logo

সম্পাদকীয়: মানসিক স্বাস্থ্য এবং এই সম্পর্কিত গবেষণার প্রয়োজনীয়তা

মানসিক স্বাস্থ্য গবেষণা জীবন বাঁচায়, মর্মপীড়া উল্লেখযোগ্যভাবে কমায় এবং জীবন মান বাড়ায় । এছাড়া এটি আমাদেরকে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে সহিষ্ণু, মানষিক বৈকল্যহীন এবং বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা গঠনে ভূমিকা রাখে । যদিও মানসিক স্বাস্থ্য গবেষণাকে এখনও অগ্রাধিকার সেবা বিবেচনা করা হচ্ছে না । মানসিক স্বাস্থ্যসেবা এবং মানসিক সুস্থ্যতার জন্য বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস্ (বিসিসিপি), সেন্টার ফর মেন্টাল হেলথ্ ল’ এন্ড পলিসি অফ দ্যা ইন্ডিয়ান ল’ সোসাইটি, পুনে; ট্রিম্বোস ইনস্টিটিউট, নেদারল্যান্ডস্; স্নেহা-সুইসাইড প্রিভেনশন সেন্টার, চেন্নাই; গুজরাট ইনস্টিটিউট ফর মেন্টাল হেলথ্ এন্ড হসপিটাল ফর মেন্টাল হেলথ্, আহ্মেদাবাদ এর যৌথ উদ্দ্যোগে এবং আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ্ এর আর্থিক সহায়তায় 'সুইসাইড প্রিভেনশন এন্ড ইমপ্লিমেন্টেশন রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (স্পিরিট)’ শিরোনামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে । প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আত্মহত্যা প্রতিরোধে বাস্তবায়ন গবেষণায় আঞ্চলিক দক্ষতা বৃদ্ধি করা । এতে বাস্তবায়ন বিজ্ঞান ফেলোশিপ কর্মসূচীর অধীনে বিভিন্ন কর্মশালা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতে মানসিক স্বাস্থ্য গবেষণায় নিয়োজিত গবেষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির কার্যক্রম পরিচালিত হবে । এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন, মানসিক স্বাস্থ্য গবেষণায় সম্পৃক্ত গবেষকদের আত্মহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক বাস্তবায়ন বিজ্ঞান গবেষণায় দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন এবং টেকসই পরিবর্তন আনয়নের মাধ্যমে আত্মহত্যার প্রবণতাকে কার্যকরভাবে প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করছি ।  

জাতীয় উন্নয়ন মেলা ২০১৮

বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস (বিসিসিপি) সিপিটিইউ’র ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্ট ফার্ম হিসেবে আইএমইডি/ সিপিটিইউ’র ‘‘জাতীয় উন্নয়ন মেলা ২০১৮” এর স্টল ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট, এবং পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে। এরই অংশ হিসেবে বিসিসিপি আইএমইডি’র কার্যক্রম এবং সেবার উপর একটি ব্রোশিওর, ই-জিপি ব্র্যান্ডিংসহ কলম এবং প্রকল্প ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (পিএমআইএস) বর্ণনাকারী একটি লিফলেট ডিজাইন এবং তৈরি করে, যা মেলায় আগত দর্শকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। 
 

আইএমইডি/ সিপিটিইউ’র পরামর্শ অনুযায়ী স্টলের ডিজাইন করা এবং ই-জিপি ব্র্যান্ডিং এর সাথে মিল রেখে স্টলটি সাদা, সবুজ এবং নীল রঙ্গে সাজানো হয়। মেলায় আগত দর্শকদেরকে প্রকল্প সম্পর্কে দ্রুত বোঝানোর জন্য ব্যাক ড্রপে প্রকল্প বাস্তবায়নের মডেল এবং এলইডি টিভির মাধ্যমে আইএমইডি’র ভিডিও, থিম সং ও বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়। মেলায় আগত দর্শকরা স্টলের দায়িত্বরত কর্মীদের সাথে কথোপকথন এবং ই-জিপি’র থিম সং ও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আইএমইডি’র কার্যক্রম সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে পারে।
 
আইএমইডি’র সচিব, জনাব মোঃ মফিজুল ইসলাম, সিপিটিইউ’র মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব), জনাব মোঃ ফারুক হোসেন, আইএমইডি’র অতিরিক্ত সচিব, জনাব এ. কে. এম বদরুল মজিদ, যুগ্ম সচিব জনাব মোঃ মাহমুদুল হক, বিসিসিপি’র পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জনাব মোহাম্মদ শাহজাহানসহ অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তাগণ স্টল পরিদর্শন করেন। 
বিসিসিপি কওঙঝক এর মাধ্যমে লাইভ মোবাইল অ্যাপ, ই-জিপি পোর্টাল, ই-জিপি’র আপডেট, লাইভ ডেটা এবং আইএমইডি ও সিপিটিইউ’র কার্যক্রম পরিচালনা করে। এছাড়া স্টলের কাভারেজের জন্য প্রচার মাধ্যমকে উদ্বুদ্ধ করে যার ফলে অনেকগুলো জাতীয় দৈনিক ইংরেজি ও বাংলা পত্রিকায় স্টল সম্পর্কে প্রচার করে। এই কার্যক্রমের প্রধান লক্ষ্য ছিল আইএমইডি/সিপিটিইউ’র দ্বারা ই-জিপি’র অগ্রগতি প্রচার এবং প্রদর্শন করা।

অনলাইনে SBCC উপকরণ অনুমোদন (OSMA): ‘উজ্জীবন’-এর SBCC সিস্টেম শক্তিশালীকরণ ডিজিটালাইজেশনের পথে একটি অগ্রগতি

‘উজ্জীবন’-এর SBCC সিস্টেম শক্তিশালী করার অংশ হিসেবে একটি Application Software উদ্ভাবন করা হয়েছে যার মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে অনলাইনে SBCC উপকরণ জমা দান, প্রসেসিং এবং অনুমোদন করা সম্ভব। Online SBCC Material Approval (OSMA) নামক এই Software -টি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন অধিদপ্তর/অফিস এবং এনজিওগুলোকে SBCC উপকরণ যথাসময়ের মধ্যে জমা দান, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে অনুমোদন এবং SBCC উপকরণ অনুমোদনে অধিকতর কার্যকরী ও দ্রুততার সাথে কাজ করতে সাহায্য করবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন অধিদপ্তর/অফিসগুলোর SBCC সক্ষমতা এবং কর্মপদ্ধতি  শক্তিশালীকরণে USAID -উজ্জীবন-বিসিসিপি’র SBCC প্রকল্পের একটি অংশ।
 
সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করার পূর্বে এই Application -টির বর্তমানে beta testing চলছে। গত ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ তারিখে ঢাকার BMA অডিটোরিয়ামে beta testing কার্যক্রমের অংশ হিসেবে DGHS এর বিভিন্ন UNIT, DGFP এবং NGO-র প্রতিনিধিগণের অংশগ্রহণে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (PHWH) জনাব হাবিবুর রহমান এই কর্মশালাটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পরিচালক, IEM এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর প্রধানও এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। উক্ত  কর্মশালায় IEM, CCSDP, FSD, DGFP Gi MCH, BHE, IPHN, MNCAN, PHC Ges DGHS Gi CBHC প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। IEC Technical Committee'i সদস্য হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বেতার এবং বিসিসিপি’র প্রতিনিধি ছাড়াও এসএমসি, মা-মণি এবং উজ্জীবন-এর প্রতিনিধিগণও এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। 

অতিরিক্ত সচিব তার বক্তব্যে বলেন যে, সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এই Application Software -টি ঝইঈঈ প্রোগ্রামের সাথে জড়িত সর্বস্তরের স্টেকহোল্ডারদের জন্য SBCC উপকরণ প্রক্রিয়াকরণ এবং অনুমোদনে সাহায্য করবে। তিনি উল্লেখ করেন, সমন্বিত SBCC কৌশল বাস্তবায়নে এই Application-টি বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তিনি ‘উজ্জীবনকে’ তাদের কারিগরী সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
কর্মশালায় Application Software-টির উপস্থাপন সেশন ছিল অত্যন্ত প্রাণবন্ত; এ সময় অংশগ্রহণকারীরা সক্রিয়ভাবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে ঐ Software-টির উপর একটি ব্যবহারিক সেশনে (দলগত কার্যক্রম) অংশ নেন। অংশগ্রহণকারী দলগুলো এই Application Software-টি উদ্ভাবনের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং Software টি অত্যন্ত user friendly বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তারা উজ্জীবনকে তাদের এই SBCC সিসেটেম সুসংহত করার কার্যক্রমের জন্যও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। মুক্ত আলোচনার সময় অংশগ্রহণকারী দলগুলো সহজে ব্যবহারযোগ্য এই Software-টি তৈরির জন্য ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং SBCC পদ্ধতিকে শক্তিশালীকরণ উদ্যোগে উজ্জীবন-কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। 
 
স্বয়ংক্রিয় এই পদ্ধতিকে ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণে সক্ষম, অধিকতর নিরাপদ এবং গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে অংশগ্রহণকারীগণ বেশ কিছু সুপারিশ উপস্থাপন করেন। এই Application-টি পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে অনলাইনে সাধারণের ব্যবহারের জন্য আপলোড করা হবে।

এনরিচ প্রকল্পের অধীনে বিসিআই স্ট্যাটেজি তৈরির লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে কনসালটেটিভ ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত

মা ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নের লক্ষ্যে ঠাকুরগাঁও জেলায় নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল এর অধীনে এ্যানহ্যান্সিং নিউট্রিশন সার্ভিসেস টু ইমপ্রুভ ম্যাটারনাল এন্ড চাইল হেলথ (এনরিচ) নামক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পুষ্টিবিষয়ক বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে জাতীয় ও বৈশ্বিক পর্যায়ে পুষ্টি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং জন্মের প্রথম ১০০০ দিনের মধ্যে শিশুর অপুষ্টি কমিয়ে আনাই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।
 
একটি কার্যকর আচরণ পরিবর্তন স্ট্র্যাটেজি ও এই বিষয়ক কিছু যোগাযোগ উপকরণ তৈরির উদ্দেশ্যে আইসিডিডিআর’বি উক্ত এলাকায় একটি ফরমেটিভ রিসার্চ পরিচালনা করে। মূলত উক্ত এলাকায় পুষ্টি ও আইওয়াইসিএফ বিষয়ক কাউন্সেলিং জোরদার করা এবং আয়রন ফলিক এসিড ও অণুপুষ্টি উপাদান সম্পর্কিত বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা করাও ছিল এই রিসার্চ এর আরেকটি অন্যতম উদ্দেশ্য। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ২২ জুলাই ২০১৮ তারিখে একটি কার্যকর বিসিআই স্ট্র্যাটেজি তৈরির লক্ষ্যে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডরদের নিয়ে একটি কনসালটেটিভ ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়। জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি ইন্সটিটিউট এর কনফারেন্স রুমে কনসালটেটিভ ওয়ার্কশপটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রফেসর ড. নাসিমা সুলতানা, অতিরিক্ত মহাপচিালক (প্রশাসন), ডাইরেক্টর জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস এবং ড. সমর কান্তি সরকার, পরিচালক আইপিএইচএন এবং লাইন ডিরেক্টর, ন্যাশনাল নিউট্রিশনাল সার্ভিসেস অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। ড. ইফতিয়া জেবিন, সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার, এনরিচ প্রকল্প, নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে উনার মূল্যবান পরামর্শ প্রদান করেন। সরকারি বেসরকারি ও বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩১ জন সদস্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

আত্মহত্যা প্রতিরোধ এবং এই সম্পর্কিত গবেষণা উদ্যোগ বাস্তবায়ন

বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস্ (বিসিসিপি), সেন্টার ফর মেন্টাল হেলথ্ ল’এন্ড পলিসি অফ দ্যা ইন্ডিয়ান ল’সোসাইটি, পুনে; ট্রিম্বোস ইনস্টিটিউট, নেদারল্যান্ডস্; স্নেহা - সুইসাইড প্রিভেনশন সেন্টার, চেন্নাই; গুজরাট ইনস্টিটিউট ফর মেন্টাল হেলথ্ এন্ড হসপিটাল ফর মেন্টাল হেলথ্, আহ্মেদাবাদ এর যৌথ উদ্দ্যোগে এবং আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ্ এর আর্থিক সহায়তায় 'সুইসাইড প্রিভেনশন এন্ড ইমপ্লিমেন্টেশন রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (স্পিরিট)’শিরোনামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আত্মহত্যা প্রতিরোধে বাস্তবায়ন গবেষণায় আঞ্চলিক দক্ষতা বৃদ্ধি করা। বাস্তবায়ন বিজ্ঞান ফেলোশিপ কর্মসূচীর অধীনে বিভিন্ন কর্মশালা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতে মানসিক স্বাস্থ্য গবেষণায় নিয়োজিত গবেষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন, মানসিক স্বাস্থ্য গবেষণায় সম্পৃক্ত গবেষকদের আত্মহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক বাস্তবায়ন বিজ্ঞান গবেষণায় দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন এবং টেকসই পরিবর্তন আনয়নের মাধ্যমে আত্মহত্যার প্রবণতাকে কার্যকরভাবে প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। 

SHOW প্রকল্পের সাথে জেন্ডার সমতা এবং যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকারের পথে

বাংলাদেশ ট্রেনিং এন্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশন (বিটিআরএফ), প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ -এর SHOW প্রকল্পের জন্য, বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় জেন্ডার সমতা এবং যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার বিষয়ক সামাজিক ও আচরণক পরিবর্তনে অডিও-ভিজুয়াল উপকরণ ব্যবহারের উপর একটি সহয়িকা তৈরি  করেছে। সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ, সম্পদে নারীর প্রবেশাধিকার ও নিয়ন্ত্রণ, প্রসূতি ও সন্তানের যতœসহ অন্যান্য সাংসারিক কাজে পুরুষের ভূমিকা, অস্থায়ী দীর্ঘমেয়াদি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি, প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ, যৌনরোগ ও এইচআইভি/এইডস, নিরাপদ গর্ভপাত ও গর্ভপাত পরবর্তী সেবা,  মা ও শিশু স্বাস্থ্যের উপর জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার প্রভাব, সন্তানের বেড়ে ওঠায় অভিভাবকের বিশেষত বাবার ভূমিকা, শিশুবিয়ের কুফল ও প্রতিরোধে করণীয় এবং জেন্ডার সমতা আনয়নে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় চেইঞ্জমেকার এর ভূমিকাসহ মোট ১০টি বিষয়ে মাঠপর্যায়ের কর্মীদের লক্ষীত জনগোষ্ঠীর আচরণ পরিবর্তনে সহায়তা করার জন্য এই সহায়িকা তৈরি করা হয়েছে। সহায়িকাটি তৈরি করার পূর্বে বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলা এবং চট্রগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়ি জেলায় লক্ষিত জনগোষ্টির মাঝে তা প্রাক-যাচাই করা হয়েছে। পরবর্তীতে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও প্রকল্পের সহযোগী উন্নয়ন সংস্থার প্রশিক্ষণ পুলের কর্মীদের নিয়ে একটি ০৫ দিনের প্রশিক্ষক-প্রশিক্ষণ (ToT) অনুষ্ঠিত হয়। 

এনরিচ প্রকল্পের অধীনে বিসিআই স্ট্যাটেজি তৈরির জন্য ঠাকুরগাঁও জেলায় কনসালটেটিভ ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত

Consultative Workshop

এ্যানহ্যান্সিং নিউট্রিশন সার্ভিসেস টু ইমপ্রুভ ম্যাটারনাল এন্ড চাইল হেলথ (এনরিচ) প্রকল্পের অধীনে একটি কার্যকর বিসিআই স্ট্র্যাটেজি তৈরির লক্ষ্যে গত ৯ আগস্ট ২০১৮ তারিখে ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন কার্যালয়ে একটি কনসালটেটিভ ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ডেপুটি ডিরেক্টর পরিবার পরিকল্পনা, সিভিল সার্জন; ইউএইচএফপিও; ইউএফও, এমও-এমসিএইচ; মেডিকেল অফিসার, রোগ নিয়ন্ত্রণ; প্রকল্প ব্যবস্থাপক এবং এনরিচ প্রজেক্টের উপজেলা কর্ডিনেটরসহ মোট ৩৫ জন অংশগ্রহণ করেন।
 
ড. আবু মোঃ খায়রুল কবির, সিভিল সার্জন, ঠাকুরগাঁও ওয়ার্কশপটি সভাপতিত্ব করেন। ওয়ার্কশপের শুরুতে তিনি সকল অতিথিকে স্বাগত জানান। ড. মোঃ শহীদুল আলম, ডেপুটি ডিরেক্টর, বিসিসিপি সকলকে এনরিচ ইন্টারন্যাশনাল (এনআই)-এর ৫টি কার্যএলাকা এবং এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবহিত করেন। জেসমিন আক্তার, নিউট্রিশন স্পেশালিক্ট, বিসিসিপি, খসড়া বিসিআই স্ট্র্যাটেজি উপস্থাপন করেন।  অংশগ্রহণকারীরা উক্ত অনুষ্ঠানে তাদের মূল্যবান মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন।

জেএইচএসপিএইচ স্কলার প্রোগ্রাম ২০১৮-২০১৯ জন্য বিসিপি’র কর্মকর্তা মনোনীত

জেএইচএসপিএইচ স্কলার প্রোগ্রাম ২০১৮-২০১৯-এর জন্য বিসিপি’র সহকারী পরিচালক (প্রোগ্রাম) জনাব মোহাম্মদ শামিমুল ইসলাম মনোনীত হয়েছেন। জনস হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথ (জেএইচএসপিএইচ) প্রতিযোগিতামূলক ও মর্যাদাপূর্ণ এই প্রোগ্রামে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, চীন, ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়াসহ ব্লুমবার্গ ইনিশিয়েটিভ-এর অগ্রাধিকারভিত্তিক ১০টি দেশের মধ্যে থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কর্মরত ৯ জন সংগঠককে স্কলার হিসেবে মনোনীত করে।  
 
বিভিন্ন দেশ থেকে নেতৃত্ব দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে যারা জেএইচএসপিএইচ কর্তৃক টোব্যাকো কন্ট্রোল লিডারশিপ এবং সার্টিফিকেট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে লব্ধজ্ঞান ও দক্ষতা নিজ নিজ দেশে বর্তমানে তামাক নিয়ন্ত্রণ কাজে ব্যবহার করছেন তারাই এই প্রোগ্রামে আবেদন করার জন্য বিবেচিত হন। জেএইচএসপিএইচ প্রোগ্রামে অংশগ্রণকারীগণ তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির উপর নেতৃত্বদানে সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অনলাইন ও অনসাইট প্রোগ্রামের মাধ্যমে উন্নততর প্রশিক্ষণ লাভ করবেন। 
 
উল্লেখ্য, অক্টোবর ১৩-২০, ২০১৮ তারিখে মোহাম্মদ শামিমুল ইসলাম আমেরিকার বাল্টিমোর-এ অনুষ্ঠিত একটি অনসাইট মিটিং এ অংশগ্রহণ করেন।