logo

সম্পাদকীয়

জনস্বাস্থ্যসহ উন্নয়ন কার্যক্রমে যোগাযোগ কর্মকৌশল প্রয়োগের ক্ষেত্রে উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত হয়ে থাকে। বিসিসিপি সেই উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর সমাজ উন্নয়ন ও নতুন স্বাস্থ্য আচরণ গ্রহণে ও চর্চায় কাজ করে থাকে। ফলে বিসিসি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিসিসিপি স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলেছে। যার একটি হচ্ছে Identification System for Enhancing Access to Services (IDIA) প্রকল্প। সম্প্রতি বিসিসিপি এই প্রকল্পের অধীনে Strategic Communication Component (SCC)-এর আওতায় প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনার অংশ হিসেবে দেশব্যাপী স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। 
এই স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র একজন ব্যক্তির সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তথ্যাবলী প্রদান করবে যা দেশ গঠন ও উন্নয়ন কার্যক্রমকে আরও বেগবান করবে। একুশ শতকে আধুনিক কৌশলগত যোগাযোগ প্রক্রিয়ায় এটি জনমানুষের সামনে উপস্থাপন করেছে তত্ত্ব ও তথ্যের সঠিক ধারণা। বর্তমান বিশ্বে এই যোগাযোগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ।
 
শুভেচ্ছা।

ফলপ্রসূ পাওয়ার পয়েন্ট প্রতিবেদন তৈরি ও উপস্থাপন দক্ষতা বিষয়ক তৃতীয় মেন্টরিং কর্মশালা

ফলপ্রসূ পাওয়ার পয়েন্ট প্রতিবেদন তৈরি ও উপস্থাপন দক্ষতা বিষয়ক তৃতীয় মেন্টরিং কর্মশালা গত ডিসেম্বর ১০-১১, ২০১৬ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালার উদ্দেশ্য ছিল ফলপ্রসূ পাওয়ার পয়েন্ট প্রতিবেদন তৈরি ও উপস্থাপন দক্ষতার উপরে গ্রান্টিসদের হাতেকলমে ধারণা প্রদান করা। কর্মশালায় এই বিষয়ের উপর বেশকিছু পাওয়ার পয়েন্ট প্রতিবেদন বিসিসিপি টিম তৈরি করেছিল।
 
প্রতিবেদন উপস্থাপনের পরে, কর্মশালার প্রথম দিনে গ্রান্টিসগণ তাদের গবেষণা ফলাফলের উপর প্রতিবেদন তৈরি করেন। বিসিসিপি গবেষক দল এবং ফেলো গবেষক গ্রান্টিস গ্রান্টিসদের ফীডব্যাক প্রদান করেছিলেন। কর্মশালার দ্বিতীয় দিনে গবেষক গ্রান্টিসগণ ফীডব্যাকগুলো নিয়ে সংশোধিত প্রতিবেদন তৈরি করেন। কর্মশালা শেষে গ্রান্টিসরা তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন যে, পাওয়ার পয়েন্ট প্রতিবেদন তৈরি ও উপস্থাপনার ক্ষেত্রে এটি একটি কার্যকরী উপাদেয়।
 
১০ গবেষক গ্রান্টিস এবং তাদের কয়েকজন সহ-নিরীক্ষণকারী সমন্বয়ে মোট ১৬ জন অংশগ্রহণকারী এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।

দেশীয় ও আঞ্চলিক স্বাস্থ্য যোগাযোগ উন্নীতকরণে স্প্রিংবোর্ড

স্বাস্থ্য যোগাযোগ অনুশীলনকারী এবং পেশাদারদের জন্য সর্ববৃহৎ বৈশ্বিক অনলাইন প্লাটফর্ম স্প্রিংবোর্ড স্বাস্থ্য যোগাযোগ বিষয়ক চর্চার উন্নয়নে তার সদস্যদের পরস্পরের মধ্যে চিন্তাচেতনা ও জ্ঞানভাণ্ডার চর্চার আদান-প্রদানের মাধ্যমে স্বাস্থ্য যোগাযোগ পেশাজীবীদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। 
 
বিশ্বব্যাপী চতুর্থ বার্ষিক স্প্রিংবোর্ড উপদেষ্টা পরিষদের সভা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরে অক্টোবরের ৩-৫ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। এই সভার উদ্দেশ্য ছিল: (১) স্প্রিংবোর্ডকে একটি টেকসই অবস্থায় উন্নীত করার লক্ষ্যে কর্মকৌশল অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং চূড়ান্তকরণ; (২) নতুনভাবে প্রণীত টেকসই পরিকল্পনার জন্যে ভূমিকা ও দায়িত্ব নিরূপণ; (৩) উন্নত সমন্বয়নের জন্য আঞ্চলিক সচিবালয়ের ভূমিকা পর্যালোচনা; এবং (৪) পাঁচ বছরের জন্য স্প্রিংবোর্ড দেশীয় ও আঞ্চলিক কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্তকরণ।
উপদেষ্টা পরিষদের সভার সুপারিশের ভিত্তিতে এই কোয়ার্টারে বাস্তবায়নের জন্য কিছু অগ্রবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে-
 
 সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের স্প্রিংবোর্ডে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ বৃদ্ধির শর্তে আঞ্চলিক দেশগুলোর অগ্রগতি হার দ্রুততর করা। সচিবালয় ম্যানেজার/কান্ট্রি চ্যাম্পিয়ানদের সাথে একটি আঞ্চলিক এডভাইজরি কমিটি গঠনের পরিকল্পনা করছে। কমিটি আঞ্চলিক অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য তিন মাস অন্তর ভারচুয়াল সভার আয়োজন করবে। নেপাল, ভারত, পাকিস্তান ও ভিয়েতনাম স্প্রিংবোর্ড দেশগুলোর সচিবালয় হতে আঞ্চলিক স্প্রিংবোর্ড ভারচুয়াল কার্যক্রমের উদ্যোগসহ অন্যান্য সাচিবিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে; ভিয়েতনাম ও পাকিস্তান স্প্রিংবোর্ডে আরো সদস্য সংগ্রহের মাধ্যমে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া; স্প্রিংবোর্ড রিসোর্সসমূহ ব্যবহারে অরো সদস্যদের যুক্ত করা; একটি অনলাইন পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন ড্যাসবোর্ডের মাধ্যমে আঞ্চলিক কার্যক্রমগুলোর সমন্বয় করা এবং এক মাস অন্তর ড্যাসবোর্ড হালনাগাদে কান্ট্রি প্রতিনিধিদেরকে উৎসাহিত করা।
 
  বাংলাদেশ স্প্রিংবোর্ড স্টিয়ারিং কমিটির বোর্ডে অন্তর্ভুক্তির জন্যে দেশের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা সেক্টরের অগ্রণীদের আহ্বান জানানো হবে যাতে তাঁরা তাদের কার্যক্রম স্প্রিংবোর্ডে তুলে ধরতে পারে। বাংলাদেশ স্প্রিংবোর্ড স্টিয়ারিং কমিটির গঠন প্রক্রিয়াধীন।
 
  স্প্রিংবোর্ডের লক্ষ্য হচ্ছে ২০১৭-এর অক্টোবর থেকে টেকসই অর্জন করা। স্প্রিংবোর্ড বৈশ্বিক টেকসই পরিকল্পনা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে যেখানে কান্ট্রি স্প্রিংবোর্ডসহ সচিবালয়গুলোর টেকসই পরিকল্পনা একীভূত করে প্রণয়ন করা হবে।
 
কমিউনিটির দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বাংলাদেশ স্প্রিংবোর্ডের কার্যক্রম ও প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে। শুধু সামাজিক আচরণ পরিবর্তন যোগাযোগ পেশাজীবীদের কাছে পৌঁছে দিতে নয় বরং সামাজিক ও পেশাগত প্লাটফর্মের মাধ্যমে এই নেটওয়ার্ক কার্যক্রমকে ছড়িতে দিতেই গুগল প্লাস কমিউনিটি পেজ (https://plus.google.com/u/0/communities/108354434497919814839), ফেসবুক পেজ (https://www.facebook.com/bangladeshspringboard/) এবং টুইটার পেজকে তৈরি (https://twitter.com/BdSpringboard) করা হয়েছে যাতে অধিকাংশ জনগণ সামাজিক মিডিয়ার মাধ্যমে স্প্রিংবোর্ডে প্রবেশাধিকারের সুযোগ পেতে পারে।
 
সংযোগের পাঠকদেরকে বাংলাদেশ হেলথ কমিউনিকেশন স্প্রিংবোর্ডে নিবন্ধন করার জন্য আমন্ত্রণ রইলো যাতে তারা এসবিসিসি পেশাজীবী উন্নয়ন বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারেন। নিবন্ধন করতে অনুগ্রহ করে পরিদর্শন করুন https://healthcomspringboard.org/register-for-springboard/ এবং https://healthcomspringboard.org/groups/bangladesh-health-communication-springboard/ লিংক থেকে ‘Join the Group’ বাটনে ক্লিক করে সদস্যপদ সম্পন্ন করার অনুরোধ করা হচ্ছে।
 
পাঠকগণ springboardbangladesh@gmail.com এই ইমেলের মাধ্যমে স্বাস্থ্য কার্যক্রম সম্পর্কিত তাদের দৈনন্দিন কার্যাবলীর অথবা বাংলাদেশ এবং আঞ্চলিক স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি বিষয়ক যে কোনো ঘটনা/অংশ আমাদেরকে জানাতে পারেন।

যোগাযোগবিষযক তথ্যাবলী

প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ এবং উদ্বুদ্ধকরণ (Organizational Communication and Mobilization)
 
প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ এবং যৌথ উদ্দেশ্যে সম্পদের সন্নিবেশন ও ব্যবহারে উদ্বুদ্ধকরণ হচ্ছে একই উদ্দেশ্যে একাধিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতার প্রচেষ্টা, প্রতিষ্ঠা ও চর্চার পদ্ধতি। উন্নয়নধর্মী প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের কৌশলগত যোগাযোগ পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার ও উদ্বুদ্ধকরণে কাজ করে থাকেন। মূলত জাতীয়, আঞ্চলিক, সেবাপ্রদানকারী সংস্থা এবং জনগোষ্ঠী- এই চারটি পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পদের যথাযথ সন্নিবেশন সংঘটিত হয়ে থাকে।
অন্যদিকে প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগও ৪টি পর্যায়ে বিবেচিত হয়ে থাকে, যেমন- আবার অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান, সম্পদের বন্টন, একই উদ্দেশ্য কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন পরিকল্পনা ও কার্যক্রম এবং একই উদ্দেশ্য কিন্তু একই পরিকল্পনা ও কার্যক্রম- এই চারটি বিষয় যথাযথ ভাবে পালন করা গেলে প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগও একটি দৃঢ়মূল ভিত্তির উপর দাঁড় করানো সম্ভব। এর ফলে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে পারস্পরিক বিশ্বাস স্থাপনের মাধ্যমে একই উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন সহজ হয়।
 
আর এক্ষেত্রে উদ্বুদ্ধকরণের তিনটি বৈশিষ্ট্যকে সংরক্ষণ করা গেলেই কেবল প্রাতিষ্ঠানিক সম্পদের সঠিক সন্নিবেশন সম্ভব। সেগুলো হচ্ছে:
 
১। নেটওয়ার্কিং: এর মাধ্যমে একটি সংস্থার দক্ষতা, দুর্বলতা, সুবিধা এবং বাধা সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায় এবং তার ফলে উপযোগী সহযোগী সংস্থা সম্পর্কে সহজে জানা যায়।
 
২। জোটবদ্ধ হওয়া: এর ফলে পারস্পরিক বিশ্বাস ও সম্মান বৃদ্ধি পায় এবং তিনটি ‘C’ তথা Compatibility (উপযুক্ততা),Capability (সামর্থ্য) এবং Commitment (অঙ্গীকার)-এর ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেয়া যায়।
 
৩। সহযোগিতা: আবার কেবল পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাব থাকলেই নেতা নির্বাচন থেকে শুরু করে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর মীমাংসা, উদ্দেশ্যের জন্য একমত হওয়া, এবং সফলতার ক্ষেত্রে পুরস্কার ও স্বীকৃতির অর্জনেও অংশীদারী মনোভাব দেখানো সম্ভব হয়।
 
কিন্তু এই প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ ও উদ্বুদ্ধকরণের পথে কিছু বাধাও রয়েছে। যদি মতৈক্যের ভিত্তিতে সম্পদের সন্নিবেশন না হয় তাহলে বিশ্বাস ও দায়িত্বের সাথে কাজ করা যাবে না এবং উদ্বুদ্ধকরণ বাধাগ্রস্ত হবে। আবার নেতৃত্বের অনৈক্য দেখা দিলে সম্পদের সন্নিবেশন ও যথাযথ ব্যবহার সম্ভব হবে না এবং এর ফলে সঠিক ভাবে কর্তৃত্ব পালন করাও যাবে না। ফলে কার্যক্রম সম্পাদনে কর্মসূচির অগ্রাধিকার নির্ধারণ এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পাদন বাধাগ্রস্ত হবে। সর্বোপরি দক্ষতা ও সামর্থ্য অনুযায়ী স্বীকৃতি এবং নিজস্ব প্রাতিষ্ঠানিক উদ্দেশ্য পূরণ না হলে দেখা দেবে অবিশ্বাস এবং এই সৃষ্ট অবিশ্বাস প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে পরিগণিত হবে।
 
সুতরাং এ কথা স্পষ্ট যে, প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ ও উদ্বুদ্ধকরণ সুদৃঢ় হলেই যৌথ উদ্দেশ্যে সম্পদের সন্নিবেশন ও ব্যবহারসহ নতুন ভাবনা, উদ্দীপনা ও সমাজ উন্নয়নবিষয়ক আচরণ সমৃদ্ধ হবে।
 

এসবিসিসি দক্ষতা বৃদ্ধি : বিকেএমআই-এর অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা

সামাজিক আচরণ পরিবর্তন যোগাযোগ (এসবিসিসি) দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ক বিকেএমআই-এর অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা গত অক্টোবর ১৭, ২০১৬ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা, পুষ্টি (এইচপিএন) সেক্টরে বিকেএমআই-এর তিন বছরের এসবিসিসি কার্যক্রম এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হয়।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তিনটি যোগাযোগ ইউনিট- আইইএম, বিএইচই ও আইপিএইচএন-এ বিকেএমআই-এর দক্ষতা বৃদ্ধি ফ্রেমওয়ার্ক- স্বতন্ত্র, প্রাতিষ্ঠানিক ও পদ্ধতিগত- এই তিনটি পর্যায়ে পরিচালিত হয়। তিনটি ইউনিটের প্রতিনিধিগণ তাদের কার্যক্রম বর্ণনা করেন। এসবিসিসি টুল ও রিসোর্স সম্বন্ধে মিস শরিফা বেগম, বিএইচই প্রধান ও লাইন ডিরেক্টর-এইচইপি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; ডাঃ মওদুদ হোসেন, উপ-পরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার, এনএনএস; এবং জনাব মোঃ ফেরদৌস আলম, যুগ্ম সচিব ও পরিচালক, আইইএম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর যথাক্রমে স্বাতন্ত্রিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও পদ্ধতিগত পর্যায়ে মত বিনিময় করেন।

মিস নীলিমা শারমিন, পরিবার কল্যাণ সহকারী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, কুমিল্লা এবং মিস হুরাইনি ফাহমিদা জেনী, স্বাস্থ্য সহকারী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম মাঠ পর্যায়ে মাঠকর্মীদের জন্য ই-টুলকিট ব্যবহার ও ই-লার্নিং কোর্স সম্বন্ধে তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। মানিকগঞ্জের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে স্বাস্থ্য পরিদর্শক জনাব শাহাদাত মোল্লা এবং মুন্সিগঞ্জের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর থেকে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক জনাব শাহীন আলম এসবিসিসি তত্ত্বাবধানের ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন চেকলিস্ট ব্যবহারের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। বাংলাদেশ বিসিসি ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য ডাঃ এজেডএম জাহিদুর রহমান এবং মিস সায়কা সিরাজ, বিসিসি ওয়ার্কিং গ্রুপ ও সাফল্যগাথা বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।

অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন মিস রোকসানা কাদের, অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য ও বিশ্ব স্বাস্থ্য) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠানে সভাপতি স্বাস্থ্য সেক্টরের বিভিন্ন সাফল্য তুলে ধরে উল্লেখ করেন যে, নেতৃত্ব শুধু মন্ত্রণালয় থেকেই হওয়া উচিত নয়। মাঠ পর্যায়ে আমাদের কাজ হয়, সুতরাং সম্মুখ সারির কর্মীদের এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন। নিকট ভবিষ্যতে কী করা প্রয়োজন তা পরিকল্পনা করা আমাদের দরকার। তিনি বিকেএমআই ও ইউএসএআইডি’কে তাদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, আমাদের সবার সহযোগিতা এবং একসাথে কাজ করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জনাব মোহাম্মদ ওয়াহিদ হোসেন, মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিকেএমআই-এর প্রকল্প পরিচালক রেবেকা আরনল্ড ও তার টিমকে শেষ তিন বছরের অর্জনের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি তাদেরকে একটি কার্যকরী পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন চেকলিস্ট প্রণয়ন এবং মাঠ পর্যায়ে তা ব্যবহারের ক্ষেত্রে তদারকির জন্যও ধন্যবাদ দেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ডাঃ মোঃ এহতেশামুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে অর্জন সুপরিচিত। এর অংশ হতে পেরে আমরা গর্বিত। আমার অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছি, এই অর্জনের জন্য আমরা যুদ্ধ করেছি। সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) এবং কমিউনিটি স্বাস্থ্য আমাদের সামনে। এসডিজি অর্জনে সরকার, বেসরকারি সংস্থা, উন্নয়ন অংশীদার এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের একসাথে কাজ করা দরকার।

অনুষ্ঠানে বিকেএমআই প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে মুক্ত আলোচনা এবং অংশগ্রহণকারীগণ তাদের চিন্তাচেতনা ও ধারণা বিনিময় করেন। সরকারি. বেসরকারি সংস্থা, উন্নয়ন অংশীদার এবং গণমাধ্যম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এডভোকেসি ও সোস্যাল মবিলাইজেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বিসিসিপি গত ২২-২৫ অক্টোবর ২০১৬ পর্যন্ত সিলেটে একটি ৪ দিনের এডভোকেসি ও সোস্যাল মবিলাইলেশন বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালার উদ্দেশ্য ছিল কার্যক্রমের কর্মক্ষমতাকে প্রভাবিত করে এমন এডভোকেসি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় অংশগ্রহণকারীদের সাথে আলোচনা করা। প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিট (পিএমইউ), প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন ইউনিট (পিআইইউ) এবং পিএ ইউনিট থেকে মোট ৪২ জন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের মহাপরিচালক (এমআইই) জনাব এ. এস. এম. মাহবুবুল আলম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং কর্মশালার উদ্বোধন করেন। জনাব ধীরাজ কুমার নাথ, স্টাফ বিশেষজ্ঞ (নগর স্বাস্থ্য), বাংলাদেশ রেসিডেন্ট মিশন, এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং জনাব নুরুল আবছার, উপ-প্রকল্প পরিচালক (অর্থ), ইউপিএইচসিএসডিপি, উদ্বোধনী পর্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় এডভোকেসি, সোস্যাল মবিলাইজেশন, কৌশলগত যোগাযোগ, কমিউনিটি ভিডিও কর্ম-পরিকল্পনা তৈরি ইত্যাদির মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। ইউপিএইচসিএসডিপি’র প্রকল্প পরিচালক জনাব মোঃ আবু বকর ছিদ্দীক সমাপনী পর্বের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং সনদপত্র প্রদান করেন। দুই সেশনে Human Mind & Behavior and Bangladesh: Journey towards Progress বিষয়ক তাঁর প্রতিবেদনটি অংশগ্রহণকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল এবং তারা একটি অর্থপূর্ণ বিষয়ে তাদের আলোকিত করার জন্যে প্রকল্প পরিচালককে ধন্যবাদ জানান।

প্রধান ফ্যাসিলিটেটর হিসেবে ছিলেন মিজ ইয়াসমীন খান, ডাঃ নজরুল হক ও বাদল কৃষ্ণ হালদার। তাঁরা কর্মশালায় এডভোকেসি ও সোস্যাল মবিলাইজেশন সংক্রান্ত বিভিন্ন সেশন পরিচালনা করেন। অংশগ্রহণকারীগণ অনেক সক্রিয় ও শেখার ক্ষেত্রে আগ্রহী ছিলেন যা কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী ও ফ্যাসিলিটেটর উভয়কেই অবদান রাখার ক্ষেত্রে পরিবশে সৃষ্টি করেছিল। কর্মশালা থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান ও দক্ষতা বাস্তব ক্ষেত্রে প্রয়োগের উদ্দেশ্যে অংশগ্রহণকারীদের অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে কর্মশালাটি শেষ হয়।

২০১৬-এর ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে আইএমইিডি’র স্টলে ই-জিপি স্পট নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হয়

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) ঢাকার বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৬-তে একটি স্টল স্থাপন করে।

১৯ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন এবং তা ২১ অক্টোবর ২০১৬ তারিখ পর্যন্ত চলে। বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে হল-২ এর ৩১ নম্বর স্টলে আইএমইডি কার্যক্রমের ডিজিটাল প্রদর্শন হয়েছিল ।

আইএমইডি’র সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) স্টলে টেন্ডারারদের জন্য ইলেক্ট্রনিক গর্ভনমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সিস্টেমে তাৎক্ষণিক নিবন্ধনের ব্যবস্থা করেছিল। সিপিটিইউ দেশব্যাপী ই-জিপি বাস্তবায়ন করছে।

মেলায় ই-জিপি ওয়েবসাইট (www.eprocure.gov.bd)-এর কার্যক্রম এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট মোবাইল অ্যাপ দর্শনার্থীদের জন্যে প্রদর্শিত হয়। এ সকল বিষয় দর্শনার্থীদের বোঝার সুবিধার্থে স্টলে আইএমইডি এবং সিপিটিইউ-এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

Strategic Communication Approach (SCA)-এর অংশ হিসেবে বিসিসিপি আইএমইডি’র পক্ষে স্টলটি স্থাপন এবং এর ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করে।

স্মার্ট এনআইডি কার্ডের বিতরণ শুরু

দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্মার্ট কার্ড জনগণের হাতে পৌঁছেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের কাছে তাঁর স্মার্ট এনআইডি কার্ড হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে এটি বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর বায়োমেট্রিক বিবরণ গ্রহণের মাধ্যমে তাঁকে স্মার্ট কার্ড দেন। পরে প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট এনআইডি কার্ডের ব্র্যান্ড দূত মাশরাফি বিন মোর্তজাসহ জাতীয় ক্রিকেট দলের সকল সদস্যদের স্মার্ট এনআইডি কার্ড প্রদান করেন। মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টামণ্ডলী, সাংসদ, বিদেশী কূটনীতিক, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারগণ, সুশীল সমাজ এবং উচ্চ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “সরকার জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে পদক্ষেপ নিয়েছে। স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে সাহায্য করবে।”

অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য রাখেন। বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর জনাব চিমিয়াও ফেনও বক্তব্য রাখেন এবং Identification System for Enhancing Access to Services (IDEA)-এর প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মোঃ সালেহ উদ্দিন স্মার্ট এনআইডি কার্ডের উপর একটি সক্ষিপ্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় আইডিইএ প্রকল্পটি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অধীনে বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং বিসিসিপি স্মার্ট কার্ডটিকে জনপ্রিয় করে তুলতে কৌশলগত যোগাযোগ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।