত্রী জানান যে, সরকার তার সকল কার্যক্রম ডিজিটাল সিস্টেমের আওতায় আনতে চান।তিনি আরও যোগ করেন, “ডিজিটালাইজেশনের এটাই সময়।” বিলবোর্ডটি ই-জিপি সিস্টেমের আওতায় আহ্বানকৃত মোট দরপত্রের সংখ্যা এবং তার সম্ভাব্য মূল্য প্রদর্শন করে। এই তথ্য-উপাত্ত প্রতি মাসে হালনাগাদ করা হয়।
সিপিটিইউ-এর মহাপরিচালক মোঃ ফারুক হোসেন; সিপিটিইউ, আইএমইডি এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন বিসিসিপির সিনিয়র ডেপুটি ডাইরেক্টর ও পিপিআরপি-২-এর ডেপুটি টিম লিডার মিস খাদিজা বিলকিস।
ই-জিপি বিলবোর্ডটি নীতিনির্ধারকসহ জনগণ ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য স্থাপিত হয়েছে যা ইলেক্ট্রনিক প্রকিউরমেন্ট সিস্টেমের ক্ষেত্রে সচেতনতা ও সহায়তা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।