logo

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস (বিসিসিপি) Training এবং Mentorship কার্যক্রমের একটি পথিকৃৎ প্রতিষ্ঠান। Training হচ্ছে মানব সম্পদ উন্নয়নের একটি মৌলিক উপাদান। এটি নির্দেশনা এবং অনুশীলনের মাধ্যমে কাংখিত মানের একটি নির্দিষ্ট দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করে। এটি একটি অত্যন্ত দরকারী Tool, যা একজন কর্মীকে এমন অবস্থানে আনতে পারে যেখানে তারা সঠিকভাবে এবং কার্যকরভাবে তাদের কাজ করতে পারে। অন্যদিকে Mentorship হচ্ছে নির্দেশনামূলক একটি ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি তার নিজের জ্ঞান, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অন্যদের সাথে বিনিময় করতে পারে; যা অন্যদের ব্যক্তি এবং পেশা জীবনে অগ্রগতিতে সহায়তা করে। এটা এমন একটা ব্যবস্থা যা জ্ঞান, দক্ষতা এবং পরীক্ষামূলক শিক্ষার মাধ্যমে অন্যের সফলতার সম্ভাবনাকে পূর্ণতার দিকে পরিচালনা করে। 
 
ব্যক্তি এবং পেশা জীবনে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে উৎকর্ষ সাধনে Mentorsগণ Professionalদের খুব কাছ থেকে সহায়তা প্রদান করেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, Bloomberg Family Foundation, Inc. এর আর্থিক সহায়তায় এবং Johns Hopking Bloomberg School of Public Health (JHSPH), Baltimore, USA এর কারিগরী সহায়তায় ২০১৩ সাল থেকে বিসিসিপি Tobacco Control Research Network Program চালু করেছে। তখন থেকেই তামাক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে এবং এ সংক্রন্ত Policy উন্নয়ন ও বাস্তবায়নে স্থানীয় তথ্য-উপাত্ত ভিত্তিক গবেষণার জন্য বাংলাদেশের গবেষকদের Mentorship প্রদানের মাধ্যমে সহায়তা করা হচ্ছে। আপাতঃদৃষ্টিতে Mentoring কে কার্যক্রম বাস্তবায়নের শুধুমাত্র একটি Tool মনে হলেও তা বাস্তবায়নে অনেক নিষ্ঠার প্রয়োজন। স্থানীয় গবেষকদের কাছ থেকে বিসিসিপির Mentorship Program সম্পর্কে মাত্র ছয় বছরে এধরনের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ায় আমরা অত্যন্ত গর্বিত।  
 
আমরা সবসময়ে বিশ্বাস করি, মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নে আমাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ও শুভানুধ্যায়ীদের সহযোগিতা ও উৎসাহের কমতি হবেনা। সাফল্য কঠোর পরিশ্রমের সাথে আসে, আর Training এবং Mentorship সঠিকভাবে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সেরা ফলাফল আনতে সাহায্য করে।  

উজ্জীবণ সিএসএস টিম-এর একটি মাইলস্টোন সাফল্য: এইচপিএন এসবিসিসি কৌশল বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি গঠণ ও প্রথম সভা

সফলভাবে এইচপিএন প্রোগ্রাম বাস্তবায়নের জন্য এসবিসিসি হচ্ছে একটি অন্যতম চালিকাশক্তি । তাই এর কৌশলগত বাস্তবায়ন এবং পরিবীক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ । 
- জনাব মোঃ হাবিবুর রহমান খান, অতিরিক্ত সচিব (বিশ্বস্বাস্থ্য ও জনস্বাস্থ্য),স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ

বিগত ২১ অক্টোবর ২০১৮ খ্রিঃ তারিখে সকাল ১১.০০ টায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জনাব মোঃ হাবিবুর রহমান খান, অতিরিক্ত সচিব (বিশ্বস্বাস্থ্য ও জনস্বাস্থ্য),স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এর সভাপতিত্বে এইচপিএন এসবিসিসি কৌশল বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি’র ১ম সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জনসংখ্যা, পঃ কঃ ও আইন) জনাব কাজী আ. খ. ম. মহিউল ইসলাম উক্ত সভায় কো-চেয়ার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট ইউনিট, নিপোর্ট, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এবং উন্নয়ন ও বেসরকারি সংস্থা ইউএসএআইডি, ইউনিসেফ, উজ্জীবন এসবিসিসি প্রজেক্ট ও বিসিসিপি প্রতিনিধিসহ সর্বমোট ৩০ জন এই সভায় অংশগ্রহণ করেন। সভার শুরুতে সভাপতি সভায় আগত সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানান। তিনি এইচপিএন এসবিসিসি কৌশল বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি’র কার্যপরিধি সভায় তুলে ধরেন এবং এ বিষয়ে কারো কোন অস্পষ্টতা থাকলে তা উপস্থাপনের জন্য অনুরোধ করেন। তিনি কম্প্রিহেন্সিভ এসবিসিসি স্ট্র্যাটেজী বাস্তবায়নে অব্যাহত সহযোগিতার জন্য উজ্জীবন এসবিসিসি প্রজেক্ট তথা ইউএসএআইডি-কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। 
 
সভায় গৃহীত মূল সিদ্ধান্তসমূহ নিম্নে দেয়া গেলঃ- 
  • -কমিটিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনসিডি ও সিডিসি ইউনিট এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্তণালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট ও স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতিনিধিকে অন্তর্ভূক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়;
  • -বার্ষিক এসবিসিসি পরিবীক্ষণ প্রতিবেদন ২০১৭-১৮ প্রণয়নের নিমিত্ত প্রতিবেদন ছকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তথ্যাদি প্রেরণ করতে হবে; 
  • -স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি এসবিসিসি কার্যক্রমে সকল ধরণের দ্বৈততা পরিহারে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়াস নিতে হবে;
  • -দেশের সকল বিভাগে কম্প্রিহেন্সিভ এসবিসিসি স্ট্র্যাটেজী’র কর্মপরিকল্পনা ও ইনডিকেটর বিষয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে অবহিতকরণ সভা আয়োজন করতে হবে;
  • -বার্ষিক এসবিসিসি পরিবীক্ষণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় চিহ্নিত সর্বোত্তম/সেরা চর্চা (Best Practice) গুলোকে নিয়ে এসবিসিসি মেলা আয়োজন করতে হবে;
  • -এনটিপি কার্যক্রমের ওপিতে এসবিসিসি কার্যাবলী অন্তর্ভূক্ত করার জন্য ওপি সংশোধনকালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় বাজেট সংস্থানের জন্য উদ্যোগ নিতে হবে।
সভার সমাপনী ঘোষনার পূর্বে কো-চেয়ার ও অতিরিক্ত সচিব (জনসংখ্যা, পরিবার কল্যাণ ও আইন) জনাব কাজী আ. খ. ম. মহিউল ইসলাম স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি কার্যক্রমের এসবিসিসি খাতকে শক্তিশালী করা ও সকল ধরণের দ্বৈততা পরিহার করে এগিয়ে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানান। পরিশেষে সভাপতি এইচপিএন এসবিসিসি কৌশল বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি’র ১ম সভায় অংশগ্রহণ ও সুচিন্তিত মতামত প্রদান করায় সকলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচির এসবিসিসি কার্যাবলীকে জোরদার করার ক্ষেত্রে সক্রিয় সহায়তার জন্য ইউএসএআইডি উজ্জীবন এসবিসিসি প্রজেক্ট ও দাতা সংস্থা ইউএসএআইডিকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন । উল্লেখ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন অধিদপ্তর/অফিসগুলোর SBCC সক্ষমতা এবং কর্মপদ্ধতি শক্তিশালীকরণে USAID-উজ্জীবন-বিসিসিপি-এর SBCC প্রকল্প কাজ করছে ।

এইচপিএন এসবিসিসি সমন্বয় কমিটির সভায় সমন্বিত কার্যক্রম পরিচালনার উপর গুরুত্বারোপ

আন্তঃইউনিট সমন্বয় সরকারী এইচপিএন কর্মসূচিতে ধারাবাহিক ও দৃশ্যমান প্রভাব রাখতে পারে।  -আব্দুল আজিজ, চিফ, ব্যুরো অব হেলথ্ এডুকেশন
 

বিগত ২০ নভেম্বর ২০১৯ খ্রি. তারিখে স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর প্রধান জনাব আব্দুল আজিজ আহমেদের সভাপতিত্বে এইচপিএন এসবিসিসি সমন্বয় কমিটির ২২তম সভা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পুরাতন ভবনের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের এসবিসিসি সংশ্লিষ্ট বিএইচই, আইপিএইচএন, আইইএম, সিএসএসডিপি, এমসিএইচ, এমআইএস, এনটিপি ও এমবিডিসি  ইউনিটের মোট ১৭ জন প্রতিনিধি এই সভায় অংশগ্রহণ করেন। ইউএসএআইডি উজ্জীবন এসবিসিসি প্রজেক্টের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ইউএসএআইডি’র এসবিসিসি বিশেষজ্ঞ জনাব আজমল হোসেনও সভায় উপস্থিত ছিলেন।
 
আইপিএইচএন, আইইএম এবং বিএইচই স্ব স্ব ইউনিটের কাজের অগ্রগতি এবং ইউনিটগুলির মধ্যে সমন্বয় সম্পর্কিত বিষয়াবলী উপস্থাপনা করে। সরকারি আদেশের মাধ্যমে ওপি, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এইচপিএন এসবিসিসি সমন্বয় কমিটি বিধিবদ্ধভুক্ত হওয়ায় সভায় মাঠপর্যায় পর্যন্ত এইচপিএন এসবিসিসি কার্যক্রমে সমন্বিত উদ্যোগের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়। আলোচনায় এইচপিএন এসবিসিসি কার্যক্রমে দ্বৈততা পরিহার করে সমন্বিত কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিম্নেবর্ণিত সিদ্ধান্তগুলি গৃহীত হয়।
  • এইচপিএন এসবিসিসি সমন্বয় কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্তৃপক্ষ সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে; 
  • স্বাক্ষরিত কার্যবিবরণী সংশ্লিষ্ট ইউনিটের ওয়েবসাইটের পাশাপাশি বিসিসি ওয়ার্কিং গ্রুপের ওয়েবসাইটেও আপলোড করা হবে;
  • সরকারি আদেশক্রমে গঠিত ওপি, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এইচপিএন এসবিসিসি সমন্বয় কমিটির কার্যক্রম সকল স্তরে সক্রিয় করতে হবে;
  • এইচপিএন এসবিসিসি সমন্বয় কমিটির সভার কার্যবিবরণী অতিরিক্ত সচিব জনস্বাস্থ্য ও বিশ্বস্বাস্থ্য এবং অতিরিক্ত সচিব পরিবার কল্যাণ বরাবরে পাঠাতে হবে;
  • এইচপিএন এসবিসিসি সমন্বয় কমিটির পরবর্তী সভার বিজ্ঞপ্তি প্রেরণকালে পূর্ববর্তী সভার কার্যবিবরণীসহ সংশ্লিষ্ট এইচপিএন ইউনিটে পাঠাতে হবে; 
  • মনিটরিং ও সুপারভিশন জোরদার করার লক্ষ্যে মোবাইল এ্যাপস তৈরির জন্য প্রস্তুতির নিমিত্ত আয়োজিত কর্মশালায় আইপিএইচএন, বিএইচই এবং আইইএম ইউনিট থেকে দুই জন করে প্রতিনিধি পাঠাতে হবে; এবং
  • এইচপিএন এসবিসিসি সমন্বয় কমিটির পরবর্তী সভা জানুয়ারি ২০১৯ মাসে অনুষ্ঠিত হবে।
পরিশেষে সভাপতির বক্তব্য প্রদানকালে স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো প্রধান জনাব আবদুল আজিজ আন্তঃইউনিট সমন্বয় সরকারী এইচপিএন কর্মসূচিতে ধারাবাহিক ও দৃশ্যমান প্রভাব রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি অংশগ্রহণকারীদের অংশগ্রহণ এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত ও পরামর্শ প্রদানের জন্য ধন্যবাদ দিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষনা করেন। উল্লেখ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন অধিদপ্তর/অফিসগুলোর SBCC সক্ষমতা এবং কর্মপদ্ধতি শক্তিশালীকরণে USAID-উজ্জীবন-বিসিসিপি-এর SBCC প্রকল্প কাজ করছে ।

এনজিও ও সরকারী এসবিসিসি কার্যক্রমকে সম্মিলিত ও একীভূত কার্যক্রম প্রণয়ণে বিসিসি ওয়ার্কিং গ্রুপ-এর সভা

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থার একীভূত ও সমন্বিত এসবিসিসি উদ্যোগ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাতে স্বাস্থ্যসম্মত আচরণ সৃষ্টিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।
- জনাব মোঃ হাবিবুর রহমান খান, অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য ও বিশ্বস্বাস্থ্য), স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ

সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার, কর্মক্ষেত্রে দ্বৈততা পরিহার ও কর্মসূচিতে সঙ্গতিপূর্ণ ও গতিশীল পরিবর্তনের লক্ষ্য সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হলো ২৬তম বিসিসি ওয়ার্কিং গ্রুপ সভা। গত ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে সকাল দশটায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আইইএম সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন জনাব মোঃ হাবিবুর রহমান খান, অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য ও বিশ্বস্বাস্থ্য), স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং কো-চেয়ার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব কাজী এ. কে. এম. মহিউল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (জনসংখ্যা, পরিবার কল্যাণ ও আইন), স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ। এছাড়াও যুগ্মসচিব জনস্বাস্থ্য-২ জনাব মোঃ রুহুল আমিন তালুকদার, যুগ্মসচিব ও পরিচালক আইইএম জনাব আশরাফুন্নেছা, পরিচালক, আইপিএইচএন ডাঃ সমির কান্তি সরকার ও লাইন ডিরেক্টর, ফিল্ড সার্ভিস ইউনিট জনাব সরোয়ার বারী সভায় উপস্থিত ছিলেন।
 
বিগত সভার কার্যবিবরণী পর্যালোচনাকালে বেশ কিছু বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়। সেগুলি হলো- 
  • স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের যে সকল ইউনিটের স্কুল হেলথ প্রোগ্রাম রয়েছে সে সকল ইউনিট অভিন্ন স্কুল হেলথ কারিকুলাম অনুসরণ করবে। এলক্ষ্যে আইইএম ইউনিট প্রণীত HPN স্কুল হেলথ কারিকুলামটি যথোপযুক্ত পরিবর্তন/পরিবর্ধন সাপেক্ষে অপরাপর ইউনিট ব্যবহার করবে;
  • সভায় বার্ষিক HPN SBCC Monitoring Report সম্পর্কে আলোচনাকালে রিপোর্টের মুদ্রিত সংষ্করণ যথাসময়ে প্রাপ্তির লক্ষ্যে আগামী ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখের আগে ১ম খসড়া উপস্থাপন করতে হবে;
  • বিভিন্ন পর্যায়ে HPN SBCC Commitee গঠণ বিষয়ক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের আলোকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটিসমূহ সক্রিয় করার জন্যে সংশ্লিষ্ট ইউনিট ও বেসরকারি সংস্থাসমূহকে উদ্যোগ নিতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আইপিএইচএন ও বিএইচই এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আইইএম, সিসিএসডিপি, এফএসডি, এমসিএইচ ও এমআইএস ইউনিটের প্রতিনিধি এবং বেসরকারি ও উন্নয়ন সংস্থা আইপাস, এসএমসি, ইন্‌কা, ওয়াস, জাইকা, এমপাওয়ার, চ্যালেঞ্জ টিবি, সিসিমপুর, এফপিএবি ও উজ্জীবন এসবিসিসি প্রজেক্টের প্রতিনিধি সভায় অংশ নেন। আইপিএইচএন, জাইকা, স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো, এমপাওয়ার, চ্যালেঞ্জ টিবি, উজ্জীবন এসবিসিসি প্রজেক্ট  ও আইইএম ইউনিট এ সভায় স্ব স্ব ইউনিটের বিগত তিন মাসের বাস্তবায়িত এসবিসিসি কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ কার্যক্রম উপস্থাপনা করেন। 
 
উপস্থাপনায় কিছু উদ্ভাবনী বিষয় অংশগ্রহণকারিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং আলোচনার সূত্রপাত ঘটায়। দু’জন ইউনিট ডিরেক্টর বিষয়গুলি নিয়ে নিম্নে বর্ণিত সুনির্দিষ্ট মতামত ব্যক্ত করেন।–

  • জনাব আশরাফুন্নেছা, যুগ্মসচিব ও পরিচালক, আইইএম ইউনিট, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরঃ এসবিসিসি কার্যক্রমের জন্য সকল ইউনিট ও এনজিও প্রতিনিধিদের কম্প্রিহেন্সিভ এসবিসিসি স্ট্র্যাটেজীর চারটি মূল (এসবিসিসি নেতৃত্ব ও সমন্বয়, দক্ষতা উন্নয়ন, জনগোষ্ঠির সম্পৃক্ততা, পরিবীক্ষণ এবং মূল্যায়ন) বিষয়কে বিবেচনায় নিয়ে তাদের উপস্থাপনা নির্দিষ্ট ফরম্যাটে প্রদান করলে ভালো হয়। 
  • জনাব ডা. মোঃ সারওয়ার বারী, যুগ্মসচিব ও পরিচালক, ফিল্ড সার্ভিস ইউনিট, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর বলেন যে, সামাজিক ও গণ মাধ্যম সমূহকেও আন্ত:ব্যাক্তিক যোগাযোগের মত কার্যকর যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে বিবেচনায় আনতে হবে। 
জনাব মোঃ রুহুল আমিন তালুকদার, যুগ্মসচিব, জনস্বাস্থ্য-২, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগঃ স্কুল পর্যায়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা কার্যক্রমের মতো বিষয়গুলোকে চিহ্নিত করে সরাসরি কার্যক্রম ভিত্তিক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ইউনিটসমূহের সমন্বয় জোরদার করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। প্রয়োজনে বেসরকারি সংস্থা বা উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সহায়তা গ্রহণের প্রতিও তিনি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এতে একদিকে যেমন কভারেজ বৃদ্ধি পাবে, অপরদিকে সম্পদের যথাযথ ব্যাবহারও নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।  
 
কো-চেয়ার জনাব কাজী এ. কে. এম. মহিউল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (জনসংখ্যা, পরিবার কল্যাণ ও আইন), স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, এসবিসিসি কার্যক্রম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা ভাল ফলাফল বয়ে আনবে এবং প্রাপ্য সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করবে। এ ব্যপারে তিনি সমন্বয়ের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন এবং সকল পর্যায়ে এর কার্যকারিতার  উপর গুরুত্ব আরোপ করেন ।
 
সভাপতি জনাব মোঃ হাবিবুর রহমান খান, অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য ও বিশ্বস্বাস্থ্য), স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ অংশগ্রহণকারীগণকে নতুন কমিটির কার্যপরিধি অনুযায়ী সভায় অংশগ্রহণ এবং কম্প্রিহেন্সিভ এসবিসিসি স্ট্র্যাটেজী’র আলোকে স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়নের আহবান জানান। তিনি উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।উল্লেখ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন অধিদপ্তর/অফিসগুলোর SBCC সক্ষমতা এবং কর্মপদ্ধতি শক্তিশালীকরণে USAID-উজ্জীবন-বিসিসিপি-এর SBCC প্রকল্প কাজ করছে ।

বিসিসিপি, গভর্মেন্ট টেন্ডারার ফোরাম (জিটিএফ)কে প্রাতিষ্ঠানিক রুপদানের লক্ষ্যে এলজিইডি সম্মেলন কক্ষ, আগারগাঁও ঢাকা এক কর্মশালার আয়োজন করে।

গত নভেম্বর ২২, ২০১৮ তারিখে বিসিসিপি, গভর্মেন্ট টেন্ডারার ফোরাম (জিটিএফ)কে প্রাতিষ্ঠানিক রুপদানের লক্ষ্যে এলজিইডি সম্মেলন কক্ষ, আগারগাঁও ঢাকা এক কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ মফিজুল ইসলাম, সচিব, আইএমইডি, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ ফারুক হোসেন, মহাপরিচালক, সিপিটিইউ, আইএমইডি, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। কর্মশালায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব ড. জাফরুল ইসলাম, লিড প্রকিউরমেন্ট স্পেশালিস্ট, বিশ্ব ব্যাংক, জনাব শীষ হায়দার চৌধুরী, পরিচালক (সমন্বয় ও প্রশিক্ষণ) সিপিটিইউ, আইএমইডি, জনাব আলী নূর, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, এলজিইডি, ঢাকা।
 
কর্মশালায় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, টেন্ডারারার এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্বসহ মোট ৮০জন উপস্থিত ছিলেন।
 
কর্মশালায় বক্তারা উল্লেখ করেন মোট টেন্ডারের ৫০% এখন ই-জিপি সিস্টেমে পরিচালিত হয় যার ফলে ১৩-২০% টাকা সরকারের তহবিলে জমা হয়। ই-জিপি সিস্টেমে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে টেন্ডারারার এবং প্রকিউরিং এনটিটির মধ্যে সু-সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। আর এই সু-সম্পর্ক তৈরি এবং টেকসই ও শক্তিশালী সরকারি ক্রয় ব্যবস্থা সৃষ্টির জন্য জিটিএফকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিতে হবে।