logo

সংযোগ সম্পাদকীয়: সক্ষমতা বৃদ্ধি

সক্ষমতা বৃদ্ধি এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিজের কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় নতুন ধ্যান-ধারণা বা দক্ষতা অর্জন অথবা বিদ্যমান জ্ঞান ও দক্ষতাকে আরও উন্নত করতে সাহায্য করে। মোট কথা, সক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং ক্রম পরিবর্তণশীল পরিবেশেও প্রসঙ্গিক থাকতে পারে। আমরা জানি যে, ‘সক্ষমতা বৃদ্ধি’ আর ‘সক্ষমতা উন্নয়ন’ এক নয়। সক্ষমতা উন্নয়ন এর ক্ষেত্রে বিদ্যমান জ্ঞান ও দক্ষতকে বিবেচনায় রেখে সেটির প্রয়োজনীয় উন্নয়নের কথা বলা হয়।
 
সক্ষমতা উন্নয়নের সাথে গুণগত মান বজায় রাখার একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে এবং কোন প্রতিষ্ঠানে যদি সক্ষমতা উন্নয়ন প্রক্রিয়া চলমান না থাকে, সেই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে গুণগত মান বজায় রাখা আর সম্ভব হয়না। পরিণাম শুধু প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিই না, প্রতিষ্ঠানকে অনেক মূল্যও দিতে হয়। উপযুক্ত সক্ষমতা না থাকলে সম্পদের  অতিব্যবহার, অপব্যবহার বা অবমূল্যায়ন হয়। যার ফলে যে কোন প্রতিষ্ঠানের ওপর আর্থিক ও মানব সম্পদের  বোঝা চেপে বসতে পারে। বিসিসিপি একটি সামাজিক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান হিসেবে সার্বিক সক্ষমতা উন্নয়নে বিশ্বাস করে এবং ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নানাবিধ প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজন করে থাকে। ‘এ্যাডভান্সেস ইন স্ট্রাটেজিক কমিউনিকেশনস’কর্মশালাটি এর ভেতর একটি। এই কর্মশালাটি স্ট্রাটেজিক কমিউনিকেশনস এর ক্ষেত্রে আগামী নেতৃত্ব তৈরীর উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হয়ে থাকে।  

স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি কার্যক্রমের সমন্বিত সামাজিক ও আচরণ পরিবর্তন মাইলফলকসম্পন্ন উদ্যোগ - মোঃ রুহুল আমিন তালুকদার

সাভারের বাংলাদেশ সেন্টার ফর ডেভলপমেন্ট এ্যান্ড ম্যানেজমেন্টে ১৩-১৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ২ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত কর্মশালায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি বিভাগের জন্য প্রণীত সামাজিক আচরণ পরিবর্তন যোগাযোগ কৌশলপত্রের অনুসরণে একটি কার্যক্রম বাস্তবায়ন পরিকল্পনা প্রণয়ণ করে। কর্মশালার উদ্বোধনী বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব জনাব রুহুল আমিন তালুকদার এই কৌশলপত্রটিকে একটি মাইলফলকসম্পন্ন উদ্যোগ বলে অভিহিত করেন। তিনি জনগোষ্ঠীর সাথে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সংযোগ স্থাপন, কার্যকর কাউন্সেলিং এবং সমন্বিত প্রচারণার মাধ্যমে কৌশলপত্রটির সঠিক এবং পরিকল্পিত বাস্তবায়নের উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
 
ইউএসএআইডি উজ্জীবন - বিসিসিপি প্রকল্পের কারিগরী সহায়তায় অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি বিভাগের ২৭ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন যারা কর্মশালা শেষে একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। এই কর্মপরিকল্পনায় প্রতিটি কার্যক্রমের জন্য একটি পরিবীক্ষণ সূচক, দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগ এবং বাস্তবায়নের নির্দিষ্ট সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়। আশা করা হচ্ছে যে, এই কর্মপরিকল্পনাটি স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি বিভাগের সামাজিক ও আচরণ পরিবর্তন যোগাযোগ কার্যক্রম পরিকল্পনায় সবার জন্য অনুসরণযোগ্য একটি দলিল হিসেবে কাজ করবে যা জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য আচরণ এবং সেবাকেন্দ্রগুলোতে অধিকহারে সেবাগ্রহীতাদের প্রবাহ বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে অবদান রাখবে।

তামাক নিয়ন্ত্রণের উপর প্রয়োজনীয় ভবিষ্যৎ গবেষণা নির্ধারনের জন্য পরামর্শমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস্ (বিসিসিপি) ও জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল যৌথভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণের উপর প্রয়োজনীয় ভবিষ্যৎ গবেষনা নির্ধারনের জন্য একটি পরামর্শমূলক কর্মশালা আয়োজন করে। কর্মশালাটি র্সিডাপ্ অডিটোরিয়ামে অক্টোবর ২৯, ২০১৭ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ব্লুমবার্গ ইনিশিয়েটিভ পার্টনার ও গ্রান্টি সংস্থা ও তামাক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার ৪০ জন অংশগ্রহণকারী উক্ত কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীগণ চারটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে আলোচনার প্রেক্ষিতে তামাক নিয়ন্ত্রণের উপর প্রয়োজনীয় ভবিষ্যৎ গবেষনা নির্ধারন করে প্লেনারীতে উপস্থাপন করেন।       
 
জনাব মুহম্মদ রুহুল কুদ্দুস, যুগ্ম সচিব ও সমন্বয়কারি, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। উক্ত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব সাইফুল হাসান বাদল, যুগ্ম সচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য), স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়; ডা: সৈয়দ মাহ্ফুজুল হক, ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা,  জনাব শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রতিনিধি, ভাইটাল ষ্ট্রেটিজিজ ও জনাব সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিন, টেক্নিক্যাল এড্ভাইজার, দি ইউনিয়ন। 

ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৭-এ আইএমইডি’র অংশগ্রহণ

স্থানীয়, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক আইটি ইন্ডাষ্ট্রির লিডার ও তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের মধ্যে একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম তৈরি ও নেটওয়ার্ক স্থাপনের লক্ষ্যে ২০১২ সাল হতে বাংলাদেশ সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে আইসিটি বিভাগ বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মেলা ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড আয়োজন করে আসছে। দেশের সকল সরকারি মন্ত্রণালয় ও বিভাগসহ সকল বেসরকারি ও প্রাইভেট এজেন্সি তাদের ডিজিটাল কার্মকান্ড প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে এই মেলায় অংশগ্রহণ করে থাকে। এ বছর ‘রেডি ফর টুমোরো’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সফট্ওয়ার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এবং এক্সেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রাম (এটুআই)-এর সহযোগিতায় আইসিটি বিভাগ ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৭’ আয়োজন করে। 
 

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) এবং সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) মেলায় তাদের ডিজিটাল প্রযুক্তির অগ্রগতির বিভিন্ন দিক একটি স্টলে প্রদর্শন করে। মেলায় আগত দর্শনার্থীদের মাঝে আইএমইডি’র কর্মকান্ড ও অবদান, ই-জিপি’র অগ্রগতি এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট সম্পর্কিত বিভিন্ন উদ্ভাবনী বিষয়গুলো প্রদর্শন ও প্রচার করাই ছিল এর উদ্দেশ্য। আইএমইডি’র পক্ষে বিসিসিপি স্টলটি স্থাপন করে এবং এর সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে। 
 
স্টলটিতে লাইভ মোবাইল অ্যাপলিকেশন এবং ডিজিটাল প্যানেলের মাধ্যমে ই-জিপি’র অগ্রগতি বিষয়ক লাইভ ডাটা প্রদর্শন করা হয়। স্টলে আগত প্রায় ৬০০০ দর্শনার্থীদের মাঝে ই-জিপি রেজিস্ট্রেশন ফ্লায়ার, আইএমইডি ব্রোশিউর এবং ই-জিপি কলম বিতরণ করা হয়। আইএমই বিভাগের সচিব জনাব মোঃ মফিজুল ইসলাম, সিপিটিইউ’র মহাপরিচালক জনাব মোঃ ফারুক হোসেন, বিসিসিপি’র পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোহাম্মদ শাহজাহান এবং আইএমইডি ও সিপিটিইউ’র অন্যান্য কর্মকর্তাগণ মেলার স্টলটি পরিদর্শন করেন। মেলাটি গত ডিসেম্বর ৬ থেকে ৯, ২০১৭ তারিখ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।

স্টুডেন্ট এন্ড পুলিশ এনগেজমেন্ট- স্টুডেন্ট লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কশপস্ প্রোগ্রাম (চট্টগ্রাম)

যুবসমাজের জন্য একটি অন্যতম কার্যক্রম ‘চট্টগ্রাম স্টুডেন্ট এন্ড পুলিশ এনগেজমেন্ট- স্টুডেন্ট লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কশপস্ প্রোগ্রাম’যা বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস (বিসিসিপি)। কার্যক্রমটির মাধ্যমে চট্টগ্রামে অবস্থিত তিনটি নির্ধারিত বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজের প্রতিটিতে ৬টি বিষয় ভিত্তিক ওয়ার্কশপ ও একটি সেমিনার  এবং অন্যান্য সচেতনতা মূলক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। নির্ধারিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী এবং পুলিশের মনোনীত সদস্যগণ এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন।
আমাদের সমাজে বিদ্যমান অস্থিরতা ও সহিংসতার মূল কারণ সনাক্তকরণ এবং এসব সমস্যা মোকাবিলায় পুলিশ ও কমিউনিটির মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাশীল অংশীদারিত্বের উন্নয়ন ঘটানো এই কার্যক্রমের উদ্দেশ্য।  যুবশক্তি দেশের সামাজিক পরিবর্তনে মূল চালিকা হিসেবে কাজ করে বা নেতৃত্ব দিয়ে থাকে, তাই যুবসমাজ ও পুলিশের একসাথে কাজ করতে শেখা শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনের লক্ষ্যে যুব সমাজের মধ্য থেকে নেতিবাচক ধারণাগুলো দূর/রোধ করার একটি কার্যকর উপায় হতে পারে।
 
পুলিশ ও ছাত্রদের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটানোর লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং তাদের সংগঠনগুলোর ইতিবাচক ধারণা তৈরির মাধ্যমে সহিংসতা, চরমপন্থা, রেডিক্যালাইজেশন এবং আন্তঃধর্মীয় কার্যক্রম বিষয়ে সংলাপ শুরু করা, শান্তিপূর্ণ উপায় দ্বন্দ্ব নিরসনে উৎসাহিত করাকে --- এই কার্যক্রম গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এই প্রক্রিয়ায় অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নেতৃত্ব তৈরি, যোগাযোগ এবং ভাব বিনিময়ের জন্যে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি যা ছাত্র সংগঠনগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যে অবদান রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়াও অংশগ্রহণকারীগণ জীবন দক্ষতাসহ আনুষাঙ্গিক দক্ষতা অর্জন করবেন যা তাদের উন্নততর কর্মজীবনের জন্যে সহায়ক হবে।