logo

সংযোগ সম্পাদকীয়: কন্সিসস্টেন্সি কাউন্টস

কৌশলগত যোগাযোগে (strategic communication) ‘কন্সিসস্টেন্সি কাউন্টস’ (Consistency Counts) বিষয়টি আমরা প্রায়শই ব্যবহার করে থাকি কেননা কন্সিসস্টেন্সি কথাটির অর্থ যেমন বহুমাত্রিক, আমাদের লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রেও এর গুরুত্ব  অপরিসীম। কোনো কমিউনিকেশন ক্যাম্পেইন চলাকালীন উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যম ব্যবহার করে স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক পরস্পরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বার্তা ধারাবাহিকভাবে প্রদান করা হলে সেই বার্তাগুলো তাদের পক্ষে যে শুধু মনে রাখাই সহজ হয় তা নয়, তারা সেটা বিশ্বাসও করতে শুরু করে, এমনকি সেটা মেনে চলার সম্ভাবনাও থাকে। একইভাবে, ‘কন্সিসস্টেন্সি’ শব্দটির আভিধানিক অর্থের দিকে তাকালে আমরা দেখি সুসঙ্গত হওয়া, সংল্গ্ন থাকা বা সংযুক্ত হওয়া অথবা ধারাবাহিকতা রক্ষা করা বোঝায়। এই কথাটি ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যেমন, বিসিসিপি তার যাত্রাশুরুর সময় থেকে আজ পর্যন্ত কৌশলগত যোগাযোগ (Strategic Communication) প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজের পরিচিতি  ও ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলেছে, চলবে, কারণ ক্রমান্বয়ে শুধু বাংলাদেশেই নয়, এশিয়া অঞ্চলের একটি অন্যতম প্রধান যোগাযোগ প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। বিষয়টিকে ভিন্নদৃষ্টিকোন থেকে যদি দেখা যায়, আমাদের ব্যক্তিগত এবং পেশাগত কাজকর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরী হয় আমাদের নিজ নিজ পরিচিতি। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি দীর্ঘদিন ধরে ভালো কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারে তার কোন ভুল বা ব্যর্থতাও ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখা হয়। সম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে কন্সিসস্টেন্সি বা ধারাবাহিকতা রক্ষা করা বা না করার বিষয়টি কীভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের উপরতো বটেই, আপনার নেতৃত্বকেও কীভাবে প্রভাবিত করে। সুতরাং ব্যক্তিগত অথবা পেশাগত জীবনে যে পর্যায়েই আমরা থাকিনা কেন, আমাদের কাজের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা একান্ত প্রয়োজন। 

ই-রিসোর্স ব্যবহারে সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ

তথ্য সহজলভ্য করতে বর্তমানে বাংলাদেশ ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে আইসিটিভিত্তিক সমাজ নিশ্চিত করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। প্রযুক্তিভিত্তিক ডিজিটাল সুশাসন, ই-স্বাস্থ্য, ই-বানিজ্য, ই-কৃষি, ই-শিক্ষা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা করা ডিজিটাল বাংলাদেশের অঙ্গীকার। ইউএসএআইডি-উজ্জীবন-এসবিসিসি প্রকল্প বাংলাদেশে সামাজিক ও আচরণ পরিবর্তন যোগাযোগের মাধ্যমে উচ্চমান সম্পন্ন মায়েরস্বাস্থ্য, নবজাতক, শিশু ও কিশোর-কিশোরী স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা সেবা, পুষ্টি সেবা এবং যক্ষা রোগের সেবা গ্রহণে আদর্শ স্বাস্থ্য আচরণ প্রতিষ্ঠার লক্ষে একটি উদ্যোগ। এসবিসিসি প্রোগ্রাম পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা এবং সিস্টেম শক্তিশালীকরণে কারিগরি সহায়তা প্রদানে বিসিসিপি এই প্রকল্প কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত। সিলেট এবং চট্টগ্রাম বিভাগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এসবিসিসি কার্যক্রমের সক্ষমতা ও পদ্ধতিকে শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে প্রকল্পটি বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার  করে অনেকগুলো প্রচারণা ইভেন্ট বাস্তবায়ন করছে।
 
ডিজিটাল রিসোর্সের ব্যবহার যেমন; ই-টুলকিট ও ই-লার্নিং কোর্সের কার্যকর ব্যবহারের মাধ্যমে মাঠকর্মীদের আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগ এবং কাউন্সেলিং-এ দক্ষতা বৃদ্ধিতে উজ্জীবন কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে। ই-টুলকিট মাঠকর্মীদের জন্য একটি ডিজিটাল লাইব্রেরি; যেখানে উচ্চমান সম্পন্ন স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা এবং পুষ্টি বিষয়ে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক বিসিসি উপকরণ রয়েছে। ক্লায়েন্ট কাউন্সেলিং-এ মাঠকর্মীদের ব্যবহার উপযোগী রিসোর্স হিসেবে এটি প্রস্তুত করা হয়েছে। ই-লার্নিং কোর্সটি মাঠকর্মীদের জন্য ভিডিও ভিত্তিক ট্রেনিং কোর্স; যা মায়েরস্বাস্থ্য, শিশুস্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে তাদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রমের গুনগত মান বৃদ্ধি করে। স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য সহকারী এবং কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা প্রভাইডার এই সক্ষমতা বৃদ্ধি উদ্যোগের উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠি।
 
এরই ধারাবাহিকতায় উজ্জীবন ২০১৭ সালের আগস্ট -সেপ্টেম্বর মাসে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৪টি জেলার ৭টি উপজেলায় ২৫০ জন কার্যকর ডিভাইস ব্যবহারকারী  মাঠকর্মীকে (স্বাস্থ্য সহকারী এবং কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা প্রভাইডার) ওরিয়েন্টেশন প্রদান করে। সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মমকর্তা এবং সিভিল সার্জনগণ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে এই ওরিয়েন্টেশনে অংশগ্রহণ করেন।

ডাটা মেনেজমেন্ট, এনালাইসিস ও রিপোর্ট রাইটিং-এর উপর দ্বিতীয় মেন্টরিং ওয়ার্কশপ

টোবাকো কন্ট্রোল রিসার্চ গ্রান্ট প্রোগ্রাম-এর অধীন রিসার্চ গ্রান্টিদের জন্য গত ০৭ আগষ্ট ও ০৮ আগষ্ট, ২০১৭ ডাটা মেনেজমেন্ট, এনালাইসিস ও রিপোর্ট রাইটিং শিরোণামে দ্বিতীয় মেন্টরিং ওয়ার্কশপ-এর আয়োজন করা হয়। দুই দিনব্যাপী ওয়ার্কশপে রিসার্চ গ্রান্টিদের ডাটা ম্যানেজমেন্ট, এনালাইসিস ও রিপোর্ট রাইটিং-এর উপর বিস্তারিত ধারনা প্রদান করা হয়। এই ওয়ার্কশপে থিওরি ও প্র্যাক্টিক্যাল সেশনের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা তাদের সংগৃহীত ডাটা কিভাবে প্রসেস, ক্লিনিং, চেক, হ্যান্ডেল, এনালাইজ এবং প্রেজেন্ট করবে সে সম্পর্কে জ্ঞান ও দক্ষতা প্রদান করা হয়। এছাড়া, রিসার্চ রিপোর্ট লেখা, প্রেজেন্ট করা, রিসার্চ ফাইন্ডিং প্রকাশ করা ও জার্নালে ছাপানোর বিষয়গুলিও ওয়ার্কশপে আলোচনা করা হয়। ওয়ার্কশপে ডাটা ম্যানেজমেন্ট ও এনালাইসিসের উপর হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ওয়ার্কশপের পর, অংশগ্রহণকারীরা ওয়ার্কশপের বিষয়বস্তু ও সহায়তার জন্য তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। রিসার্চ গ্রান্টি ও তাঁদের ডাটা এনালিস্টসহ মোট ১৯ জন অংশগ্রহণকারী এই ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করেন।

স্বাস্থ্য সংলাপে জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্তকরণে এনএইচএসডিপির একটি অভিনব উদ্যেগ: স্বাস্থ্য সমাবেশ

স্বাস্থ্য আচরণ পরিবর্তনে জনঅংশগ্রহণ এই পরিবর্তনকে টেকসই করে এবং একটি আদর্শ স্বাস্থ্যচর্চাকে জনগোষ্ঠীর আচরণীয় রীতিতে পরিণত করে। এই বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়ে এনএইচএসডিপি জনস্বাস্থ্য সম্পর্কে জনগোষ্ঠীকে একটি স্বাস্থ্য সংলাপে সম্পৃক্তকরণের জন্য ‘স্বাস্থ্য সমাবেশ’শিরোণামে জনগোষ্ঠী পর্যায়ে অনুষ্ঠিত এই স্বাস্থ্য সমাবেশগুলো  ‘সূর্যের হাসি’ ‘নেটওয়ার্কের’ ১৫টি ক্লিনিক এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়। এই স্বাস্থ্য সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগোষ্ঠীর সবচাইতে প্রয়োজনধারী গ্রুপগুলোকে তাদের স্বাস্থ্য প্রয়োজনের উপর কথা বলতে এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের তা জানতে ও কোথায় স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যাবে অর্থাৎ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর সাথে জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করা। 
 
এই স্বাস্থ্য সমাবেশ অনুষ্ঠানের কর্মসূচী সমুহের মধ্যে ছিল;
  • কমিউনিটির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি, সেবাপ্রদানকারী এবং জনগোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে মুক্ত আলোচনা সভার মাধ্যমে সংলাপ অনুষ্ঠান
  • ‘বিনোদনের মাধ্যমে শিক্ষা’প্রদানের অংশ হিসেবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্য বার্তা প্রদান করা
  • সূর্যের হাসি নেটওয়ার্কের ক্লিনিকগুলো থেকে কী কী সেবা দেয়া হয় তা জানানো এবং স্বাস্থ্যসেবা টিমকে পরিচিত করানোর মাধ্যমে জনগোষ্ঠী ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মধ্যে সংযোগ স্থাপন
 
বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস (বিসিসিপি)’র কারিগরি সহায়তায় সারাদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত সমাবেশ অনুষ্ঠানগুলো জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিপুল সাড়া ফেলে এবং প্রতিটি অনুষ্ঠানে mn¯ªvwaK মানুষ অংশগ্রহণ করে। এই অনুষ্ঠানগুলো আয়োজনে স্থানীয়ভাবে জনগোষ্ঠীর সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অর্থ এবং স্বেচ্ছা সাহায্য প্রদান করে। সূর্যের হাসি ক্লিনিকগুলোর আরও অধিক পরিচিতি, ক্লিনিক থেকে প্রদত্ত স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে জনগোষ্ঠির ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি এবং এই ক্লিনিকের প্রতি তাদের সমর্থন ও মালিকানাবোধ সৃষ্টিতে এই স্বাস্থ্য সমাবেশ অনুষ্ঠানগুলো প্রভূত অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সাস্টেইনেবিলিটির (Sustainability)পথে স্প্রিংবোর্ড: সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ

গত ১৬ই জুলাই  বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস (বিসিসিপি), ঢাকায় একটি স্প্রিংবোর্ড লার্নিং ফোরাম এর আয়োজন করে। ইউএসএআইডি এর সহযোগিতায় উক্ত ফোরাম এর মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “Global Social and Behavior Change (SBC) Community and Springboard: Prospects and Challenges”। বিভিন্ন সেক্টরের প্রায় ১০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি ফোরামে অংশগ্রহণ করে। সিসিপি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মিস সুসান সি. ক্রেন লার্নিং ফোরামে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। ফোরামে উপস্থিত অতিথিদের স্প্রিংবোর্ড এ নিবন্ধনের সুবিধার্থে একটি নিবন্ধন কর্নার-এর ব্যবস্থা করা হয়।
 
এর আগে ১২-১৪ই জুলাই নয়া দিল্লিতে গ্লোবাল স্প্রিংবোর্ড উপদেষ্টা পরিষদের ৫ম বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় অংশগ্রণকারী বিভিন্ন দেশীয় স্প্রিংবোর্ড প্রতিনিধিগণ তাদের CoP এর অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি, সাফল্য এবং চ্যালেঞ্জগুলো কেসস্টাডিরূপে উপস্থাপণ করেন । বাংলাদেশ স্প্রিংবোর্ড তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে তৈরী স্প্রিংবোর্ড প্রচার নির্দেশিকা উপস্থাপন করে এবং পরবর্তীতে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশের স্প্রিংবোর্ড কমিউনিটির সাথে সেটি শেয়ার করার জন্য সুপারিশ করা হয়।
 
স্প্রিংবোর্ড প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে এশিয়া  সেক্রেটারিয়েট,  বিসিসিপি এর পক্ষ থেকে স্লিপ প্যাড, কলম তৈরী   করা হয় এবং স্প্রিংবোর্ড প্রচারণামূলক কার্যক্রম কার্যকর করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও নেপালে বিতরণ করা হয়। এছাড়াও ৫ম বার্ষিক উপদেষ্টা পরিষদের সভা, লার্নিং ফোরাম এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কর্মসূচিতে স্প্রিংবোর্ড প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করে প্রচারসামগ্রীসমূহ বিতরণ করেন। 

মনোসামাজিক কাউন্সেলিং প্রশিক্ষণ কারিকুলাম ও যোগাযোগ উপকরণ এবং CwC বিষয়ক মূলধারায় সম্পৃক্তকরণ টুলকিট তৈরি

বাংলাদেশ ট্রেনিং এন্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশন (বিটিআরএফ), ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের জন্য মনোসামাজিক কাউন্সেলিং এর উপর ৬দিনের একটি প্রশিক্ষণ কারিকুলাম এবং যোগাযোগ উপকরণ তৈরি করেছে। শিশুদের মনোসামাজিক চাহিদা এবং বর্তমান পরিস্থিতি বোঝার জন্য বিটিআরএফ প্রথমে প্রশিক্ষণ চাহিদা যাচাই করেছিল। এরপর সহিংসতার শিকার শিশুদের মনোসামাজিক কাউন্সেলিং সহায়তার জন্য বাংলা এবং ইংরেজিতে ‘মনোসামাজিক কাউন্সেলিং প্রশিক্ষণ কারিকুলাম’ তৈরি করা হয়েছে। মনোসামাজিক কাউন্সেলিং আরো কার্যকর করার জন্য ব্যবহারিক নির্দেশিকাসহ একটি ফ্লিপচার্ট এবং সেই সাথে পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিশুদের কর্মস্থল ও কমিউনিটিতে সচেতনতা তৈরি করতে চারটি স্টিকার এবং শিশুর শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার সমান গুরুত্ব নিয়ে একটি পোস্টার তৈরি করা হয়েছে । যোগাযোগের এই উপকরণগুলোকে আরো প্রাসঙ্গিক এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবে গ্রহণযোগ্য করতে সংশ্লিষ্ট কর্মী, বিভিন্ন ফোরাম ও কমিউনিটির মানুষের সাথে প্রি-টেস্ট করা হয়েছিল। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরকে সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের মনোসামাজিক সহায়তার উপর ৬ দিন ব্যাপী একটি প্রশিক্ষক-প্রশিক্ষণ (ToT) প্রদান করা হয়েছে যাতে তারা পরবর্তীতে শিশু সুরক্ষা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে পারেন। প্রশিক্ষণটি ছিল সম্পুর্ণ অংশগ্রহণমূলক  এবং ব্যবহারিক দক্ষতা বৃদ্ধি নির্ভর। এছাড়াও বিটিআরএফ (BTRF), এসিএফ (ACF) এবং সংযোগ (একটি সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা যা সরকার, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা এবং অন্যান্য গ্রুপের সমন্বয়ে গঠিত) -এর জন্য ‘দুর্যোগ ও মানবিক সাড়া প্রদানে কমিউনিটির সাথে যোগাযোগ (CwC) বিষয়ক মূলধারায় সম্পৃক্তকরণ টুলকিট’ প্রনয়ন করে দিয়েছে। টুলকিটটি প্রনয়ন এবং ডিজাইনে সহায়তা করেছে বিসিসিপি’র আরেকটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান ICL.