এনজিও ও সরকারী এসবিসিসি কার্যক্রমকে সম্মিলিত ও একীভূত কার্যক্রম প্রণয়ণে বিসিসি ওয়ার্কিং গ্রুপ-এর সভা
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থার একীভূত ও সমন্বিত এসবিসিসি উদ্যোগ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাতে স্বাস্থ্যসম্মত আচরণ সৃষ্টিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।
- জনাব মোঃ হাবিবুর রহমান খান, অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য ও বিশ্বস্বাস্থ্য), স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ

সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার, কর্মক্ষেত্রে দ্বৈততা পরিহার ও কর্মসূচিতে সঙ্গতিপূর্ণ ও গতিশীল পরিবর্তনের লক্ষ্য সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হলো ২৬তম বিসিসি ওয়ার্কিং গ্রুপ সভা। গত ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে সকাল দশটায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আইইএম সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন জনাব মোঃ হাবিবুর রহমান খান, অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য ও বিশ্বস্বাস্থ্য), স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং কো-চেয়ার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব কাজী এ. কে. এম. মহিউল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (জনসংখ্যা, পরিবার কল্যাণ ও আইন), স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ। এছাড়াও যুগ্মসচিব জনস্বাস্থ্য-২ জনাব মোঃ রুহুল আমিন তালুকদার, যুগ্মসচিব ও পরিচালক আইইএম জনাব আশরাফুন্নেছা, পরিচালক, আইপিএইচএন ডাঃ সমির কান্তি সরকার ও লাইন ডিরেক্টর, ফিল্ড সার্ভিস ইউনিট জনাব সরোয়ার বারী সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বিগত সভার কার্যবিবরণী পর্যালোচনাকালে বেশ কিছু বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়। সেগুলি হলো-
-
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের যে সকল ইউনিটের স্কুল হেলথ প্রোগ্রাম রয়েছে সে সকল ইউনিট অভিন্ন স্কুল হেলথ কারিকুলাম অনুসরণ করবে। এলক্ষ্যে আইইএম ইউনিট প্রণীত HPN স্কুল হেলথ কারিকুলামটি যথোপযুক্ত পরিবর্তন/পরিবর্ধন সাপেক্ষে অপরাপর ইউনিট ব্যবহার করবে;
-
সভায় বার্ষিক HPN SBCC Monitoring Report সম্পর্কে আলোচনাকালে রিপোর্টের মুদ্রিত সংষ্করণ যথাসময়ে প্রাপ্তির লক্ষ্যে আগামী ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখের আগে ১ম খসড়া উপস্থাপন করতে হবে;
-
বিভিন্ন পর্যায়ে HPN SBCC Commitee গঠণ বিষয়ক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের আলোকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটিসমূহ সক্রিয় করার জন্যে সংশ্লিষ্ট ইউনিট ও বেসরকারি সংস্থাসমূহকে উদ্যোগ নিতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আইপিএইচএন ও বিএইচই এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আইইএম, সিসিএসডিপি, এফএসডি, এমসিএইচ ও এমআইএস ইউনিটের প্রতিনিধি এবং বেসরকারি ও উন্নয়ন সংস্থা আইপাস, এসএমসি, ইন্কা, ওয়াস, জাইকা, এমপাওয়ার, চ্যালেঞ্জ টিবি, সিসিমপুর, এফপিএবি ও উজ্জীবন এসবিসিসি প্রজেক্টের প্রতিনিধি সভায় অংশ নেন। আইপিএইচএন, জাইকা, স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো, এমপাওয়ার, চ্যালেঞ্জ টিবি, উজ্জীবন এসবিসিসি প্রজেক্ট ও আইইএম ইউনিট এ সভায় স্ব স্ব ইউনিটের বিগত তিন মাসের বাস্তবায়িত এসবিসিসি কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ কার্যক্রম উপস্থাপনা করেন।
উপস্থাপনায় কিছু উদ্ভাবনী বিষয় অংশগ্রহণকারিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং আলোচনার সূত্রপাত ঘটায়। দু’জন ইউনিট ডিরেক্টর বিষয়গুলি নিয়ে নিম্নে বর্ণিত সুনির্দিষ্ট মতামত ব্যক্ত করেন।–

-
জনাব আশরাফুন্নেছা, যুগ্মসচিব ও পরিচালক, আইইএম ইউনিট, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরঃ এসবিসিসি কার্যক্রমের জন্য সকল ইউনিট ও এনজিও প্রতিনিধিদের কম্প্রিহেন্সিভ এসবিসিসি স্ট্র্যাটেজীর চারটি মূল (এসবিসিসি নেতৃত্ব ও সমন্বয়, দক্ষতা উন্নয়ন, জনগোষ্ঠির সম্পৃক্ততা, পরিবীক্ষণ এবং মূল্যায়ন) বিষয়কে বিবেচনায় নিয়ে তাদের উপস্থাপনা নির্দিষ্ট ফরম্যাটে প্রদান করলে ভালো হয়।
-
জনাব ডা. মোঃ সারওয়ার বারী, যুগ্মসচিব ও পরিচালক, ফিল্ড সার্ভিস ইউনিট, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর বলেন যে, সামাজিক ও গণ মাধ্যম সমূহকেও আন্ত:ব্যাক্তিক যোগাযোগের মত কার্যকর যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে বিবেচনায় আনতে হবে।
জনাব মোঃ রুহুল আমিন তালুকদার, যুগ্মসচিব, জনস্বাস্থ্য-২, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগঃ স্কুল পর্যায়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা কার্যক্রমের মতো বিষয়গুলোকে চিহ্নিত করে সরাসরি কার্যক্রম ভিত্তিক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ইউনিটসমূহের সমন্বয় জোরদার করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। প্রয়োজনে বেসরকারি সংস্থা বা উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সহায়তা গ্রহণের প্রতিও তিনি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এতে একদিকে যেমন কভারেজ বৃদ্ধি পাবে, অপরদিকে সম্পদের যথাযথ ব্যাবহারও নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
কো-চেয়ার জনাব কাজী এ. কে. এম. মহিউল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (জনসংখ্যা, পরিবার কল্যাণ ও আইন), স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, এসবিসিসি কার্যক্রম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা ভাল ফলাফল বয়ে আনবে এবং প্রাপ্য সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করবে। এ ব্যপারে তিনি সমন্বয়ের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন এবং সকল পর্যায়ে এর কার্যকারিতার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন ।
সভাপতি জনাব মোঃ হাবিবুর রহমান খান, অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য ও বিশ্বস্বাস্থ্য), স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ অংশগ্রহণকারীগণকে নতুন কমিটির কার্যপরিধি অনুযায়ী সভায় অংশগ্রহণ এবং কম্প্রিহেন্সিভ এসবিসিসি স্ট্র্যাটেজী’র আলোকে স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়নের আহবান জানান। তিনি উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।উল্লেখ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন অধিদপ্তর/অফিসগুলোর SBCC সক্ষমতা এবং কর্মপদ্ধতি শক্তিশালীকরণে USAID-উজ্জীবন-বিসিসিপি-এর SBCC প্রকল্প কাজ করছে ।