logo

সম্পাদকীয়

আমাদের বিভিন্ন পার্টনার/সহযোগী প্রতিষ্ঠান ও শুভানুধ্যায়ীদের আন্তরিক সহযোগিতায় আমরা আরো একটি বছর সফলভাবে পেরিয়ে এলাম। পেশাগত বা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা উভয় দৃষ্টিকোণ থেকেই বছরের শেষটায় নিজেদের কৌশল ও কার্যপদ্ধতি পুনঃযাচাই এবং পুনর্গঠনের জন্য ভাল সময়- বিশেষত যখন জাতীয় ও বৈশ্বিক উন্নয়ন অগ্রাধিকারগুলোও পরিবর্তিত হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে আমাদের কৌশলগত পরিকল্পনা ২০১৬-২০২০ চূড়ান্ত করেছি যা আগামী ৪ বছরের জন্য আমাদের কাজের দিক নির্দেশনা দেবে। আগামীতে আমরা কি করতে চাই এবং আমাদের কিছু প্রত্যাশার কথাও এই কৌশলপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে সামাজিক ও আচরণ পরিবর্তন যোগাযোগের (এসবিসিসি) জীবনমানের উন্নয়ন ঘটানোর জন্য আমাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন পার্টনার এমনকি বিসিসিপি’র সহকর্মীরাও তাদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাকে আরো ভালভাবে কাজে লাগাতে পারবেন। একইভাবে বিসিসিপির ওয়েবসাইটটিও নতুন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে, যাতে করে কৌশলগত যোগাযোগ নিয়ে আমাদের যে দীর্ঘ পথচলা সে সম্পর্কে একটি ধারণা সবাই পেতে পারেন।
 
আমাদের সহযোগীদের জন্য নতুন বছরের উপহার হিসেবে আমরা আয়োজন করেছি ২২তম এডভান্সেস ইন স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশন ওয়ার্কশপ। দুই সপ্তাহব্যাপী চলা এই কর্মশালাটি শেষ হয়েছে মার্চ ৯, ২০১৭ তারিখে। অধিকতর এসবিসিসি কর্যক্রম প্রসারের লক্ষ্যে কার্যকর, সমন্বিত এবং জনমুখী কর্মসূচি পরিকল্পনাকারী এবং বাস্তবায়নকারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ১৯৯৪ সাল থেকে বিসিসিপি এই কর্মশালাটি আয়োজন করে আসছে। প্রতিবছর আধুনিক ধ্যান-ধারণা ও প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে এই কর্মশালার মডিউলের পরিবর্তন আনা হয়।   
এই নতুন বছরে আমাদের একটি সংকল্প হলো বরাবরের মতো কৌশলগত যোগাযোগকে এগিয়ে নিতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো।
 
আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের পার্টনার ও সহযোগীরা আমাদের সাথে থেকে আগের মতই সহযোগিতা ও উৎসাহ দিয়ে যাবেন। 

পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রিফর্ম এর জন্য সামাজিক সচেতনতা ও যোগাযোগ কার্যক্রম

পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রিফর্ম প্রজেক্ট-২ এর সামাজিক সচেতনতা ও যোগাযোগ কম্পোনেন্ট-এর জন্য কাজ করছে বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস্ (বিসিসিপি)। 
এই কম্পোনেন্ট-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম হচ্ছে জেলা পর্যায়ে ঠিকাদার এবং সরকারি ক্রয়কারীদের সমন্বয়ে গভর্নমেন্ট এ্যান্ড কন্ট্রাক্টরস্ ফোরাম নামে একটি প্লাটফর্ম গঠন করা,  যার মূখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে ঠিকাদার এবং সরকারি ক্রয়কারীদের মধ্যে সংলাপ এবং তাদের মধ্যে মতামত, ধারণা, অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি করে সরকারি ক্রয় কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও জনগণের অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং অবাধ প্রতিযোগিতার পরিবেশ গড়ে তোলা।
 
এই কম্পোনেন্ট-এর আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম হচ্ছে জেলা পর্যায়ে ঠিকাদার, সরকারি ক্রয়কারী, গণমাধ্যমকর্মী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং ব্যাংকারদের সমন্বয়ে ই-জিপি বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালা পরিচালনা করা। এই কার্যক্রমটির  উদ্দেশ্য হচ্ছে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট এবং ই-জিপি বা ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট  সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা। ২০১৭ সালের মার্চ পর্যন্ত সামাজিক সচেতনতা ও যোগাযোগ কম্পোনেন্ট-এর উভয় কার্যক্রমই ৬৪টি জেলায় সম্পন্ন হয়েছে।
 
জেলা পর্যায়ে এই কার্যক্রমগুলো পর্যবেক্ষণ করতে  এবং অংশগ্রহণকারীদের সাথে মতবিনিময় করতে বিভিন্ন সময়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আই এম ই বিভাগের সাবেক সচিববৃন্দ সহিদুল্লাহ্ খন্দকার, ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরী, বর্তমান সচিব মফিজুল ইসলাম, সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ)-এর মহাপরিচালক মোঃ ফারুক হোসেন, বিশ্ব ব্যাংক-এর লিড প্রকিউরমেন্ট স্পেশালিস্ট ডঃ জাফরুল ইসলাম ও অন্যান্য প্রতিনিধিবৃন্দ কার্যক্রমগুলোতে অংশগ্রহণ করেন।

ফেস্টিভাল অফ লার্নিং অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্প্রিংবোর্ডের অংশগ্রহণ

বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস্ (বিসিসিপি) গত ১৪ই মার্চ, ২০১৭ তারিখে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিত ফেস্টিভাল অফ লার্নিং অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। বিসিসিপি, ইউনিসেফ এবং ইউএনএফপি’র কারিগরি সহায়তায় বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন, বাংলাদেশ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সোস্যাল ও বিহেভিয়ার চেঞ্জ কমিউনিকেশন (এসবিসিসি) সংক্রান্ত নিজস্ব জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং তথ্য বিনিময় করেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের তথ্য, শিক্ষা ও উদ্বুদ্ধকরন ইউনিট এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো ও জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যেমন, ডিএফআইডি, জেএইচইউ, ইকেএন, দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র, এসএনভি নেদারল্যান্ড, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, টিডিএইচ, সেভ দ্যা চিলড্রেন, কেয়ার বাংলাদেশ, লাইট হাউজ ও বিসিসিপি। এসবিসিসি অভিজ্ঞতা এবং বিশ্বব্যাপী এসবিসিসি নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত আলোচনায় বাংলাদেশ স্প্রিংবোর্ড-এর পরিচিতি তুলে ধরেন বিসিসিপি স্প্রিংবোর্ড টিম লিডার ও বিসিসিপির সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর তওফিক জাহান। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাতে এসবিসিসি’র সেরা কার্যক্রম প্রচারে বিসিসিপি’র অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়, যা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাতের সাফল্যগাঁথা নামে ইতোমধ্যে  পরিচিতি পেয়েছে। আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে স্প্রিংবোডের্র স্মরনী বিতরণ করা হয়।  
 
ফেস্টিভালের কর্মশালায় কৌশলগত যোগাযোগ বিষয়ে একটি অধিবেশন পরিচালনা করেন বিসিসিপি’র ভারপ্রাপ্ত প্রোগ্রাম পরিচালক ডা: জিনাত সুলতানা। ফেস্টিভালের প্যানেল আলোচনা অধিবেশনে কার্যকর এসবিসিসি বিষয়ক একটি উপস্থাপনা করেন বিসিসিপি’র পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান।      
উল্লেখ্য স্প্রিংবোর্ড একটি অনলাইন প্লাটফর্ম যেখানে  স্বাস্থ্য বিষয়ক যোগাযোগ পেশাজীবিরা তাদের এসবিসিসি সংক্রান্ত জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং তথ্য বিনিময় করার মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতার উন্নয়ন ঘটায়। এবিষয়ে বিস্তারিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নি¤œলিখিত লিংকসমূহে পাওয়া যাবে:-    
সংযোগ পাঠকদের বাংলাদেশ  হেলথ কমিউনিকেশন স্প্রিংবোর্ড এ নিবন্ধন করার সুবিধার জন্য নিম্নলিখিত লিংকটি দেয়া হলো:- 
 
স্বাস্থ্য কার্যক্রম সম্পর্কিত যে কোন দৈনন্দিন কার্যাবলী অথবা বাংলাদেশ এবং আঞ্চলিক স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা, পুষ্টি ও উন্নয়ন সেকটর বিষয়ক যে কোনো ঘটনা/সংবাদ, বাংলাদেশ স্প্রিংবোর্ডকে springboardbangladesh@gmail.com  এই ইমেইলের মাধ্যমে জানানো যাবে।

টেলিভিশন ও বেতার এ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রিফর্ম এর জন্য সামাজিক সচেতনতা ও যোগাযোগ কার্যক্রম

পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রিফর্ম প্রজেক্ট-২ এর আওতায় বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস্ (বিবিসিপি) টেলিভিশন ও বেতার এ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রিফর্ম এর জন্য সামাজিক সচেতনতা ও যোগাযোগ কার্যক্রম নিয়মিতভাবে আয়োজন করছে। 
প্রকল্পের অধীনে উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর চাহিদার কথা চিন্তা করে একটি নির্দিষ্ট থিমে অডিও এবং মিউজিক ভিডিও তৈরি করা হয়। মিউজিক ভিডিওটি বিটিভি, চ্যানেল আই, সময় টিভি, বৈশাখী টিভি, দেশ টিভি এবং থিম সং বাংলাদেশ বেতার, রেডিও এবিসি, রেডিও আমার ও রেডিও স্বাধীন  এ সম্প্রচার করা হয়েছে।
 
প্রকল্পের আওতায় ইলেকট্রনিক গভর্নমেণ্ট প্রকিউরমেন্ট তথা ই-জিপি বিষয়ক একটি টেলিভিশন বিজ্ঞাপন ও রেডিও বিজ্ঞাপন তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এতে ই-জিপি  বিষয়ক  প্রচারণা এবং সরকারি ক্রয়ে ই-জিপি:  সহজ, দ্রুত, নশ্চিন্ত ” এবিষয়ে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।  টেলিভিশন বিজ্ঞাপনটি বিটিভি, একুশে টিভি, আর টিভি, দীপ্ত টিভি, সময় টিভি, বাংলাভিশন, ইন্ডিপেনডেণ্ট টেলিভিশন, চ্যানেল ২৪, ডিবিসি নিউজ এ ২ মাসব্যাপি প্রচারিত হয়েছে এবং রেডিও বিজ্ঞাপনটি বাংলাদেশ বেতার, রেডিও আমার, ঢাকা এফএম,  রেডিও এবিসি ও রেডিও টুডে তে ২ মাস সম্প্রচার করা হয়েছে।
 
প্রকল্পের আওতায় ৮ পর্বের একটা সিরিজ টিভি টক শো তৈরি করা হয়, যা চ্যানেল-২৪ এবং একুশে টিভিতে ইতোমধ্যে সম্প্রচারিত হয়েছে। টক শোতে পাবলিক প্রকিউরমেন্টে ই-জিপি বিষয়ক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তথ্য দেয়া ও করা হয়। টিভি টক শো প্রদর্শনের পূর্বে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ( প্রথম আলো, সমকাল এবং বাংলাদেশ প্রতিদিন) বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়।
মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণ ফোনের সহায়তায় পাঠানো ৫টি ভিন্ন ভিন্ন এসএমএস এর মাধ্যমে ২৫,০০০ উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে প্রায় ৭৫০,০০০ বার সরাসরি বার্তা পৌঁছানো হয়। 
 
পাশাপাশি সরকারি ক্রয়কারী সংস্থা, দরদাতা, ঠিকাদার, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ, মিডিয়া এবং অন্যান্য প্রায় ৩০,০০০ উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর কাছে বিভিন্ন সময়ে ৫টি ভিন্ন  ভিন্ন মূলবার্তা সরাসরি ই-মেইল এর মাধ্যমে পাঠানো হয়।

স্বাস্থ্যমেলা: এনএইচএসডিপির একটি ব্যতিক্রমি জনগোষ্ঠী ও উদ্বুদ্ধকরন কার্যক্রম

সূর্যের হাসি নেটওয়ার্কের অধীনে এনজিও হেল্থ সার্ভিস ডেলিভারি প্রজেক্ট (এনএইচএসডিপি) ২০১৬ সালে সূর্যের হাসি স্বাস্থ্যমেলা নামে মডেল ধারণা বাস্তবায়নের একটি ব্যতিক্রম উদ্যোগ গ্রহণ করে, যার অধীনে ২৫টি এনজিওর আওতাভুক্ত ১টি করে ক্লিনিকে জনগোষ্ঠির সদস্য এবং প্রভাবশালী ব্যক্তি ও সরকারী/বেসরকারী স্বাস্থ্য ও উন্নয়নমূলক সংগঠণসমূহের অংশগ্রহণে স্বাস্থ্যমেলা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস্ (বিসিসিপি) র করিগরী সহায়তায় বাস্তবায়িত এই মডেল স্বাস্থ্যমেলার উদ্দেশ্য ছিল;
 
o সূর্যের হাসি স্বাস্থ্যসেবা ও সেবাদানকারীদের ভাবমূর্তিকে পরিচিত ও প্রতিষ্ঠা করানো,
o স্বাস্থ্যসেবা ও সূর্যের হাসি ক্লিনিক সম্পর্কে জনগোষ্ঠির মধ্যে যোগাযোগ ও সংলাপের সৃষ্টি করা, এবং
o জনগোষ্ঠি  ও সূর্যের হাসি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা।
 
এই মডেল ধারণা ২৫টি ক্লিনিকে বাস্তবায়নের অনুসরণে সূর্যের হাসি নেটওয়ার্কের এনজিওরা তাদের নিজস্ব অর্থায়ন ও পরিকল্পনায় অধীনস্ত ক্লিনিকসমূহে এই সূর্যের হাসি স্বাস্থ্যমেলা বাস্তবায়ন করছে। ২০১৭ সালের মার্চ পর্যন্ত তারা এ ধরণের ৩১টি স্বাস্থ্যমেলা আয়োজন করেছে, যেখানে জনগোষ্ঠির সদস্য এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গসহ প্রায় ৬২ হাজারেরও অধিক দর্শক/শ্রোতা অংশগ্রহণ করেন। এ ধরণের মেলায় স্থানীয় সরকারী/বেসরকারী স্বাস্থ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক স্টলসমূহ অংশগ্রহণ করে এবং তাদের কার্যক্রম প্রদর্শন করে। স্বাস্থ্যমেলার অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল; সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক, কবিতা আবৃত্তি, গান, উপস্থিত বক্তৃতা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, যাদু প্রদর্শনী, ফিল্মশো এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক আলোচনা সভা। এসব স্বাস্থ্যমেলা জনগোষ্ঠির সম্পৃক্তকরণ ও ক্লিনিকে সেবাগ্রহীতা বৃদ্ধিতে প্রভূত অবদান রাখছে বলে ক্লিনিকগুলো থেকে রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। 

বিসিসিএম সম্পর্কিত এন্ড-লাইন ইভ্যালুয়েশন অবহিতকরণ কর্মশালা

গত ২৭ মার্চ, ২০১৭ আরবান প্রাইমারী হেল্থ কেয়ার সার্ভিসেস্ ডেলিভারি প্রোজেক্ট (ইউপিএইচসিএসডিপি) এর তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস্ (বিসিসিপি) আয়োজিত প্রকল্পের বিসিসিএম কম্পোনেন্ট-এর এন্ড-লাইন ইভ্যালুয়েশন-এর ফলাফল প্রকাশ বিষয়ে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ স্থানীয় সরকার বিভাগের মহাপরিচালক (এমআইই) এ এস এম মাহবুবুল আলম। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের স্টাফ কন্সালটেন্ট (আরবান হেল্থ) জনাব ধীরাজ কুমার নাথ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জে. ডা. শেখ সালাউদ্দিন, ইউপিএইচসিএসডিপি-এর উপ-প্রকল্প পরিচালক (সার্ভিস ডেলিভারী)     মোঃ সাবিরুল ইসলাম এবং বিসিসিপি’র পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইউপিএইচসিএসডিপি’র প্রকল্প পরিচালক মোঃ আবদুল হাকিম মজুমদার এনডিসি। এছাড়াও পিএমইউ, পিআইইউ, ২৫টি পিএ ইউনিটের প্রকল্প ব্যবস্থাপকগণ, ইউপিএইচসিএসডিপি’র সাথে কর্মরত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট দাতা সংস্থার প্রতিনিধিসহ বিসিসিপি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
 
কর্মশালার প্রথম পর্বে কৌশলগত যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইভ্যালুয়েশন-এর গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য পেশ করেন বিসিসিপি’র পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান। দ্বিতীয় পর্বে এন্ড-লাইন ইভ্যালুয়েশনের ফলাফল উপস্থাপন করেন ইভ্যালুয়েশন পরিচালনাকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান নেলসন কোম্পানী বাংলাদেশ লিমিটেড-এর পরিচালক (গবেষণা) ডঃ ইয়াসমিন সিদ্দীকা। বিসিসিপি’র বিসিসিএম কম্পোনেন্ট-এর ক্যাপাসিটি বিল্ডিং স্পেশালিস্ট ডাঃ নজরুল হক উপস্থিত কর্মকর্তা ও অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ও আলোচনা করেন এবং প্রতিবেদন ও আলোচনার সার-সংক্ষেপ তুলে ধরেন। কর্মশালায় বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। সভাপতির বক্তব্যের মাধ্যমে কর্মশালার সমাপনী হয়।

জনস্বাস্থ্য সেবা তথ্য প্রচারে মিডিয়া ডায়লগ

স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে জনগোষ্ঠিকে অধিকতর সম্পৃক্তকরণ এবং কম সুবিধাভোগী ও দরিদ্র জনগোষ্ঠির কাছে স্বাস্থ্যবার্তা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির স্থান সম্পর্কে তথ্য পৌঁছানোর জন্য সংবাদমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এই ভূমিকার কথা বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস্ (বিসিসিপি) এর কারিগরী সহায়তায় এনজিও হেল্থ সার্ভিস ডেলিভারি প্রজেক্ট (এনএইচএসডিপি) জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে সংবাদপত্র, টিভি, রেডিও, অনলাইন পত্রিকার সংবাদিকদের নিয়ে অত্যাবশকীয় স্বাস্থ্যসেবায় সংবাদকর্মীদের ভূমিকা শীর্ষক মিডিয়া ডায়লগ-এর আয়োজন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠিত হয় খুলনা বিভাগীয়  মিডিয়া ডায়লগ। খুলনার একটি স্থানীয় সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এই মিডিয়া ডায়লগটি ২০শে মার্চ ২০১৭ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। এই মিডিয়া ডায়লগ-এর উদ্দেশ্য হচ্ছে সূর্যের হাসি ক্লিনিক থেকে প্রদত্ত অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে জনমানুষ বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে জানানো এবং তাদের আচরণে পরিবর্তন আনা। এই অনুষ্ঠানে খুলনার ৩৪ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। সূর্যের হাসি নেটওয়ার্কের স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াও কমিউনিটি ভয়েস হিসেবে একজন কমিউনিটি সার্ভিস প্রোভাইডার এবং সূর্যের হাসি কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রæপের একজন লিডার তাদের দায়িত্ব ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া এনএইচএসডিপি চীফ অব পার্টি এই অনুষ্ঠানে তাঁর প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ও সূর্যের হাসি ক্লিনিক থেকে প্রদত্ত স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা দেন। খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন যে, এই অনুষ্ঠানটি সাম্প্রতিক বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ে সংবাদকর্মীদের ভালভাবে বুঝতে একটি প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে যা কমিউনিটি পর্যায়ের ক্লিনিকসমূহের জন্য বর্ধিত সহায়তা ও সম্পদ সমাবেশীকরণে এবং বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে সামগ্রিকভাবে অবদান রাখবে। মিডিয়া ডায়লগে কয়েকটি সুপারিশ করা হয়। সুপারিশগুলো হলো;
 
o স্থানীয় পর্যায়ের সংবাদিকদের স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়নমূলক কর্মশালা/ প্রশিক্ষণের আয়োজন, যাতে তারা ইস্যুভিত্তিক এবং প্রয়োজনীয় নিউজ রিপোর্টিং করতে পারেন,
o খুলনা বিভাগে সূর্যের হাসি ক্লিনিকের সংখ্যা বৃদ্ধি করা, কারণ অন্যান্য বিভাগের তুলনায় এখানে ক্লিনিকের সংখ্যা অত্যন্ত কম, এবং 
o সূর্যের হাসি ও স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে ধারাবাহিক রিপোর্টিং করার জন্য একটি মিডিয়া টিম গঠন করা।
 
এই মিডিয়া ডায়লগটি সূর্যের হাসি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবায় জনগণের অংশগ্রহণ এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের কাছে স্বাস্থ্যসেবার তথ্য পৌঁছিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে অবদান রাখতে সক্ষম হবে বলে আশা করা হয়।

তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক গবেষণা-ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে সেমিনার আয়োজিত

বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস্ (বিসিসিপি), বাংলাদেশ টোবাকো কন্ট্রোল রিসার্স নেটওয়ার্ক (বিটিসিআরএন) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর-এ অবস্থিত জনস্ হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথ্  (জেএইচএসপিএইচ)-এর কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক গবেষণা-ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে গত ২৩ জানুয়ারি, ২০১৭ তারিখে ঢাকায় একটি সেমিনার আয়োজন করে। সেমিনারে গত বছরের অনুদান প্রাপ্ত ১০ জন গবেষকের গবেষণা কর্মের ফলাফল ৩টি অধিবেশনের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। যার মধ্যে বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ জন শিক্ষার্থী গবেষক ও ৫ জন অভিজ্ঞ গবেষক রয়েছেন। 
 
বাংলাদেশ ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তঃসংসদীয় ইউনিয়ন সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি। সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রোকসানা কাদের, অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য ও বিশ্বস্বাস্থ্য), স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশস্থ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি এবং স্টিফেন এ ট্যাম্পলিন, এসোসিয়েট সাইন্টিস্ট, ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল টোবাকো কন্ট্রোল। 
 
সমাপনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদ শাহজাহান, পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিসিসিপি। এছাড়াও মুহম্মদ রুহুল কুদ্দুস, যুগ্ম সচিব ও সমন্বয়কারী, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, ড. এ এফ এম মফিজুল ইসলাম, উপদেষ্টা, সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্টিফেন এ ট্যাম্পলিন এ পর্বের সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সমাপনী অধিবেশনে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন ড. শাহিদা হক, সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর, বিসিসিপি। 

২২তম এডভান্সেস ইন স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশন ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস্ (বিসিসিপি)’র ২২তম এডভান্সেস ইন স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশন ওয়ার্কশপ  গত  ২৬ ফেব্রুয়ারি  থেকে ০৯ মার্চ, ২০১৭ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। দুই সপ্তাহব্যাপী কর্মশালায় বিভিন্ন  বেসরকারি এবং ব্যক্তি-মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান থেকে মধ্যম ও উচ্চ স্তরের ১৯ জন যোগাযোগ পেশাজীবী অংশগ্রহণ করেন।  
 
কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিডিয়া আর্টস অ্যান্ড স্টাডিজ বিভাগের  প্রফেসর ইমেরিটাস ড. ডেভিড মল্ড, সাবেক পরিচালক, পোস্ট গ্রাজুয়েট প্রোগ্রাম, ওহিও কমিউনিকেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ, ওহিও বিশ্ববিদ্যালয়, ইউএসএ। ড. ডেভিড মল্ড যোগাযোগের সোশিও ইকোলজিকাল মডেল বিষয়ে একটি  অংশগ্রহণমূলক সেশন পরিচালনা করেন। কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনটি অলংকৃত করে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদপত্র প্রদান করেন প্রফেসর ইমেরিটাস আইনুন নিশাত, সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড ইনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রফেসর মো: গোলাম সামদানি ফকির, পিএইচডি, উপাচার্য, গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। উদ্বোধনী ও সমাপনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদ শাহজাহান, পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিসিসিপি।    
 
কার্যকরভাবে যোগাযোগ প্রকল্প প্রণয়নে যোগাযোগ পেশাজীবীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছর বিসিসিপি কর্মশালাটি পরিচালনা করছে। সোশ্যাল ও বিহেভিয়ার চেঞ্জ কমিউনিকেশন (এসবিসিসি)’র   জন্য শক্তিশালী যোগাযোগ কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও কর্মকৌশল  তৈরিতে উচ্চ স্তর থেকে মধ্যম স্তরের ব্যবস্থাপকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি এই কর্মশালাটির মূল উদ্দেশ্য। 
যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর কমিউনিকেশন  প্রোগ্রামস্-এর নিয়মিত আয়োজন এডভান্সেস ইন ফ্যামিলি হেলথ্ এন্ড সোশ্যাল কমিউনিকেশন ওয়ার্কশপ-এর আদলে পরিচালিত এই কর্মশালায় সামাজিক উন্নয়ন কার্যক্রম বিষয়ে সফল যোগাযোগের অত্যাবশ্যকীয় উপাদানসমূহ ব্যাখ্যা করা হয়, যা এসবিসিসি কার্যক্রমের সাথে জড়িতদের জন্য এবিষয়ে দক্ষতা অর্জনের একটি অনন্য সুযোগ। 
কর্মশালাটি সম্পূর্ণরুপে অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সাজানো। কর্মশালায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত প্রশিক্ষকগণ যোগাযোগ প্রক্রিয়ার সাম্প্রতিক ও আধুনিক বিভিন্ন পদ্ধতি ও কৈৗশলের সাথে অংশগ্রহণকারীদের পরিচয় করিয়ে দেন। এই কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীগণ ছোট দলে ভাগ হয়ে SCOPE নামক একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে যোগাযোগ প্রকল্প প্রণয়ন ও উপস্থাপন করেন।  

মিডল ম্যানেজমেন্টের উন্নয়ন

কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়ন বিসিসিপি’র  একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিসিসিপি কৌশলগত পরিকল্পনা ২০২০ এ    ভবিষ্যত নেতৃত্ব তৈরিতে গুরুত্ব প্রদান করে মিডল ম্যানেজমেন্ট-এর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে বিসিসিপি মিডল ম্যানেজমেন্ট প্রফেশনালদের সুপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন প্রকল্প ও কার্যক্রমের নেতৃত্বে আসতে উৎসাহী করছে।  এছাড়া দেশের ভিতরে ও বাইরে বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং, ওরিয়েন্টেশন, ওয়ার্কশপ, কনফারেন্সে অংশগ্রহণ ও গবেষণাপত্র উপস্থাপনের জন্যও উৎসাহ প্রদান করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিসিসিপি গত ফ্রেব্রুয়ারি মাসে মোহাম্মদ খাইরুল আবেদীন, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ও মোঃ শাহাবুদ্দিন, প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটরকে যথাক্রমে মালয়েশিয়া ও শ্রীলংকায় আয়োজিত কনফারেন্সে গবেষণাপত্র উপস্থাপনের জন্য প্রেরণ করে।
 

শিক্ষা, শিক্ষকতা ও ই-লার্নিং বিষয়ক ১৯তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ
 
গত ১২-১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে শিক্ষা, শিক্ষকতা ও ই-লার্নিং বিষয়ক ১৯তম আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের আয়োজক ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান প্রতিষ্ঠান World Academy of Science, Engineering and Technology (WASET)। এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য হচ্ছে এডুকেশন, টিচিং এবং ই-লার্নিং বিষয়ে অভিজ্ঞতা ও গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন ও মতবিনিময় করা। উক্ত সম্মেলনে মোহাম্মদ খাইরুল আবেদীন ই-লার্নিং বিষয়ে গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। তার গবেষণাপত্রের বিষয় ছিল E-learning: An Effective Approach for Enhancing Social and Behavior Change Communication Capacity in Bangladesh|
 
বিসিসিপি, বিকেএমআই (বাংলাদেশ নলেজ ম্যানেজমেন্ট ইনিসিয়েটিভ) প্রকল্পের মাধ্যমে প্রোগ্রাম ম্যানেজারদের জন্য দুটি ই-লার্নিং কোর্স (bdsbcc.org) তৈরি করে। কোর্স দুটি হচ্ছে- মনিটরিং এন্ড ইভ্যালুয়েশন (M&E) এবং মেসেজ এন্ড ম্যাটেরিয়াল ডেভেলপমেন্ট (MMD)। এই অনলাইন কোর্সদুটি শুরু করার একবছর পর মূল্যায়ন করা হয়। মোহাম্মদ খাইরুল আবেদীন এই কোর্স দুটির মূল্যায়নের ফলাফল উক্ত সম্মেলনে উপস্থাপন করেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণকারীরা এই ই-লার্নিং কোর্স সম্পর্কে ও এর মূল্যায়ন বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং বিভিন্ন প্রশ্ন করে জেনে নেন।
সম্মেলনে দুই দিনে বিশ্বের ১৫টি দেশ থেকে ৬০-এর অধিক ব্যক্তি অংশগ্রহণ করে ৫০টির অধিক গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। সম্মেলন শেষে অংশগ্রহণকারীদের সনদপত্র প্রদান করা হয়। 
 

জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ২০১৭ এ অংশগ্রহণ
 
গত ফেব্রুয়ারি ১৬-১৭, ২০১৭ তারিখে দ্যা ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নলেজ ম্যানেজমেন্ট-এর আয়োজনে শ্রীলংকার কলোম্বতে অনুষ্ঠিত হয়  দুই দিনের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন। এই সম্মেলনে বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস্ (বিসিসিপি)এর পক্ষ থেকে প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মোঃ শাহাবুদ্দিন অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল, যারা জলবায়ু পরিবর্তনের তীব্রতা হ্রাস, ঝুঁকি এবং অভিযোজন নিয়ে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকান্ডে জড়িত তাদের মধ্যে একটি কার্যকর সংলাপ, সমন্বয় ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত নীতিমালাসমূহ নিয়ে বিজ্ঞানী ও উন্নয়ন কর্মীদের একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যাতে তরুণ গবেষক ও বিজ্ঞানীরা অধিকহারে শিক্ষা ও গবেষণা করতে পারে। সম্মেলনে বিশ্বের ২১টি দেশের প্রায় ৭৫ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ৩২টি মৌখিক ও ৮টি পোস্টার সেশন উপস্থাপন করেন। মোঃ শাহাবুদ্দিন বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির তীব্রতা হ্রাস করার জন্য কৌশলগত যোগাযোগ কিভাবে অংশগ্রহণমূলক বনায়ন ও পুনর্বনায়ন কার্যক্রমের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করে তার উপর একটি পেপার উপস্থাপন করেন এবং ক্লাইমেট রিজিলিয়েন্ট পার্টিসিপেটরী এফরেস্টেশন এন্ড রিফরেস্টেশন প্রকল্পের (সিআরপিএআরপি) উপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করেন।